৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউসিসি চালু করতে দিওয়ালির পরই উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা অধিবেশন

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৩, শনিবার
  • / 6

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ‘বাই হুক অর বাই ক্রুক’, এই ফর্মুলায় কেন্দ্রে গত ১০ বছর ধরে সরকার চালাচ্ছে বিজেপি। একই ফর্মুলার কপি-পেস্ট চলছে বিজেপি শাসিত ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলিতেও। আগামী সপ্তাহে এই কপি-পেস্ট নীতির প্রতিফলন দেখা যাবে বিজেপি-শাসিত উত্তরাখণ্ডে। এর আগে ছুতোনাতায় উত্তরাখণ্ড থেকে মুসলিমদের উচ্ছেদ করতে অনেক খেলাই দেখিয়েছে সে রাজ্যের উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। কখনও লাভ জিহাদের ধুয়ো তুলে বাড়ি ঘর ভাঙচুর, কখনও অর্থনৈতিক বয়কটের ডাক দিকে মুসলিমদের উচ্ছেদ করার সব রকম চেষ্টা চলেছে। সম্প্রতি বহু মুসলিম পরিবার ভয়ে রাজ্য ছেড়ে পালিয়েছেন। অবশিষ্ট যারা আছেন, তাদের কোণঠাসা করতে এবার ইউসিসি চালু করবে পুস্কর সিং  ধামি-র সরকার।

ব্লু-প্রিন্ট আগেই তৈরি ছিল। শুধু দিন ঘোষণাটাই বাকি ছিল। সরকারি সূত্রের মতে, দিওয়ালির ঠিক পরই বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকবেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে উপস্থাপন  করা হবে ইউনিফর্ম সিভিল কোড সংক্রান্ত বিল।

এই বিলের খসড়া তৈরি করতে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে কমিটি তৈরি করেছিল সেই রাজ্যের সরকার। সেসবই এখন প্রস্তুত। শুধু বিধানসভায় পাশ করালেই বিজেপির দশ বছরের স্বপ্ন পূরণ করে ফেলবেন মুখ্যমন্ত্রী ধামী। এই বিল আইনে পরিণত হলে ‘পার্সোনাল ল’ বলে কিছু থাকবে না। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে মুসলিম, খ্রিস্টান, আদিবাসী সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীরা। এক দেশ এক আইনের নামে একপ্রকার জোর করেই তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি কেড়ে নেওয়া হবে।

বিবাহ, বিবাহ-বিচ্ছেদ, সম্পত্তির উত্তরাধিকার সহ অন্যান্য ব্যক্তিগত বিষয়গুলিতে আমূল পরিবর্তন আনা হবে।

ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই ধামি ইউসিসির তোপ দিয়েছিলেন। প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন, বিজেপি ও আরএসএস-র ‘এক দেশ, এক আইন’ নীতিকে কার্যকর করেই ছাড়বেন। এবার সেই প্রতিশ্রতিকেই আইনে পরিণত করার চেষ্টা করবেন ধামি। মনে করা হচ্ছে, এ যাত্রায় ধামি সফল হলে, সুযোগ বুঝে একই আইন আনা হবে গুজরাত সহ অন্যান্য ডবল ইঞ্জিন সরকারগুলিতে।

সূত্রের মতে, উত্তরাখণ্ডে ইউসিসি-র যে খসড়া তৈরি হয়েছে, তাতে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাছাড়া লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে রেজিসট্রেশন করানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইউসিসি চালু করতে দিওয়ালির পরই উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা অধিবেশন

আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ‘বাই হুক অর বাই ক্রুক’, এই ফর্মুলায় কেন্দ্রে গত ১০ বছর ধরে সরকার চালাচ্ছে বিজেপি। একই ফর্মুলার কপি-পেস্ট চলছে বিজেপি শাসিত ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলিতেও। আগামী সপ্তাহে এই কপি-পেস্ট নীতির প্রতিফলন দেখা যাবে বিজেপি-শাসিত উত্তরাখণ্ডে। এর আগে ছুতোনাতায় উত্তরাখণ্ড থেকে মুসলিমদের উচ্ছেদ করতে অনেক খেলাই দেখিয়েছে সে রাজ্যের উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। কখনও লাভ জিহাদের ধুয়ো তুলে বাড়ি ঘর ভাঙচুর, কখনও অর্থনৈতিক বয়কটের ডাক দিকে মুসলিমদের উচ্ছেদ করার সব রকম চেষ্টা চলেছে। সম্প্রতি বহু মুসলিম পরিবার ভয়ে রাজ্য ছেড়ে পালিয়েছেন। অবশিষ্ট যারা আছেন, তাদের কোণঠাসা করতে এবার ইউসিসি চালু করবে পুস্কর সিং  ধামি-র সরকার।

ব্লু-প্রিন্ট আগেই তৈরি ছিল। শুধু দিন ঘোষণাটাই বাকি ছিল। সরকারি সূত্রের মতে, দিওয়ালির ঠিক পরই বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকবেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে উপস্থাপন  করা হবে ইউনিফর্ম সিভিল কোড সংক্রান্ত বিল।

এই বিলের খসড়া তৈরি করতে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে কমিটি তৈরি করেছিল সেই রাজ্যের সরকার। সেসবই এখন প্রস্তুত। শুধু বিধানসভায় পাশ করালেই বিজেপির দশ বছরের স্বপ্ন পূরণ করে ফেলবেন মুখ্যমন্ত্রী ধামী। এই বিল আইনে পরিণত হলে ‘পার্সোনাল ল’ বলে কিছু থাকবে না। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে মুসলিম, খ্রিস্টান, আদিবাসী সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীরা। এক দেশ এক আইনের নামে একপ্রকার জোর করেই তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি কেড়ে নেওয়া হবে।

বিবাহ, বিবাহ-বিচ্ছেদ, সম্পত্তির উত্তরাধিকার সহ অন্যান্য ব্যক্তিগত বিষয়গুলিতে আমূল পরিবর্তন আনা হবে।

ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই ধামি ইউসিসির তোপ দিয়েছিলেন। প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন, বিজেপি ও আরএসএস-র ‘এক দেশ, এক আইন’ নীতিকে কার্যকর করেই ছাড়বেন। এবার সেই প্রতিশ্রতিকেই আইনে পরিণত করার চেষ্টা করবেন ধামি। মনে করা হচ্ছে, এ যাত্রায় ধামি সফল হলে, সুযোগ বুঝে একই আইন আনা হবে গুজরাত সহ অন্যান্য ডবল ইঞ্জিন সরকারগুলিতে।

সূত্রের মতে, উত্তরাখণ্ডে ইউসিসি-র যে খসড়া তৈরি হয়েছে, তাতে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাছাড়া লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে রেজিসট্রেশন করানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।