৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ ইউরিয়া আমদানি করবে ভারত

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৭ জুন ২০২২, শুক্রবার
  • / 16

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এই প্রথমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ ইউরিয়া আমদানি করবে ভারত। আগামী মাসেই জাহাজে করে এই ইউরিয়া আসার কথা আছে। এই আমদানি সরবরাহকারীদের উদ্দেশে একটি ভালো বার্তা দেবে এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

 

ভারত প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ ইউরিয়া আমদানি করতে যাচ্ছে ভারত। দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা স্যামসাং ৪৭ হাজার টন গ্র্যানুলার ইউরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ওরলিন্স বন্দর থেকে নিউ ম্যাঙ্গালোর বন্দরে রফতানি হবে। টন প্রতি ইউরিয়ার খরচ পড়বে ৭১৬ মার্কিন ডলার।

বাণিজ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে আমেরিকা ১.৪৭ টন ইউরিয়া ভারতে রফতানি করেছিল। পরের অর্থবর্ষে সেটা গিয়ে দাঁড়ায় ২.১৯ টন। গত অর্থবর্ষে ৪৩.৭১ টন। কিন্তু এই অর্থবর্ষে পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার টন।

 

ভারত সরকারের অধীনস্থ রাষ্ট্রীয় কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্টিলাইজার্স লিমিটেড সংস্থা এই আমদানি টেন্ডার ডাকে। গত ১১ মে এই বিশ্বব্যাপী টেন্ডারের জন্য ১৬.৫ লক্ষ টন ইউরিয়া বিশ্বের বিভিন্ন সরবরাহকারীদের কাছ থেকে দেশের পশ্চিম এবং পূর্ব প্রান্তের বন্দরে আসছে আগামী কয়েকদিনে।

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এত পরিমাণ ইউরিয়া কেনার পিছনে রয়েছে, টন প্রতি দাম মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি থেকে কম। কেন্দ্র সরকার দেশের কোষাগারে সাশ্রয় করতে চাইছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবহণ খরচ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে টন প্রতি ১৫-২০ ডলার কম খরচ পড়ছে। পরিবহণের সময়ও আমেরিকার তুলনায় অনেক কম।

ভারত ২১-২২ অর্থবর্ষে ১০.১৬ মেট্রিক টন ইউরিয়া আমদানি করেছিল। যার মূল্য আনুমানিক ৬৫২ কোটি মার্কিন ডলার। মূলত চিন (২.৭৯ মে টন), ওমান (১.৬২ মে টন), সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (১.০৬ মে টন), এবং মিশর, ইউক্রেন, কাতার এবং সৌদি আরব থেকে আমদানি করেছিল ভারত।এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাঝে মধ্যে ইউরিয়া রফতানি করত।

উল্লেখ্য, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলা যুদ্ধ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। এই যুদ্ধ গোটা বিশ্বে জ্বালানির উপরে প্রভাব ফেলেছে। তৈরু হয়েছে বিশ্বব্যাপি সংকট। বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়িয়ে ক্ষতির মুখে ফেলেছে সবাইকে। যুদ্ধ প্রত্যক্ষভাবে ভারত সরকারের উপর অর্থনৈতিক বোঝা বাড়িয়েছে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে বিশ্ববাজারে সারের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ ইউরিয়া আমদানি করবে ভারত

আপডেট : ১৭ জুন ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এই প্রথমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ ইউরিয়া আমদানি করবে ভারত। আগামী মাসেই জাহাজে করে এই ইউরিয়া আসার কথা আছে। এই আমদানি সরবরাহকারীদের উদ্দেশে একটি ভালো বার্তা দেবে এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

 

ভারত প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ ইউরিয়া আমদানি করতে যাচ্ছে ভারত। দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা স্যামসাং ৪৭ হাজার টন গ্র্যানুলার ইউরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ওরলিন্স বন্দর থেকে নিউ ম্যাঙ্গালোর বন্দরে রফতানি হবে। টন প্রতি ইউরিয়ার খরচ পড়বে ৭১৬ মার্কিন ডলার।

বাণিজ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে আমেরিকা ১.৪৭ টন ইউরিয়া ভারতে রফতানি করেছিল। পরের অর্থবর্ষে সেটা গিয়ে দাঁড়ায় ২.১৯ টন। গত অর্থবর্ষে ৪৩.৭১ টন। কিন্তু এই অর্থবর্ষে পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার টন।

 

ভারত সরকারের অধীনস্থ রাষ্ট্রীয় কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্টিলাইজার্স লিমিটেড সংস্থা এই আমদানি টেন্ডার ডাকে। গত ১১ মে এই বিশ্বব্যাপী টেন্ডারের জন্য ১৬.৫ লক্ষ টন ইউরিয়া বিশ্বের বিভিন্ন সরবরাহকারীদের কাছ থেকে দেশের পশ্চিম এবং পূর্ব প্রান্তের বন্দরে আসছে আগামী কয়েকদিনে।

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এত পরিমাণ ইউরিয়া কেনার পিছনে রয়েছে, টন প্রতি দাম মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি থেকে কম। কেন্দ্র সরকার দেশের কোষাগারে সাশ্রয় করতে চাইছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবহণ খরচ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে টন প্রতি ১৫-২০ ডলার কম খরচ পড়ছে। পরিবহণের সময়ও আমেরিকার তুলনায় অনেক কম।

ভারত ২১-২২ অর্থবর্ষে ১০.১৬ মেট্রিক টন ইউরিয়া আমদানি করেছিল। যার মূল্য আনুমানিক ৬৫২ কোটি মার্কিন ডলার। মূলত চিন (২.৭৯ মে টন), ওমান (১.৬২ মে টন), সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (১.০৬ মে টন), এবং মিশর, ইউক্রেন, কাতার এবং সৌদি আরব থেকে আমদানি করেছিল ভারত।এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাঝে মধ্যে ইউরিয়া রফতানি করত।

উল্লেখ্য, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলা যুদ্ধ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। এই যুদ্ধ গোটা বিশ্বে জ্বালানির উপরে প্রভাব ফেলেছে। তৈরু হয়েছে বিশ্বব্যাপি সংকট। বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়িয়ে ক্ষতির মুখে ফেলেছে সবাইকে। যুদ্ধ প্রত্যক্ষভাবে ভারত সরকারের উপর অর্থনৈতিক বোঝা বাড়িয়েছে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে বিশ্ববাজারে সারের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।