পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ আর জি কর হাসপাতালে নিহত তরুণী চিকিৎসকের খুন- ধর্ষণ মামলায় আজ, সোমবার থেকে শিয়ালদহ আদালতে শুরু হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়া। সিবিআই তদন্তভার গ্রহণের ৮৭ দিন পর শুরু হতে চলেছে শুনানি। আদালত সূত্রে খবর দুপুর দুটোর পর রুদ্ধদ্বার কক্ষে শুরু হবে মামলার শুনানি। দ্রুত নিস্পত্তির জন্য সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন করে চলবে শুনানি।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে। জানা গেছে এদিন প্রথমেই নির্যাতিতার বাবার সাক্ষ্যদান করার কথা।
তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় ছাড়াও একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে বারবার সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের পক্ষ থেকে। যদিও সিবিআইয়ের চার্জশিটে বা শুরুর দিকে কলকাতা পুলিশের তদন্তে তেমন কোনও তথ্য উঠে আসেনি। এরইমধ্যে গত সোমবার চার্জ গঠনের দিন, শিয়ালদহ আদালত চত্বরে প্রিজন ভ্যান থেকে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় দাবি করে- তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে।
গত ৯ অগস্ট আর জি করের চারতলার সেমিনার হল থেকে ডাক্তারি ছাত্রীর রক্তমাখা দেহ উদ্ধার হয়েছিল। কর্মস্থলে এভাবে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে সেদিন থেকেই গর্জে উঠেছিল সমাজ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই আন্দোলন আরও তীব্রতর হয়েছিল। ঘটনার চারদিন পর আদালতের নির্দেশে তদন্তভার গ্রহণ করে সিবিআই।
খুন-ধর্ষণের পশাপাশি তথ্যপ্রমাণ লোপাট, দুর্নীতির তদন্তও করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। খুন ধর্ষণ কাণ্ডে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার আইসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তবে ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে সঞ্জয় ছাড়া দ্বিতীয় কোনও গ্রেফতার নেই। এই ইস্যুতে সম্প্রতি সিজিওতে গিয়েও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকদদের একাংশ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও একাধিক প্রশ্ন রেখেছিলেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে বিচার প্রক্রিয়ার উপর তাকিয়ে আছে সবপক্ষই।