পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের করোনা উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে এবার শুরু হতে চলেছে তৃতীয় ডোজের টিকাকরণ। ১০ জানুয়ারি, অর্থাৎ সোমবার থেকে ভারতে শুরু হবে এই ভ্যাকসিনেশন। স্বাস্থ্যকর্মী, ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী রোগীদের জন্য COVID-19 ভ্যাকসিনের সতর্কতামূলক ডোজ শুরু হবে ওইদিন। শনিবার সন্ধ্যা থেকে CoWIN পোর্টালে স্বাস্থ্যকর্মী, ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের জন্য COVID-19 ভ্যাকসিনের ‘সতর্কতামূলক ডোজ’-এর জন্য নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব এবং মিশন ডিরেক্টর, ন্যাশনাল হেলথ মিশন (NHM), বিকাশ শীল (Vikas Sheel) শনিবার একটি টুইটে বলেছেন, “HCWs/FLWs এবং নাগরিকদের (৬০+) সতর্কতামূলক ডোজের জন্য অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা এখন Co-WIN-এ লাইভ। অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করার জন্য, দয়া করে http://cowin.Gov.In দেখুন।”
বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী সমস্ত মানুষ সতর্কতা ডোজ নেওয়ার আগে তাদেরকে ডাক্তারের কাছ থেকে কোনও শংসাপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। কেন্দ্র, সম্প্রতি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে জানিয়েছে এই কথা।
এই ধরনের ব্যক্তিদের সতর্কতা ডোজ বা করোনভাইরাস ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশ অনুসারে, কো-উইন সিস্টেমে রেকর্ড থাকা দ্বিতীয় ডোজের তারিখের ভিত্তি করে তৃতীয় ডোজ দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার তারিখ থেকে ৯ মাস অর্থাৎ ৩৯ সপ্তাহের মধ্যে এই তৃতীয় ডোজ নেওয়া যাবে।
CoWIN-র মাধ্যমে সতর্কতা ডোজের জন্য যোগ্য সকলকে বার্তা পাঠানো হবে এবং ডোজটি ডিজিটাল টিকা শংসাপত্রে প্রতিফলিত হবে।
ওমিক্রন অতি দ্রুত সংক্রমণের পর পরই ভারত-সহ গোটা বিশ্বেই ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়ছে। ভারত সরকারের আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য-সহ বেশ কয়েকটি দেশে এই ডোজ দেওয়া শুরু করা হয়েছিল। ভারতে আপাতত, ১০ জানুয়ারি থেকে শুধুমাত্র ফ্রন্টলাইন কর্মী, স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মী এবং সহ-অসুস্থতা থাকা ষাটোর্ধ ব্যক্তিদের সতর্কতামূলক ডোজ দেওয়া হবে। তবে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর অন্তত ৯ মাস গেলে তবেই নেওয়া যাবে বুস্টার ডোজ।
ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট আটটি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রুশ টিকা স্পুটনিক থেকে শুরু করে, মার্কিন ফার্মা জায়ান্ট মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি টিকাও রয়েছে। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে – কর্বেভ্যাক্স (Corbevax) এবং কোভোভ্যাক্স (Covovax)-ও। তবে আমাদের দেশে এখনও পর্যন্ত ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়েছে মাত্র দুটি টিকা – কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন। এই দুটির মধ্যে আবার সিংহভাগ ক্ষেত্রেই কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছে।