পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূলে যোগ দিলেন বিনয় তামাং ও রোহিত শর্মা। ব্রাত্য বসুর হাত ধরে যোগদান। কার্শিয়াংয়ের প্রাক্তন বিধায়ক রোহিত শর্মা। জিটিএ নির্বাচনের আগেই বিনয় তামাংয়ের তৃণমূলে যোগদান নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিন যোগদান করে GTA-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিনয় তামাং বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই তৃণমূলে যোগদান করেছি। আমরা চাই পাহাড়ে আরও উন্নতি হোক, শিক্ষার প্রসার হোক। তাই তৃণমূলের মতো এক সর্বভারতীয় দলে যোগদান করলাম। উত্তরবঙ্গের মানুষের সেবা করতে চাই।
এই যোগদান অনুষ্ঠানে ব্রাত্য বসু বলেন, সর্বত্র বিভাজনের রাজনীতি করে বিজেপি। পাহাড়- সমতল, নারী-পুরুষ, সব জায়গাতেই বিভাজনের রাজনীতিতেই অভ্যস্থ তারা। বিজেপির মেরুদণ্ড ভেঙেছে মমতা।
পাহাড়ের রাজনীতিতে বিনয় তামাং একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। বাড়ি দার্জিলিঙের ডালি এলাকায়। তাঁর বাবা ব্রিটিশ সেনায় কর্মরত ছিলেন। স্নাতক উত্তীর্ণ হওয়ার পর সেই স্কুলেই শিক্ষকতা শুরু করেন বিনয়। পরে বিনয় প্রশান্ত তামাং ফ্যান ক্লাবে যাতায়াত শুরু করেন। ইন্ডিয়ান আইডল প্রশান্ত তামাংকে ভোট দেওয়ার প্রশ্নে সুবাস ঘিসিংকে পাহাড় থেকে ঠেলে উত্থান ঘটে বিমল গুরুং-দের। আর সেই সময়েই প্রশান্ত তামাং ফ্যান ক্লাবে যাতায়াতের সুত্রে বিনয়ের সঙ্গে আলাপ হয় বিমল গুরুং-এর। গুরুং তাঁর দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা গঠন করলে তার প্রচারসচিব করা হয় বিনয়কে। ২০০৭ সালে পাহাড়ের আন্দোলনের জেরে বিনয় তামাংকে দশ মাসের জন্য জেলেও যেতে হয়। আর এই পর্বেই সংবাদ মাধ্যমকে ভুল কিছু তথ্য সরবরাহের অভিযোগে তাকে প্রচার সচিবের পদ থেকে সরিয়ে দেন গুরুং। সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় হরকাবাহাদুর ছেত্রীকে। তখন থেকেই গুরুং-এর সঙ্গে তার ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু।
পাহাড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দুভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ার পরে মোর্চার দ্বিতীয় অংশের প্রধান ছিলেন বিনয় তামাং। অনীত থাপার সঙ্গে হাত মিলিয়ে, তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা রেখে পাহাড়ে মোর্চাকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করতেন তিনি। সেই বিনয় তামাং মোর্চার পদ ত্যাগ করেন।
২০১১ সালে জিএনএলএফ-এর পেমু ছেত্রীকে ৯৩ হাজার ৯৬ ভোটে হারিয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন রোহিত শর্মা। ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে লড়েন প্রাক্তন জিএনএলএফের বিধায়ক শান্তা ছেত্রী। ওই বছর তাঁকে ৩৩ হাজার ৭২৬ ভোটে পরাজিত করেছিলেন রোহিত শর্মা।