ইউসিসি সংখ্যালঘু জনজাতিদের স্বার্থ বিরোধী : মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী

- আপডেট : ৫ জুলাই ২০২৩, বুধবার
- / 11
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ইউসিসি বিরিদ্ধে মুখ খুললেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। ইউসিসি সংখ্যালঘু জনজাতি, বিশেষ করে মিজোদের স্বার্থে আঘাত দেবে বলে জানিয়েছেন জোরামথাঙ্গা। মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ) প্রধান ও মোজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা আইন কমিশনকে চিঠি লিখে স্পষ্ট করেছেন, কোনওভাবেই তিনি বা তাঁর দল ইউসিসিকে সমর্থন জানাচ্ছে না।
কারণ তাতে তাঁর রাজ্যের মানুষজন সমস্যায় পড়বে। মিজোদের নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে, আর তার সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু ব্যক্তিগত আইনও রয়েছে। ইউসিসি হলে সেগুলো বাদ পড়ে যাবে। মিজোদের সংস্কৃতিতে আঘাত করবে ইউসিসি।
সংবিধানের ৩৭১ (জি) ধারায় মিজোদের ব্যক্তিগত আইনকে মর্যদা দেওয়া হয়েছে। এখন ইউসিসি চলু করলে নতুন আইন সংবিধানের ৩৭১ (জি) ধারাকেও চ্যালেঞ্জ করবে। তাঁদের সামাজিক প্রথাতেও আঘাত হানা হবে।
জোরামথাঙ্গার দল এনডিএ-এর শরিক দল হলেও বিজেপির এই ‘ইস্তাহার শপথে’ তাদের সঙ্গ দিতে নারাজ। উল্লেখ্য, জোরামথাঙ্গার আগেই মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কোনরাড কে সাংমা ইউসিসি-এর জোর বিরোধিতা করেছেন। তাঁর দল এনপিপি ও বিজেপির শরিক দল। কিন্তু সাংমা বা তাঁর দল কেউই চাইছে না ইউসিসি-এর নামে ব্যক্তিগত আইনে আঘাত করা হোক। তাতে রাজ্যবাসীরা আহত হবেন। আর তার আঁচ পড়বে সরকারের উপর।
গত মাসে আইন কমিশন একটি পাবলিক নোটিশ জারি করে ইউসিসি সম্পর্কে মানুষ কি ভাবছে, তা জানার চেষ্টা করেছে। একদিকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি প্রস্তাবিত ইউসিসি-র বিরোধীতা করছে। তাছাড়া আদিবাসী অধ্যুষিত রাজ্যগুলি থেকেও বিরোধীতার সুর চড়ানো হয়েছে। আরবিন্দ কেজরিওয়াল ইউসিসি-এর পক্ষে সওয়াল করলে পঞ্জাবে শিখরা এর তীব্র বিরোধিতা শুরু করেছে। একই বক্তব্য মুসলমান, খ্রিস্টান-সহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের।
মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা একপ্রকার হুঁশিয়ারির ভঙ্গিতেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, শরিক দল বিজেপির স্বার্থের থেকে তাঁর রাজ্যের মানুষের স্বার্থই তাঁর ও তাঁর দলের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি লিখেছেন, এনডিএ-এর নীতি ও কর্মসূচির প্রতি তাদের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু কোনও নীতি যদি জনগণের স্বার্থ বিরোধী হয়, তাহলে সেই নীতিতে সমর্থন নয়।
জোরামথাঙ্গা আইন কমিশনকে জানিয়েছেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ইউসিসি বিরোধী একটি প্রস্তাব পাশ করানো হয়েছে মিজোরাম বিধানসভায়। ফলে কোনওভাবেই এই আইনকে সমর্থন করবেন না তারা। এই বছরের শেষের দিকেই মিজোরামে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কোনওভাবেই রাজ্যবাসীর সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চাইছেন না জোরামথাঙ্গা বা তাঁর দল।