পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভায় তুলকালামের ঘটনায় উত্তরবঙ্গ থেকেই ফিরহাদ হাকিমকে সরাসরি ফোন করে খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঁচদিনে সফরে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল শিলিগুড়ি থেকে রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ড নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে আজ ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। জামা ধরে টানাটানি থেকে ধরে ছিঁড়ে দেওয়া, একে অপরকে ঘুসি মারার অভিযোগ ওঠে। সব মিলিয়ে ধুন্ধুমার বিধানসভা। ঘটনায় পাঁচ জন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারী সহ পাঁচ বিধায়ক সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগগা, শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মণ, নরহরি মাহাতো। পরবর্তী বিধানসভা পর্যন্ত এই শুভেন্দু সহ পাঁচ বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আহত চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারকে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তার নাকের হাড় ভেঙেছে বলে জানা গেছে। ২১০ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন অসিত মজুমদার।
অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী শিবিরের উদ্দেশে বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটল সেটা অনভিপ্রেত। বিধানসভার নিয়মকানুন নিয়ে পড়াশোনা করেন না। বিধানসভার গুরুত্ব তাঁরা বোঝেন না। সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই বিধানসভার সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার তালিকা তৈরি হবে। কীভাবে সেই ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায় সেটাও দেখা হবে বলে জানান বিধানসভার অধ্যক্ষ।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ‘বিধানসভার ঐতিহ্য নষ্ট করা হয়েছে। তাদের এই ধরনের কাজকে আমরা নিন্দা জানাই। আমাদের বিধায়কদের বলেছি সতর্ক থাকতে। ভিতরে ও বাইরে তারা যে ধরনের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে আমরা তার তীব্রভাবে বিরোধিতা করছি। পরিকল্পনা করে, বিধানসভায় অশান্তি ঘটানো হয়েছে। বিধানসভার মর্যাদাহানি করা হয়েছে। আমাদের দল এর মোকাবিলা করবে। বিধানসভার শেষদিন পর্যন্ত চক্রান্ত করে অশান্তি। বাংলাকে অশান্তি করাই বিজেপির লক্ষ্য।’।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, “আজ কলকাতা পুলিশের কিছু কর্মীকে সিভিল ড্রেসে আনা হয়েছে। শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছে। প্রায় ১০ জন বিধায়ক আহত হয়েছেন। ২ জনের আঘাত গুরুতর। আমাদের অনৈতিকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে’।
বিজেপি মহিলা বিধায়কদেরও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।