লখনউ, ২০ ডিসেম্বর: বিদ্যুৎ দফতর সম্ভলের লোকসভা সাংসদ জিয়াউর রহমান বার্ককে ১ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সাংসদের বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিদ্যুৎ বিভাগের এক আধিকারিক এমনটা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সম্ভলে সাম্প্রদায়িক হিংসার তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন জিয়াউর। শুধু তাই নয়, সমাজবাদী পার্টির এই সাংসদ মসজিদ সার্ভের তীব্র বিরোধিতা করার পাশাপাশি প্রতিবাদে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন। যদিও গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে হিংসায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, তাঁর ভাষণের পরই পরিস্থিতি আরও হিংসাত্মক হয় ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের হয়েছে।
আর এবার তাঁকে বিদ্যুৎ চুরির দায়ে অভিযুক্ত করা হল। বিরোধীদের অভিযোগ, যোগী রাজ্যে কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলেই একতরফাভাবে শুধু মুসলিমদেরই নিশানা করা হয়। আইন-কানুন, ন্যায্য-অন্যায্য কোনও কিছুই তোয়াক্কা না করেই মুসলিমদের ঘর-বাড়ি, সম্পত্তিতে বুলডোজার চালিয়ে দেওয়া হত। সম্ভলের সাংসদের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাঁর বাড়ির একাংশে এদিন বুলডোজার চালিয়ে দেয় যোগীর প্রশাসন। তারপরও ক্ষান্ত হয়নি প্রতিহিংসা। আর তাই তাঁকে বিদ্যুৎ চুরির দায়ে ফাঁসানো হচ্ছে।
একটি সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্ভলের সাংসদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে বিদ্যুৎ আইন- ২০০৩-এর ১৩৫ ধারার অধীনে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। শুধু তাই নয়, সাংসদের পরিবারকে রীতিমতো কোণঠাসা করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, সাংসদের বাবা মামলুকুর রহমান বার্কের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীপা সরাই এলাকায় তাঁদের বাড়িতে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মকর্তরা অভিযানে এলে তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়।
সম্বলের বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক বিনোদ কুমার জানান, শুক্রবারও সম্ভলে বিদ্যুৎ পরিদর্শন অভিযান চলছে। বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে সাংসদকে ১.৯১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাঁর বাসভবনের বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ দফতরের অভিযোগ, মিটারে কারচুপি করে বিদ্যুৎ চুরি করেছেন সম্ভলের সাংসদ। তিনি আরও বলেন, সাংসদের বাড়িতে দুই কিলোওয়াটের দুটি সংযোগ ছিল। একটি তাঁর নিজের নামে। অপরটি তাঁর প্রয়াত দাদার নামে। ২দিন আগে সাংসদের বাসভবনে স্মার্ট মিটার বসানো হয়েছিল। গত ৬ মাসে মিটারগুলি শূন্য ইউনিট ব্যবহার দেখিয়েছে। সেইমতো মিটার পরীক্ষা করা হলে দেখা যায় দু’টি মিটারেই কারচুপি করা হয়েছে। যদিও বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন জিয়াউর ও তাঁর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, সবটাই ‘চক্রান্ত’।