এবার দুয়ারে ড্রোন, পৌঁছে দেবে ওষুধ থেকে মুদিখানা সবই

- আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, রবিবার
- / 8
পুবের কলম প্রতিবেদক : বর্তমান ব্যস্ত জীবনে দোকান, বাজারে আর কতটুকু যাওয়া হয়।ক্রমশ অনলাইন আর হোম ডেলিভারিতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি আমরা। তবে এবার দুয়ারে হোম ডেলিভারি পৌঁছে দেবে। সে মাসকাবারি মুদিখানাই হোক, ওষুধ বা রেস্তোরাঁর খাবার। দুয়ারে ড্রোন এসে পৌঁছে দেবে সেইসব।
বেশ কয়েকটি শহরে ইতিমধ্যেই সীমিতভাবে শুরু হয়েছে ড্রোনের মাধ্যমে হোম ডেলিভারি। ওষুধ, রেস্তোরাঁর খাবার, প্যাথলজিক্যল ল্যাবের নমুনা এবং রিপোর্ট আদান-প্রদানে ড্রোনের ব্যবহার শুরু হয়েছে একাধিক শহরে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো কলকাতার নাম।
একটি ড্রোন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সবুজ সংকেত দিয়েছে। এর আগে সাত দিন ওই সংস্থার ড্রোন পরিষেবার ট্রায়াল হয়েছে কলকাতার আকাশে। হাওড়ার কদমতলা থেকে সল্টেলেকের সেক্টর ফাইভে পাঠানো হয় একটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের সংগ্রহ করা নমুনা।
সড়ক পথে এই দুই জায়গার দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। সেখানে আকাশ পথ অতিক্রম করতে হয় মাত্র ১৫ কিলোমিটার এবং ১৫ মিনিটের মধ্য গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয় নমুনা। গাড়িতে এই পথ অতিক্রম করতে লাগে এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট। এতে সময় যেমন বাঁচবে তেমন সম্ভব হবে অতিদ্রুত পরিষেবা পাওয়া।
কলকাতায় ৬০ মিটার এবং হাওড়ায় ১২০ মিটার ওপর দিয়ে ড্রোন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তবে এর পাশাপাশি কলকাতা এটিসি মাথায় রাখছে নিরাপত্তার বিষয়টিিও। ফোর্ট উইলিয়াম, নবান্ন চত্ত্বর-সহ বেশ কিছু এলাকা নো ফ্লাইয়িং জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে কলকাতা এটিসি।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন পরিষেবা পরিচালনার জন্য এটিসি আলাদা একটি সেল তৈরি করেছে। তাদের কাছে ড্রোন ওড়ানোর সময় বুক করতে হবে। মনোনীত ১৪ টি রুটে কি কি পরিষেবা পৌঁছে দিতে চান গ্রাহককে তার সম্পূর্ণ তালিকা জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট ডেলিভারি সংস্থাকে। এরপর বিমান চলাচলের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তারা সময় ও রুট বলে দেবে।
দিল্লির যে সংস্থাটি কলকাতায় ড্রোন পরিষেবা চালু করার অনুমতি পেয়েছে তারা জানিয়েছে, কলকাতা ও হাওড়ায় তারা আপাতত ১৫টি কেন্দ্র খুলে ১৪টি রুটে ড্রোন পরিষেবা চালু করবে। অর্থাৎ এই দুই শহরের ১৪টি জায়গায় ড্রোনের সাহায্যে খাবার, ওষুধ ইত্যাদির হোম ডেলিভারির সুবিধা পাবেন।
এখন কলকাতায় এই পরিষেবাকে মানুষ কতটা আপন করে নেয় সেটাই দেখার।