‘যারা ভাল কাজ করবেন না, তাদের আমি সরিয়ে দেব’, আমলাদের কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

- আপডেট : ১৭ জানুয়ারী ২০২৪, বুধবার
- / 6
পুবের কলম প্রতিবেদক: ‘যারা ভাল কাজ করবেন না, তাদের আমি সরিয়ে দেব’। বুধবার রাজ্যের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে ঠিক এই ভাষাতেই সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, বিভাগীয় সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে রীতিমত কড়া মনোভাবের পরিচয় দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবারের বৈঠকে আধিকারিকদের কার্যত চরম হুঁশিয়ারি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যারা ভাল কাজ করবেন না, তাদের আমি সরিয়ে দেব।”
নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, যে অফিসাররা কাজ করছেন না তাদের বিরুদ্ধে সেকশন ৫৬(জে) রুল অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বৈঠকে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দুয়ারে সরকার হওয়ার পরেও অনেকেই সন্তুষ্ট হচ্ছেন না। পরিষেবা ঠিকঠাক দেওয়া হচ্ছে না। এদিনের বৈঠকে কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের মুখে পড়েন সরকারি আধিকারিকরা। তাঁর প্রশ্ন, যারা এসসি নন, তাদের কেন এসসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে? যারা এসটি নয়, তাদের কেন এসটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে? ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরকে আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুধু তাই নয়, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকে আরও সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, জমির পাট্টা নিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে। সেগুলো সমাধান করতে হবে। যদিও অফিসারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা কাজ করবেন, তাদের প্রশংসাও করা হবে। বুধবার বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, বিভিন্ন দফতরে সচিবদের নিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই এমনই কড়া বার্তা দেন বলে জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে। পাশাপাশি জলস্বপ্ন প্রকল্পের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেক জায়গায় পাইপ ফেলে দেওয়া হচ্ছে কিন্তু, জল পৌঁছাচ্ছে না। আগে জলের কানেকশন দাও, তারপর পাইপ লাইন ফেলো।” একইসঙ্গে, লোকসভা নির্বাচনের আগেই সারপ্রাইজ ভিজিটে জেলাগুলিতে যাওয়ার কথা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যখন তখন আমি সারপ্রাইজ ভিজিট করব জেলাগুলিতে। আমি সব জেলায় যাব।”
এদিন রাজ্য সরকারের জনপ্রিয় কর্মসূচি ‘দুয়ারে সরকার’ নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে সাধারণ মানুষের ভুরিভুরি অভিযোগ নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পে ঠিকঠাক পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আবেদন জানানো সত্বেও বহু মানুষ ওই সুবিধা পাচ্ছেন না।’ তফশিলি জাতি ও উপজাতি শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি আধিকারিকদের উদাসীনতা নিয়েও বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘যারা এসসি নন, তাদের কেন এসসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে? যারা এসটি নয়, তাদের কেন এসটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে?’