উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুতুবউদ্দিন মোল্লা, কুলতলি : সুন্দরবনের যোগাযোগের মূল রাস্তা সংস্কারের দাবি তুললো স্থানীয় মানুষজন। প্রায় ৫ বছর আগে বেহাল রাস্তা মেরামত করা হয়েছিল। তারপর থেকে রাস্তা সংস্কারের কাজ না হওয়ায় দ: ২৪ পরগনার সুন্দরবনের কুলতলি ব্লকের আমতলী গ্রামের খেয়াঘাট থেকে ক্যানিং এর হেড়োভাঙা পর্যন্ত প্রায় তিন কিমি গ্রামীন সড়কের বেহাল অবস্থা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এবং রাস্তার পাশে জলনিকাশী নালার সংস্কার না হওয়া,বেআইনি ভাবে রাস্তার পাশে থাকা জলনিকাশী নালার ওপর বেআইনি নির্মাণ কাজ করার ফলে এই রাস্তায় জল জমে রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়েছে।
তাঁর ওপর এই রাস্তাটির রক্ষণাবেক্ষণে সরকারি নজরদারির অভাবে ও ধীরে ধীরে রাস্তার কঙ্কালসার চেহারা বেড়িয়ে পড়েছে। এমনকি এক পশলা বৃষ্টিতে এক হাঁটু জল জমে এই রাস্তায়।একপলকে মনে হবে রাস্তা নাকি এটা পুকুর।
এই ব্যস্ততম রাস্তাটি কুলতলির মেরিগঞ্জ ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষের নিয়মিত যাতায়াতের এক মাত্র পথ। এই রাস্তাটির দুরবস্থার কথা প্রশাসনিক স্তরে বারবার বলা সত্ত্বেও দীর্ঘকাল ধরে অবহেলিত হয়ে পড়ে রয়েছে বলেই অভিযোগ স্থানীয় মানুষ দের।এই রাস্তা দিয়ে কুলতলি, জয়নগর ও ক্যানিং এই তিনটি ব্লকের মানুষ যাতায়াত করে নিয়মিত।
একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হওয়ার কারণে এই বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক লক্ষ অধিবাসীর যাবতীয় কাজকর্ম, এমনকি মুমূর্ষু রোগীদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল ও অপরদিকে কুলতলি থানার জয়নগর কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অসুবিধায় পড়ে বলে অভিযোগ এলাকার মানুষদের।
এই বেহাল রাস্তা দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী কুলতলির এক অটো চালক আক্রম সরদার বলেন, এই বেহাল রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন আমাদেরকে কুলতলি এলাকার মানুষদের নিয়ে যেতে হয় ক্যানিং এ-তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।
আর বহু দুর্ঘটনার সাক্ষী রয়েছে এই বেহাল রাস্তা। তবে এ বিষয়ে কুলতলির বিডিও সুচন্দন বৈদ্য বলেন,ওই রাস্তার বর্তমান পরিস্থিতি আমি সরজমিনে পরিদর্শন করে দেখবো এবং তাঁর পরে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।