পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ এবার শেখ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা আনল সিবিআই। ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, তারা অভিযোগকারীণির সঙ্গে কথা বলেই এই মামলা দায়ের করেছে। শেখ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে ধর্ষণের অভিযোগ সিবিআইয়ের।
এদিকে শেখ সুফিয়ান জানিয়েছেন, এই ধরনের খবরের কোনও ভিত্তি নেই। তারা তৃণমূল কর্মী তাদের চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে।
গতকালই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আগাম জামিন পান শেখ সুফিয়ান।
গতকালই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আগাম জামিন পান শেখ সুফিয়ান। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি অভয় ওকাকে নিয়ে গড়া এক ডিভিশন বেঞ্চ নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতা সেখ আবু সুফিয়ানের আগাম জামিন মঞ্জুর করে। তবে কিছু শর্ত আরোপ করেছেন বিচারপতিরা।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিচারপতিরা সিবিআই কেন্দ্রীয় সরকার এবং সুফিয়ানের কৌঁসুলির বক্তব্য শুনে বলেছিলেন, ‘আমরা রায় দেব। তবে তা পরে’ বুধবার সেই রায় শুনিয়ে বিচারপতিরা সিবিআইয়ের আবেদন নাকচ করে দিয়ে সুফিয়ানের পক্ষেই রায় দিলেন। বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির খুনের মামলায় সিবিআই সুফিয়ানকে জড়িয়ে তার গ্রেফতারি চেয়েছিল। সুফিয়ানের হয়ে সওয়াল করেন বিখ্যাত আইনজীবী কপিল সিব্বল।
কপিল সিবিআইয়ের আর্জির বিরোধিতা করে বলেছিলেন, পুরোপুরি রাজনৈতিক কারণে সিবিআই সুফিয়ানকে গ্রেফতার করতে চাইছে। গোড়ায় যে চার্জশিট দেওয়া হয় তাতে সুফিয়ানের নামই ছিল না। পরে কারও অনুরোধে সুফিয়ানের নাম ঢোকানো হয়েছে।
সিবিআই কৌসুঁলি দাবি করেছিলেন যে, কোনও রাজনৈতিক নির্দেশে নয়, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই তারা এই তদন্ত করছে। তদন্তের স্বার্থেই আবু সুফিয়ানকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। ইতিমধ্যেই এই মামলায় সুফিয়ানের দুজন সহযোগীকে সিবিআই গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে রেখেছে।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে যখন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তখন সুফিয়ান ছিলেন তাঁর নির্বাচন এজেন্ট।