পুবের কলম প্রতিবেদক তাঁর ছেলে শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু পিতা শিশির অধিকারীকে নিয়ে রয়ে গিয়েছে ধোঁয়াশা। কিন্তু এবার শিশির অধিকারীকে নিয়ে কড়া অবস্থান নিতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের অন্দরে এমনই জোর জল্পনা দেখা দিয়েছে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন– কারা প্রকাশ্যে বিজেপিকে সমর্থন করেছেন– তা নজরে রেখেছে দল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গোটা বিষয়টি দেখেছেন। আর তাই তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।
সূত্রের খবর– তৃণমূলে থেকে যারা বিজেপিকে সাহায্য করেছেন তাদের কাছে জবাবদিহি চাওয়া হবে। আর তাই শিশির অধিকারী নিয়ে দেখা দিয়েছে জল্পনা। এখন দেখার দল তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়। প্রসঙ্গত– ভোটের আগের দিন একটি অডিয়ো রেকর্ড বা ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সূত্রের খবর– সেই অডিয়োতে শিশির অধিকারী কথা বলেছিলেন।
জানা গিয়েছে ফোনালাপে বলা হয়েছিল- ‘আমি শিশির অধিকারী বলছি বাবা।’ তরুণ কণ্ঠের ব্যক্তি উত্তর দেন– ‘হ্যাঁ– স্যার– বলুন স্যার।’ এর পর সেই বয়স্ক কণ্ঠের ব্যক্তি অন্য জনের পরিচয় জানতে চান। তখন তরুণ কণ্ঠের ব্যক্তি বলেন– ‘আমি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিত্যানন্দ’ এর পর নিজেকে শিশির অধিকারী পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি বলেন– ‘আমার ছেলে বলেছিল– আপনাকে ফোন করে এক বার বলতে। একটু দেখে দেবেন বাবা।’ তখন নিত্যান্দ পরিচয়ের ব্যক্তি পালটা প্রশ্ন করেন– ‘কাকে দেখব স্যার?’ উত্তরে বয়স্ক কণ্ঠ বলেন– ‘শুভেন্দুর প্রার্থী।’
তারপর ফোনে নিত্যানন্দ’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেন– শুভেন্দুর প্রার্থী মানে কে স্যার বলুন?’ তখন নিজেকে শিশির হিসাবে পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি উত্তর দেন– ‘সে আপনাকে দেখে নিতে হবে। আমি বলতে পারব না।’ নিত্যানন্দ’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি প্রশ্ন করেন– শুভেন্দুতো বিজেপি করেন। আপনিও তা হলে বিজেপি-কে দিতে বলছেন?’ তখন শিশির পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি জবাব দেন– ‘আমি বলব– ভদ্রলোককে দেবেন। চোর-ডাকাতকে দেবেন না। তৃণমূল পার্টিতে যাঁরা আছেন সেটা আপনি আমার থেকে বেশি জানেন। আপনি বুদ্ধিমান লোক। চোর-ডাকাত চেনেন না? আমি খুব বিনীত ভাবে বলছি।’
নিত্যানন্দ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি পালটা খোঁচা দেন– ‘আপনি যদি সাংসদ পদ ছেড়ে নেমে পড়তেন– তা হলে স্যার– সব জিতে যেত। আর তৃণমূল মাঠে থাকত না। জয় বাংলা– জয় বাংলা।’ একটি প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমে অডিয়ো নিয়ে বিস্তারিত খবর করেছে। তাদের দাবি– তারা ভাইরাল রেকর্ডের সত্যতা যাচাই করেনি।