৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চা বাগান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার সরঞ্জাম চুরি, চিন্তায় বাগান মালিক কর্তৃপক্ষ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 9

শুভজিৎ দেবনাথ ডুয়ার্স: চা বাগান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা সরঞ্জাম চুরি, চিন্তায় বাগান মালিক কর্তৃপক্ষ। থানায় অভিযোগ জানিও মিলছে না  সুরাহা। পরপর সাতটি বাগান থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার সামগ্রী চুরির ঘটনা ডুয়ার্স নাগরাকাটা এলাকায়।

 

রহস্য জনক ভাবে চুরি হচ্ছে ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগানের ট্রান্সফরমারের ভেতরের যন্ত্রাংশ। গত একমাসেই পরপর ডুয়ার্সের ৭ চা বাগানে কমপক্ষে ১৪ টি ট্রান্সফরমারের ভেতরে থাকা তামার কয়েল, কেবল খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নাগরাকাটা ব্লকের কুর্তি চা বাগানে ৩ টি ট্রান্সফরমারের মূল্যবান সরঞ্জাম এই ভাবে চুরি করে নষ্ট করা হয়েছে। অভিযোগ চুরি যাওয়ার ঘটনার বিষয়ে থানায় জানানর পরেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এক একটি ট্রান্সফরমারের দাম প্রায় তিন লক্ষ টাকা এমনটাই দাবি বাগান কর্তৃপক্ষের। তবে যে ভাবে যন্ত্রাংশ চুরি করা হচ্ছে তাতে এর পেছনে কোন র‍্যাকেট কাজ করছে বলেই মনে করছে চা বাগান মালক সংগঠন টি অ্যাসোয়ন অফ ইন্ডিয়ার উত্তরবঙ্গ শাখা।

 

বাগান সুত্রের খবর, শুখা মরসুমে চা গাছে সেচের জল দেবার কাজে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য এই ট্রান্সফরমার বসান হয়ে থাকে। তবে ট্রান্সফরমার গুলি চা বাগান কর্তৃপক্ষ গুলি নিজেরাই অর্থ ব্যায়ে থাকে। যে বাগান যতো বড় সেই অনুসারে ট্রান্সফরমার বসান হয়। এদিন কুর্তি বাগান কর্তৃপক্ষের তরফে জানান হয়েছে এই রকম ৭ টি ট্রান্সফরমার লাগান হয়েছে। দুটি ট্রান্সফরমারের কয়েল আগেই চুরি হয়েছে। গত রাতে আরো একটি ট্রান্সফরমারের কয়েল চুরি করা হয়। কেবল কুর্তি বাগান নয় পাশের কাঠিয়া চা বাগান, লুকশান, চ্যাংমারি বাগান সহ আরো কয়েকটি চা বাগানে এই ঘটনা ঘটেছে। কুর্তি বাগানের ম্যানেজার রাজেশ কুমার রুংটা বলেন ট্রান্সফরমারের ৫০ টি নাটবল্টু খুলে ভেতরের তামার কয়েল এবং কেবল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

 

শুধু তাই নয় পরে এমন ভাবে সেই নাটবল্টু লাগান হয় যে বাইরে থেকে দেখলে কিছু বোঝার ক্ষমতা নেই ভেতরে এই ঘটনা ঘটিয়ে রাখা হয়েছে। কারা এই ঘটনার সাথে জরিত তা সঠিক বলতে না পারলেও যারা করছে তারা এই কাজে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত এবং বাগানের একটি গ্রুপ কাজ করছে বলেই দাবি করেছেন ম্যানেজার। তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কে জানান হয়েছে। কিন্তু পুলিশের ভুমিকায় তারা সন্তুষ্ট নয় বলেও জানান তিনি। এদিকে একের পর এক ট্রান্সফরমার যন্ত্রাংশ চুরি যাওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বাগান মালিকদের সংগঠন টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া। সংগঠনের উত্তরবঙ্গ শাখার সম্পাদক সুমিত ঘোষ বলেন এই ঘটনার কারণে বাগানের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। ট্রান্সফরমার খুলে ভেতর থেকে যন্ত্রাংশ বেড় করে নিয়ে যাওয়ার একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। এর পেছনে একাধিক ব্যাক্তি জরিত। হতেও পারে বিদ্যুৎ বিভাগের লোক জরিত। তবে পরিস্থিতি উদ্বেগ জনক, প্রশাসনের উচিৎ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা বলেই জানান সুমিত বাবু।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চা বাগান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার সরঞ্জাম চুরি, চিন্তায় বাগান মালিক কর্তৃপক্ষ

আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার

শুভজিৎ দেবনাথ ডুয়ার্স: চা বাগান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা সরঞ্জাম চুরি, চিন্তায় বাগান মালিক কর্তৃপক্ষ। থানায় অভিযোগ জানিও মিলছে না  সুরাহা। পরপর সাতটি বাগান থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার সামগ্রী চুরির ঘটনা ডুয়ার্স নাগরাকাটা এলাকায়।

 

রহস্য জনক ভাবে চুরি হচ্ছে ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগানের ট্রান্সফরমারের ভেতরের যন্ত্রাংশ। গত একমাসেই পরপর ডুয়ার্সের ৭ চা বাগানে কমপক্ষে ১৪ টি ট্রান্সফরমারের ভেতরে থাকা তামার কয়েল, কেবল খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নাগরাকাটা ব্লকের কুর্তি চা বাগানে ৩ টি ট্রান্সফরমারের মূল্যবান সরঞ্জাম এই ভাবে চুরি করে নষ্ট করা হয়েছে। অভিযোগ চুরি যাওয়ার ঘটনার বিষয়ে থানায় জানানর পরেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এক একটি ট্রান্সফরমারের দাম প্রায় তিন লক্ষ টাকা এমনটাই দাবি বাগান কর্তৃপক্ষের। তবে যে ভাবে যন্ত্রাংশ চুরি করা হচ্ছে তাতে এর পেছনে কোন র‍্যাকেট কাজ করছে বলেই মনে করছে চা বাগান মালক সংগঠন টি অ্যাসোয়ন অফ ইন্ডিয়ার উত্তরবঙ্গ শাখা।

 

বাগান সুত্রের খবর, শুখা মরসুমে চা গাছে সেচের জল দেবার কাজে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য এই ট্রান্সফরমার বসান হয়ে থাকে। তবে ট্রান্সফরমার গুলি চা বাগান কর্তৃপক্ষ গুলি নিজেরাই অর্থ ব্যায়ে থাকে। যে বাগান যতো বড় সেই অনুসারে ট্রান্সফরমার বসান হয়। এদিন কুর্তি বাগান কর্তৃপক্ষের তরফে জানান হয়েছে এই রকম ৭ টি ট্রান্সফরমার লাগান হয়েছে। দুটি ট্রান্সফরমারের কয়েল আগেই চুরি হয়েছে। গত রাতে আরো একটি ট্রান্সফরমারের কয়েল চুরি করা হয়। কেবল কুর্তি বাগান নয় পাশের কাঠিয়া চা বাগান, লুকশান, চ্যাংমারি বাগান সহ আরো কয়েকটি চা বাগানে এই ঘটনা ঘটেছে। কুর্তি বাগানের ম্যানেজার রাজেশ কুমার রুংটা বলেন ট্রান্সফরমারের ৫০ টি নাটবল্টু খুলে ভেতরের তামার কয়েল এবং কেবল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

 

শুধু তাই নয় পরে এমন ভাবে সেই নাটবল্টু লাগান হয় যে বাইরে থেকে দেখলে কিছু বোঝার ক্ষমতা নেই ভেতরে এই ঘটনা ঘটিয়ে রাখা হয়েছে। কারা এই ঘটনার সাথে জরিত তা সঠিক বলতে না পারলেও যারা করছে তারা এই কাজে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত এবং বাগানের একটি গ্রুপ কাজ করছে বলেই দাবি করেছেন ম্যানেজার। তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কে জানান হয়েছে। কিন্তু পুলিশের ভুমিকায় তারা সন্তুষ্ট নয় বলেও জানান তিনি। এদিকে একের পর এক ট্রান্সফরমার যন্ত্রাংশ চুরি যাওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বাগান মালিকদের সংগঠন টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া। সংগঠনের উত্তরবঙ্গ শাখার সম্পাদক সুমিত ঘোষ বলেন এই ঘটনার কারণে বাগানের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। ট্রান্সফরমার খুলে ভেতর থেকে যন্ত্রাংশ বেড় করে নিয়ে যাওয়ার একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। এর পেছনে একাধিক ব্যাক্তি জরিত। হতেও পারে বিদ্যুৎ বিভাগের লোক জরিত। তবে পরিস্থিতি উদ্বেগ জনক, প্রশাসনের উচিৎ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা বলেই জানান সুমিত বাবু।