মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই কলেজ ছাত্রীদের ভ্যাকসিন প্রদান

- আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার
- / 12
শুভজিৎ দেবনাথ, ধূপগুড়ি: স্কুল-কলেজ খোলার নির্দেশ দিতে শুরু হল ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। শুরু হয়েছে কলেজ পড়ুয়া দের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা আগামী ১৬ নভেম্বরের থেকে খুলে যাচ্ছে স্কুল ও কলেজ সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি। আর এরপরই তোড়জোড় শুরু হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। আর এই কারনেই এবার কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করল ধূপগুড়ি পৌরসভা ও কলেজ কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার ধূপগুড়ি সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ধূপগুড়ি গার্লস কলেজের ২০০ জন ছাত্রীকে ভ্যাকসিন এর প্রথম ডোজ দেওয়া হল। আর ভ্যাকসিন পেয়ে রিতিমত খুশি কলেজ পড়ুয়ারা।
সমস্ত ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া তদারকি করেন ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং ও গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ বিজয় চন্দ্র দেবনাথ। কলেজ কর্তৃপক্ষ সমস্ত ছাত্রীর ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিতে চাইছে কলেজ খোলার আগেই।
ভ্যাকসিন নিতে আসা ধূপগুড়ি গার্লস কলেজের ছাত্রী সুস্মিতা বর্মন ও লাভলী পারভীনরা বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ঘরে বন্দি ছিলাম।বন্ধু বান্ধবদের সাথে দেখা হচ্ছিল না স্কুলের পঠন পাঠন বন্ধ ছিল। মুখ্যমন্ত্রী সোমবার ঘোষণা করেছেন যে ১৬ তারিখ থেকে কলেজ স্কুল খুলে যাবে। আমরা খুবই আনন্দিত। এবং কলেজ খোলার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে, আর সেই কারনে আজ আমাদের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হল, আমরা খুবই খুশি।
ধূপগুড়ি গার্লস কলেজের প্রিন্সিপাল ডঃ বিজয় চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আজকে ২০০ জন ছাত্রীকে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ধূপগুড়ি পৌরসভা এবং স্বাস্থ্য দপ্তর এর তরফ থেকে। গতকালই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেছেন যে স্কুল-কলেজ খুলে যাবে। সেই মতো আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে আমাদের গার্লস কলেজে করোনা রোগী দের সেফ হোম করা হয়েছে। তাই সেখানে পঠন-পাঠন শুরু করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আমরা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক কে লিখিত আকারে জানিয়েছি।
ধূপগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং বলেন, পৌরসভা ও স্বাস্থ্য দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আজকে ২০০ জন ছাত্রীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারন সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেছেন যে স্কুল-কলেজ ১৬ তারিখে খুলে যাবে, তাই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ থেকেই ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলো। কলেজের পঠন পাঠন চালুর ব্যাপারে যদি কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের সাহায্য চায়, তাহলে আমরা জেলাশাসক এর সাথে এ বিষয়ে কথা বলব।