পুবের কলম প্রতিবেদকঃ সিতাইয়ে বিএসএফের গুলি চালনা ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন দিনহাটার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক উদয়ন গুহ। শুক্রবার বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ঘটনার জন্য সরাসরি বিএসএফকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। উদয়ন গুহ স্পষ্ট অভিযোগ করেছেন, বিএসএফের মদতেই সীমান্ত এলাকায় চলে গরু পাচার। ভারতীয়দের ওপরেই জুলুমবাজি করে বিএসএফই।
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য সীতাইয়ে আজ বিএসএফের গুলিতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এদিন বিএসএফের গুলি চালানোর পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। যেভাবে সরাসরি মাথায় গুলি চালানো হয়েছে তাতে এই ঘটনাকে পরিকল্পিত খুন আখ্যা দেন তিনি।
উদয়ন গুহ বলেন, ভারতীয় সীমান্তের ১৫০ গজ ভিতরে কাঁটাতারের বেড়া। ভারত তার নিজের জায়গা ছেড়ে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে। যত জুলুম ভারতীয়দের ওপর। বিএসএফের কী জুলুম আমরা জানি।
আমরা যারা সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করি– আমরা জানি। আমাদের পর্যন্তও ছাড়ে না ওরা। গাড়ি আটকে নানা প্রশ্ন করে বিব্রত করে। সাধারণ মানুষও ওপরেও ওদের অত্যাচার বাড়বে। সিতাইয়ের এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনা করেছেন উদয়ন গুহ।
দিনহাটার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বলেছেন বিএসএফের মদতেই চলে গরু পাচার। দিনহাটায় সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনার সরাসরি বিএসএফকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ভারতীয় সীমান্তের ১৫০ গজ ভিতরে কাঁটাতারের বেড়া। ভারত তার নিজের জায়গা ছেড়ে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে। যত জুলুম ভারতীয়দের ওপর। বিএসএফের কী জুলুম আমরা জানি। আমরা যারা সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করি, আমরা জানি। আমাদের পর্যন্তও ছাড়ে না ওরা। গাড়ি আটকে নানা প্রশ্ন করে বিব্রত করে। সাধারণ মানুষও ওপরেও ওদের অত্যাচার বাড়বে।’
সিতাইয়ের ঘটনা নিয়ে অমিত শাহের মন্ত্রকের জবাবদিহি দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে, সিতাই সীমান্তে বিএসএফ এর গুলি চালানোর ঘটনায় ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। কোচবিহার সীমান্ত গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের আওতায় পড়ে। তাই সিতাই সীমান্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্তার রিপোর্ট তলব গুয়াহাটির বিএসএফএর আইজির। কী ঘটনা ঘটেছিল? কতজন জড়ো হয়েছিল? গুলি চালানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কিনা? ৬টি বিষয়ে জানতে চেয়ে রিপোর্ট চাইলেন গুয়াহাটির আইজি। গুলি চালানোর কারণ উল্লেখ করে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোচবিহারের সিতাই সীমান্তে বিএসএফেরএর গুলি। প্রথমে ২ বাংলাদেশি ও ১ ভারতীয়র মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। পরে আরও এক জনের দেহ উদ্ধার হয়। গরু পাচারের অভিযোগে গুলি, দাবি বিএসএফেরর। সাতভাণ্ডারীতে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ।
তবে বিএসএফ বলছে, মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। অসমর্থিত সূত্রে মোট চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। একজনের দেহ পড়ে রয়েছে সীমান্তের কাঁটাতারের এপারে। অপর তিন জনের দেহ ওপারে পড়ে। গুলি চালনার ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তবে বিএসএফের বক্তব্য, চোরাপথে গরু পাচার চলছিল। পাচারকারীদের ধরতেই গুলি। এখনও পর্যন্ত তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বিএসএফের বক্তব্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।