পুবের কলম প্রতিবেদকঃ মানুষকে বারবার বলেও সঠিকভাবে মাস্ক পরছে না। কেউ নিয়ম রক্ষার্থে পরলেও তা গলায় ঝুলছে। এই চিত্র প্রতিনিয়ত দেখা যায় শহরের প্রতিটি রাস্তায়। এবার এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে কোনও রকম কড়াকড়ি নয়, বরং নাগরিকদের চ্যালেঞ্জ জানালেন মহানাগরিক– ‘মাস্ক আপ কলকাতা’। এই চ্যালেঞ্জ জিততে পারলেই মিলবে কলকাতা পুরসভার তরফে পুরস্কার। বিজেতারা পাবেন সরাসরি মেয়রের সঙ্গে কথা বলার সুযোগও।
শনিবার কলকাতা পুরসভায় নাগরিকদের উদ্দেশ্যে এই নয়া চ্যালেঞ্জের কথা ঘোষণা করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন– ‘শহরবাসীর মধ্যে মাস্ক না পরার প্রবণতা রয়েছে। বারবার সতর্ক করেও কাজ হচ্ছে না। সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এই নয়া প্রোগ্রাম লঞ্চ করা হল। এ ছাড়া রাস্তায় বের হলে সবসময় মাস্ক পরছে– এমন লোককে কলকাতা পুলিশের ক্যামেরায় চিহিত করে পুরস্কার দেওয়া হবে।’
এই চ্যালেঞ্জ অংশ গ্রহণ করতে হলে মাস্ক পরে কলকাতা পুরসভার ওয়েবসাইটে ছবি আপলোড করতে হবে। সেখান থেকে সেরা বাছাই করা হবে। বাছাই করা পরিবারগুলিকে পুরস্কৃত করা হবে। এমনকী মেয়রের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগও পাবেন তাঁরা, তবে ভার্চুয়ালি। এই ইভেন্ট দু’সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার শহরে ফের বাড়ে কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। এ দিন ২৯ থেকে কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৪টি। নতুনভাবে যে এলাকাগুলিতে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন হয়েছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে– ৩ নম্বর বরোয় ৪টি কোনটাইনমেন্ট জোন– ৬ নম্বর বরোতে ৪টি– ৭ নম্বর বরোতে ৪টি– ৯ নম্বর বরোতে ২টি– ১০ নম্বর বরোতে ১০টি– ১২ নম্বর বরোতে ১১টি– ১৪ নম্বর বরো ৩টি জোন ও ১৬ নম্বর বরোতে ৫টি কন্টেনমেন্ট জোন। এর মধ্যে দেখা গিয়েছে, ১০ নম্বর বরো এলাকায় ধারাবাহিকভাবে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা শীর্ষে রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন– ‘কনটেনমেন্ট জোনের মানুষজনকে বারবার সতর্ক করেও কাজ হচ্ছে না। কিন্তু বলা ছাড়ব না। ১০ নম্বর বরোতে অনেকগুলো বহুতল হয়েছে। সেইসব জায়গায় করোনা সংক্রমণ বেশি বাড়ছে।’ এই বিষয়ে পুর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।