১২ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারী শিক্ষা প্রচারের জের, ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড ২০২৪  পেলেন দুই আফগান মহিলা শিক্ষাকর্মী

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৬ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার
  • / 74

কাবুল, ৬ ডিসেম্বর: ক্রমাগত নারী শিক্ষার পক্ষে সোচ্চারের জের। ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-  পেলেন দুই আফগান মহিলা শিক্ষাকর্মী।  জানা গেছে, পাথ অফ চেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষাকর্মী  রুবিনা আজিজি নারী শিক্ষা প্রচারে তাঁর অদম্য সাহস ও অধ্যবসার কারণে উক্ত পুরষ্কারে সম্মানিত হয়েছেন। আফগানিস্তানে মেয়েদের জন্য পৃথক স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বানাতেপাথ অফ চেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। সেই সময় আজিজির এহেন পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন অনেকেই। তবে শুধু আজিজি নয়, আফগানিস্তানে মেয়েদের শিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন শিক্ষাকর্মী মুজদা আকবারী। কোডগ্রিনএএফজি ডট ওআরজি নামক একটি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তিনি। এদিন আকবরী তার পুরষ্কারটি আফগানিস্তানের কঠোর পরিশ্রমী নারী ও তার উদ্যোগের পিছনে নিবেদিত দলকে উৎসর্গ করেছেন।

আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের মতে, তালেবানের কাবুল জয়ের পর থেকে উদ্বেগ ছিল যে তারা মেয়েদের শিক্ষার অধিকার রুদ্ধ করে দেবে কিনা। সমস্ত উদ্বেগ দূর করে দিয়ে তারা পর্দাসাপেক্ষে মেয়েদের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা বহাল রাখার নীতি নিয়েছে। ইসলামিক মূলনীতি হিসেবে তারা সহশিক্ষা অনুমোদন করেনি; তবে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্য আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠানে পড়ার নির্দেশ দিয়েছে।

তারা বলেছে, মেয়েদের উচ্চশিক্ষা অর্জনে তাদের কোনো আপত্তি নেই। শরিয়া মোতাবেক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন খাতে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে। নারীদের ব্যাপারে তালেবানের বর্তমান অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত বাস্তবমুখী বলে প্রতীয়মান হয়। তবে তালেবানকে ‘নারীবিদ্বেষী’ হিসেবে তুলে ধরার হাজারো প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা মিডিয়া। আর তাদের এই অর্ধসত্য প্রচার সোজাসাপ্টা গ্রহণ করেছে সাধারণ মানুষ।

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নারী শিক্ষা প্রচারের জের, ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড ২০২৪  পেলেন দুই আফগান মহিলা শিক্ষাকর্মী

আপডেট : ৬ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার

কাবুল, ৬ ডিসেম্বর: ক্রমাগত নারী শিক্ষার পক্ষে সোচ্চারের জের। ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-  পেলেন দুই আফগান মহিলা শিক্ষাকর্মী।  জানা গেছে, পাথ অফ চেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষাকর্মী  রুবিনা আজিজি নারী শিক্ষা প্রচারে তাঁর অদম্য সাহস ও অধ্যবসার কারণে উক্ত পুরষ্কারে সম্মানিত হয়েছেন। আফগানিস্তানে মেয়েদের জন্য পৃথক স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বানাতেপাথ অফ চেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। সেই সময় আজিজির এহেন পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন অনেকেই। তবে শুধু আজিজি নয়, আফগানিস্তানে মেয়েদের শিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন শিক্ষাকর্মী মুজদা আকবারী। কোডগ্রিনএএফজি ডট ওআরজি নামক একটি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তিনি। এদিন আকবরী তার পুরষ্কারটি আফগানিস্তানের কঠোর পরিশ্রমী নারী ও তার উদ্যোগের পিছনে নিবেদিত দলকে উৎসর্গ করেছেন।

আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের মতে, তালেবানের কাবুল জয়ের পর থেকে উদ্বেগ ছিল যে তারা মেয়েদের শিক্ষার অধিকার রুদ্ধ করে দেবে কিনা। সমস্ত উদ্বেগ দূর করে দিয়ে তারা পর্দাসাপেক্ষে মেয়েদের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা বহাল রাখার নীতি নিয়েছে। ইসলামিক মূলনীতি হিসেবে তারা সহশিক্ষা অনুমোদন করেনি; তবে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্য আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠানে পড়ার নির্দেশ দিয়েছে।

তারা বলেছে, মেয়েদের উচ্চশিক্ষা অর্জনে তাদের কোনো আপত্তি নেই। শরিয়া মোতাবেক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন খাতে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে। নারীদের ব্যাপারে তালেবানের বর্তমান অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত বাস্তবমুখী বলে প্রতীয়মান হয়। তবে তালেবানকে ‘নারীবিদ্বেষী’ হিসেবে তুলে ধরার হাজারো প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা মিডিয়া। আর তাদের এই অর্ধসত্য প্রচার সোজাসাপ্টা গ্রহণ করেছে সাধারণ মানুষ।