৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সূর্যবংশীকে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার বিহার সরকারের

Vaibhav Suryavanshi Story: ৩ ঘণ্টা ঘুমোতেন মা, জমি বেচেছিলেন পিতা…

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 34

Vaibhav Suryavanshi Story: সিনেমাকেও হার মানায় বৈভবের কাহিনী 

 

পুবের কলম প্রতিবেদক: (Vaibhav Suryavanshi Story) সূর্যবংশী-বিষয়টির মধ্যেই একটা আভিজাত্য লুকিয়ে আছে। সেই আভিজাত্যেরই বৈভব প্রকাশ পেয়েছে ১৪ বছর ২ মাস বয়সী এক ক্রিকেটারের ব্যাট থেকে। গুজরাতকে হারিয়ে রাজস্থান রয়্যলসের অক্সিজেন সংগ্রহের দিনে বৈভব সূর্যবংশীর বিধবংসী ব্যাটিং তাবড় ক্রিকেট কিংবদন্তিকে কার্যত স্তব্ধ করে দিয়েছে।

 

দুবাইয়ে অষ্টাদশ আইপিএলের নিলামে যখন বৈভবের (Vaibhav Suryavanshi Story) নাম ঘোষণা হল, তাঁর নামের পাশে যে বিরাট অঙ্ক বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তখন অনেকেই খুব হতবাক হয়েছিলেন। পাশাপাশি এমন প্রশ্নও অনেকে করেছিলেন, এত ছোট ক্রিকেটার, বিদেশি বোলারদের সামলাতে পারবে তো? কিন্তু বৈভব সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সপাটে। মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছেন এই আইপিএলে। তার মধ্যে একটি সেঞ্চুরি, আর একটি হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি রান। স্ট্রাইক রেট ২১৫.৭১। এমন বৈভবের ক্রিকেট খেলাটাই সম্ভব হত না দি না তাঁর পিছনে নিজের পিতা না থাকতেন।

বিহারের সমস্তিপুরের খুব দরিদ্র একটি এলাকা থেকে উঠে আসা বৈভব (Vaibhav Suryavanshi Story) এখন জাতীয় হিরো। আন্তর্জাতিক বোলারদের বোলিংয়ের ছাল তুলে নেওয়া এক ঝড়। সেই বৈভবেপ ক্রিকেট খেলার জন্য তাঁর দরিo কৃষক পিতা নিজের মাত্র কয়েক কাঠা জমিও বিক্রি করে দিয়েছিলেন, যাতে ছেলে ভালো ক্রিকেটার হয়। একটা সময় সমস্তিপুর থেকে পাটনা ডেলি প্যাসেঞ্জারি করতেন বৈভব। প্রসঙ্গত সমস্তিপুর থেকে পাটনার দূরত্ব ১০০কিলোমিটার। এই একশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে অনুশীলনে গিয়ে প্রত্যাহ ৬০০টি বল ফেস করতে হত বৈভবকে। নিজের থেকে অনেকটা বড় বোলারদের বিরুদ্ধে খেলতেন তিনি। সেটা যে কতটা কাজে এসেছে আইপিএলের আঙিনায় সেটাই বোঝাচ্ছেন বৈভব।

digha jagannath dham: মহাযজ্ঞে পূর্ণাহুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, বুধে দ্বারোদ্ঘাটন

সোমবার বৈভবের বিধ্বংসী সেঞ্চুরির পর তাঁর অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি ছেলে বুড়ো বীতিমতো উচ্ছ্বাসে মেতেছে। তাঁর ছোটবেলাকার বন্ধুরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বৈভবকে। আইপিএলের আঙিনায় একাধিক রেকর্ড করায় তাঁকে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা করেছেন নীতীশ। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘প্রতিভা ও পরিশ্রমের এক নিরলস ফল বৈভব সূর্যবংশী। আমি গতবার ওর বাবার সঙ্গে দেখা করেছিলাম।

 

ওর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়ে এসেছিলাম। ও যে এভাবে সবার সম্মান এত তাড়াতাড়ি রেখে দেবে, সেটা আমরা ভাবতে পারিনি। আমি চাই বৈভব ভারতীয় দলে সুযোগ পাক, ওর ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় থাকলাম।’ বৈভবকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানও। তিনি তাঁর বার্তায় জানিয়েছেন, ‘এত কম বয়সে বৈভব এমন ক্রিকেট উপহার দিচ্ছে, তাহলে আর কটা দিন বাদে ও কি ক্রিকেটটাই না খেলবে।’ আর যাঁকে নিয়ে এতকিছু সেই বৈভব বলছেন, ‘আমি শুধু বল দেখেছি, বোলার নয়।’

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সূর্যবংশীকে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার বিহার সরকারের

Vaibhav Suryavanshi Story: ৩ ঘণ্টা ঘুমোতেন মা, জমি বেচেছিলেন পিতা…

আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার

Vaibhav Suryavanshi Story: সিনেমাকেও হার মানায় বৈভবের কাহিনী 

 

পুবের কলম প্রতিবেদক: (Vaibhav Suryavanshi Story) সূর্যবংশী-বিষয়টির মধ্যেই একটা আভিজাত্য লুকিয়ে আছে। সেই আভিজাত্যেরই বৈভব প্রকাশ পেয়েছে ১৪ বছর ২ মাস বয়সী এক ক্রিকেটারের ব্যাট থেকে। গুজরাতকে হারিয়ে রাজস্থান রয়্যলসের অক্সিজেন সংগ্রহের দিনে বৈভব সূর্যবংশীর বিধবংসী ব্যাটিং তাবড় ক্রিকেট কিংবদন্তিকে কার্যত স্তব্ধ করে দিয়েছে।

 

দুবাইয়ে অষ্টাদশ আইপিএলের নিলামে যখন বৈভবের (Vaibhav Suryavanshi Story) নাম ঘোষণা হল, তাঁর নামের পাশে যে বিরাট অঙ্ক বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তখন অনেকেই খুব হতবাক হয়েছিলেন। পাশাপাশি এমন প্রশ্নও অনেকে করেছিলেন, এত ছোট ক্রিকেটার, বিদেশি বোলারদের সামলাতে পারবে তো? কিন্তু বৈভব সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সপাটে। মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছেন এই আইপিএলে। তার মধ্যে একটি সেঞ্চুরি, আর একটি হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি রান। স্ট্রাইক রেট ২১৫.৭১। এমন বৈভবের ক্রিকেট খেলাটাই সম্ভব হত না দি না তাঁর পিছনে নিজের পিতা না থাকতেন।

বিহারের সমস্তিপুরের খুব দরিদ্র একটি এলাকা থেকে উঠে আসা বৈভব (Vaibhav Suryavanshi Story) এখন জাতীয় হিরো। আন্তর্জাতিক বোলারদের বোলিংয়ের ছাল তুলে নেওয়া এক ঝড়। সেই বৈভবেপ ক্রিকেট খেলার জন্য তাঁর দরিo কৃষক পিতা নিজের মাত্র কয়েক কাঠা জমিও বিক্রি করে দিয়েছিলেন, যাতে ছেলে ভালো ক্রিকেটার হয়। একটা সময় সমস্তিপুর থেকে পাটনা ডেলি প্যাসেঞ্জারি করতেন বৈভব। প্রসঙ্গত সমস্তিপুর থেকে পাটনার দূরত্ব ১০০কিলোমিটার। এই একশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে অনুশীলনে গিয়ে প্রত্যাহ ৬০০টি বল ফেস করতে হত বৈভবকে। নিজের থেকে অনেকটা বড় বোলারদের বিরুদ্ধে খেলতেন তিনি। সেটা যে কতটা কাজে এসেছে আইপিএলের আঙিনায় সেটাই বোঝাচ্ছেন বৈভব।

digha jagannath dham: মহাযজ্ঞে পূর্ণাহুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, বুধে দ্বারোদ্ঘাটন

সোমবার বৈভবের বিধ্বংসী সেঞ্চুরির পর তাঁর অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি ছেলে বুড়ো বীতিমতো উচ্ছ্বাসে মেতেছে। তাঁর ছোটবেলাকার বন্ধুরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বৈভবকে। আইপিএলের আঙিনায় একাধিক রেকর্ড করায় তাঁকে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা করেছেন নীতীশ। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘প্রতিভা ও পরিশ্রমের এক নিরলস ফল বৈভব সূর্যবংশী। আমি গতবার ওর বাবার সঙ্গে দেখা করেছিলাম।

 

ওর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়ে এসেছিলাম। ও যে এভাবে সবার সম্মান এত তাড়াতাড়ি রেখে দেবে, সেটা আমরা ভাবতে পারিনি। আমি চাই বৈভব ভারতীয় দলে সুযোগ পাক, ওর ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় থাকলাম।’ বৈভবকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানও। তিনি তাঁর বার্তায় জানিয়েছেন, ‘এত কম বয়সে বৈভব এমন ক্রিকেট উপহার দিচ্ছে, তাহলে আর কটা দিন বাদে ও কি ক্রিকেটটাই না খেলবে।’ আর যাঁকে নিয়ে এতকিছু সেই বৈভব বলছেন, ‘আমি শুধু বল দেখেছি, বোলার নয়।’