পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: চড়কমেলাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বেহালার চড়কতলা। চলল গুলি। মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। তাণ্ডব চলে আজ সকাল পর্যন্ত। দুই পক্ষে মধ্যে সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত চড়কতলার প্রফুল্ল সেন এলাকা। দুই পক্ষের মধ্যে বোতল ছোড়াছুড়ি থেকে, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এমনকী গুলিও চলে। আহত বেশ কয়েকজন। পুলিশের সামনেই চলে তাণ্ডব। তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর থেকে মারধরের অভিযোগ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে রয়েছে বেহালা, পর্ণশ্রী ও লাল বাজার অ্যান্টি রাউডি শাখার পুলিশ। আতঙ্কে গোটা এলাকা। স্থানীয় মানুষের ঘটনার প্রায় ১২ ঘন্টা পর পুলিশ আসে।
ঘটনায় উঠ এসেছে তৃণমূলের যুব নেতা সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এলাকাবাসীর অভিযোগ তার নেতৃত্বে এই হামলা চলে। রাত থেকেই ইট থেকে বোতল ছোড়াছুড়ি হয়। এমনকী বাড়ির মধ্যে ঢুকে মহিলাদের ওপরে মারধর চলে।
এদিকে সোমনাথের বাবার অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে তার ছেলে কোনওভাবেই জড়িত নয়। ঘটনার সময় সোমনাথ সেখানে ছিল না। একতরফা বিচার করা হচ্ছে বলেও সোমনাথের বাবা দাবি করেন।
এদিকে সোমনাথের বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। তার বাড়ি থেকেও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে সোমনাথের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
দুই গোষ্ঠীর তরফ থেকেই বেহালার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলার রূপক গঙ্গোপাধ্যায়। রূপকবাবু জানান, এই ধরনের ঘটনা একদমই কাম্য নয়। এটি তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নয়। আমার এলাকায় এই ধরনের কাজ হবে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। আমি পুলিশকে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে বলেছি। দোষীদের অবশ্যই গ্রেফতার করা হবে।