পুবের কলম প্রতিবেদক: অ্যাকাডেমিক ছাড়া পেশাদার ব্যক্তিরাও উপাচার্য পদে আবেদন করতে পারেন। উপাচার্য ও শিক্ষক নিয়োগে বদল আনছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। সম্প্রতি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়মের আমূল বদলের একটি খসড়া বিধি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। বেশ কিছু ক্ষেত্রে গণ্ডি-ভাঙা বদল আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এর মধ্যে অন্যতম হল এবার থেকে ইউজিসির নিয়মে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অ্যাকাডেমিক ঘরানার ব্যক্তি নাও হতে পারেন, তাছাড়া চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক-অধ্যাপক নেওয়ার বিষয়েও খসড়া বিধিতে আলোচনা রয়েছে। এমনকী অধ্যাপক নিয়োগের ক্ষেত্রে নেট উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক নয় বলেও জানানো হয়েছে। উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রেও মানদণ্ডের বিস্তার ঘটানো হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, পলিসি মেকিং ইত্যাদি ক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট পেশাদার ব্যক্তিরাও এবার থেকে উপাচার্য হতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়ের। তবে এক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক্সে তাঁর ভূয়সী অবদান থাকতে হবে।
নয়া নিয়মে বলা হচ্ছে, কোনও প্রার্থী গণিতে স্নাতক এবং পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হলেও তিনি চাইলে রসায়নে পিএইচডি করতে পারেন এবং এই পিএইচডির বিষয় হিসেবে তিনি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন পড়ানোর জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। একইভাবে যে সমস্ত প্রার্থীরা ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট উত্তীর্ণ হয়েছেন স্নাতকোত্তর বা স্নাতকে পড়ার বাইরে অন্য বিষয়ে, তারাও যে বিষয়ে নেট উত্তীর্ণ হয়েছেন সেই বিষয় পড়াতে পারবেন।
এই নয়া নিয়মে বলা হয়েছে, এম.ই বা এম.টেক ডিগ্রিতে যে সমস্ত প্রার্থী ৫৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন, তারা কোনো রকম ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্টে উত্তীর্ণ না হয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হতে পারবেন। নয়া শিক্ষানীতি কার্যকর করতেহ এই উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।