১২ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্ষুদ্রতম গড়চা মসজিদ তুলে ধরেছে আর এক কলকাতার গল্প

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ মার্চ ২০২২, শুক্রবার
  • / 58

পুবের কলম  ওয়েবডদেস্কঃ  শহর কলকাতার আর এক নাম‘প্রাসাদ নগরী’। পাথর, বালি ও সিমেন্টের এই শহরে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় নানান ইমারত। ইংরেজ আমলের নিদর্শন যেমন রয়েছে , তেমনি মুসলিম শাসকদের আমলের নানান স্থাপত্যও শহরের শোভা বর্ধিত করেছে। এমন সুউচ্চ ইমারতের মধ্যিখানে ছোট্ট পরিসরে স্বকীয়তার মহিমা বুকে নিয়ে অবস্থান করছে একটি ছোট্ট মসজিদ। বলা যেতে পারে কলকাতার সবচেয়ে ছোট মসজিদ।

 

আরও পড়ুন: বাক্-স্বাধীনতা থাকলেই ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা যায় না– শর্মিষ্ঠার অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ

মসজিদটির অবস্থান গড়িয়াহাট ট্রাম ডিপো সংলগ্ন গড়চা রোডে। যে মসজিদে সর্বসাকুল্যে পাঁচ-ছয়জন একসঙ্গে নামায পড়তে পারেন। বালিগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকার ৩৮ নম্বর গড়চা রোডে অবস্থিত এই মসজিদটির বিষয়ে সেভাবে কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। তবে সরকারি খাতায়-কলমে মসজিদের উল্লেখ আছে। এমনটাই জানান মসজিদের বর্তমান ইমাম বাদিরুদ্দিন খান। জানা গিয়েছে, এর আগে মুয়াজ্জিন ছিলেন সুলেমান আনসারি। মসজিদের খাদেম বা মোতাওয়াল্লির নাম সেখ খলিল।

আরও পড়ুন: ইসলামের দাওয়াত সবার জন্য

 

আরও পড়ুন: ইসলাম: শান্তির পয়গাম

তাঁর বাড়ি তপশিয়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, মসজিদটি প্রায় ১০০ বছরের পুরানো। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় এই মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয় কিছু শান্তিপ্রিয় মানুষের সহযোগিতায় সেই সময়ের মুয়াজ্জিনও ইমাম তা রক্ষা করেন। তিনি সম্পর্কে সুলেমানের দাদু হন। গড়চা রোডের এই মসজিদে রয়েছে একটি মাত্র গম্বুজ আর পাঁচটি ছোট মিনার।

 

মসজিদের ভেতরে ইমাম নামায পড়ান। রয়েছে মেহরাব। বাইরে রয়েছে ছোট্ট একটি চাতাল। সেই চাতাল করোগেটেড শিট দিয়ে ঢাকা। রমযান মাসে বাইরের কিছু মানুষ আসেন, তখন সেখানেই নামায পড়ার বন্দোবস্ত করা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে গড়চা মসজিদের ইমাম বাদিরুদ্দিন খান জানান, পৈত্রিক বাড়ি বিহারে হলেও কলকাতাতেই তাঁর জন্ম ও পড়াশোনা।

 

তিনি প্রায় ৬ বছর ধরেই এই মসজিদে নামায পড়ান। তিনি বলেন, পাঁচ-ওয়াক্ত (দিনে পাঁচবার) চার থেকে পাঁচজন নামায পড়েন। শুক্রবার জুম্মার দিনে নামায পড়তে আসেন ১৫-২০ জন। জায়গা নেই তাই মসজিদ- চাতাল মিলিয়ে তাঁদের নামায পড়তে হয়। আশেপাশে
মুসলিম নেই তবে স্থানীয় হিন্দুদের ভালোবাসা ইমামকে শক্তি জোগায়। তিনি বলেন, দোয়া চাইতে হিন্দু ভাই-বোনরাও এখানে আসেন। তবে ইমামের আক্ষেপ পূর্ববর্তী ইমাম ওয়াকফ বোর্ড থেকে ইমাম ভাতা পেতেন, কিন্তু তিনি পরপর তিনবার আবেদন করেও ভাতা পাননি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ক্ষুদ্রতম গড়চা মসজিদ তুলে ধরেছে আর এক কলকাতার গল্প

আপডেট : ৪ মার্চ ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম  ওয়েবডদেস্কঃ  শহর কলকাতার আর এক নাম‘প্রাসাদ নগরী’। পাথর, বালি ও সিমেন্টের এই শহরে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় নানান ইমারত। ইংরেজ আমলের নিদর্শন যেমন রয়েছে , তেমনি মুসলিম শাসকদের আমলের নানান স্থাপত্যও শহরের শোভা বর্ধিত করেছে। এমন সুউচ্চ ইমারতের মধ্যিখানে ছোট্ট পরিসরে স্বকীয়তার মহিমা বুকে নিয়ে অবস্থান করছে একটি ছোট্ট মসজিদ। বলা যেতে পারে কলকাতার সবচেয়ে ছোট মসজিদ।

 

আরও পড়ুন: বাক্-স্বাধীনতা থাকলেই ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা যায় না– শর্মিষ্ঠার অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ

মসজিদটির অবস্থান গড়িয়াহাট ট্রাম ডিপো সংলগ্ন গড়চা রোডে। যে মসজিদে সর্বসাকুল্যে পাঁচ-ছয়জন একসঙ্গে নামায পড়তে পারেন। বালিগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকার ৩৮ নম্বর গড়চা রোডে অবস্থিত এই মসজিদটির বিষয়ে সেভাবে কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। তবে সরকারি খাতায়-কলমে মসজিদের উল্লেখ আছে। এমনটাই জানান মসজিদের বর্তমান ইমাম বাদিরুদ্দিন খান। জানা গিয়েছে, এর আগে মুয়াজ্জিন ছিলেন সুলেমান আনসারি। মসজিদের খাদেম বা মোতাওয়াল্লির নাম সেখ খলিল।

আরও পড়ুন: ইসলামের দাওয়াত সবার জন্য

 

আরও পড়ুন: ইসলাম: শান্তির পয়গাম

তাঁর বাড়ি তপশিয়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, মসজিদটি প্রায় ১০০ বছরের পুরানো। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় এই মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয় কিছু শান্তিপ্রিয় মানুষের সহযোগিতায় সেই সময়ের মুয়াজ্জিনও ইমাম তা রক্ষা করেন। তিনি সম্পর্কে সুলেমানের দাদু হন। গড়চা রোডের এই মসজিদে রয়েছে একটি মাত্র গম্বুজ আর পাঁচটি ছোট মিনার।

 

মসজিদের ভেতরে ইমাম নামায পড়ান। রয়েছে মেহরাব। বাইরে রয়েছে ছোট্ট একটি চাতাল। সেই চাতাল করোগেটেড শিট দিয়ে ঢাকা। রমযান মাসে বাইরের কিছু মানুষ আসেন, তখন সেখানেই নামায পড়ার বন্দোবস্ত করা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে গড়চা মসজিদের ইমাম বাদিরুদ্দিন খান জানান, পৈত্রিক বাড়ি বিহারে হলেও কলকাতাতেই তাঁর জন্ম ও পড়াশোনা।

 

তিনি প্রায় ৬ বছর ধরেই এই মসজিদে নামায পড়ান। তিনি বলেন, পাঁচ-ওয়াক্ত (দিনে পাঁচবার) চার থেকে পাঁচজন নামায পড়েন। শুক্রবার জুম্মার দিনে নামায পড়তে আসেন ১৫-২০ জন। জায়গা নেই তাই মসজিদ- চাতাল মিলিয়ে তাঁদের নামায পড়তে হয়। আশেপাশে
মুসলিম নেই তবে স্থানীয় হিন্দুদের ভালোবাসা ইমামকে শক্তি জোগায়। তিনি বলেন, দোয়া চাইতে হিন্দু ভাই-বোনরাও এখানে আসেন। তবে ইমামের আক্ষেপ পূর্ববর্তী ইমাম ওয়াকফ বোর্ড থেকে ইমাম ভাতা পেতেন, কিন্তু তিনি পরপর তিনবার আবেদন করেও ভাতা পাননি।