পুবের কলম প্রতিবেদক: ডিমের কালোবাজারি রুখতে নয়া পদক্ষেপ নিল প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নিগম। এবার থেকে সেই সরকারি ডিমের গায়ে লেখা থাকবে দাম-তারিখ। এমনকী সরকারি সংস্থার দাম লেখা থাকবে। ডিমের সাদা খোলার গায়ে তা লেখা থাকবে। গোটা দেশের মধ্যে এই প্রথম কোনও সরকারি সংস্থা প্রত্যেকটি ডিমের গায়ে এই ‘দাম-তারিখ’ লিখবে বলে দাবি রাজ্য প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নিগম কর্তাদের। রাজ্য রাজ্যবাসীর হেঁসেলে ন্যায্য মূল্যে ডিম পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর নলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্য প্রাণিসম্পদ দফতর সূত্রে খবর, আজ অথাৎ ১ এপ্রিল থেকেই বাজারে আসছে হরিণঘাটার এই অভিনব ‘দাম-তারিখ’ লেখা ডিম। যখন বাজারে খুচরো ডিমের দাম ৬ টাকা হয়ে গিয়েছিল তখনও হরিণঘাটার ডিমের দাম সাড়ে ৪ টাকাতেই বেঁধে দিয়েছিল সরকার। অভিযোগ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সেই ডিম নিয়ে কালোবাজারি শুরু করেছে। তাই এবার থেকে ডিমের গায়ে লেখা থাকবে দাম-তারিখ।
নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌরীশঙ্কর কোনার বলেন, ‘হরিণঘাটার কার্টনে দাম লেখা থাকে। কিন্তু বাক্স খুলে খুচরো ডিম বিক্রির সময় বিভিন্ন দাম নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। তাই সব ডিমের খোলার গায়ে ৪.৫০ টাকা দাম হরিণঘাটার ইংরেজি আদ্যক্ষর ‘এইচ’ এবং উৎপাদনের তারিখ লেখা থাকবে। তাহলে কালোবাজারি বন্ধ হবে। এমনকী ডিম কতদিন খাওয়া যাবে, তারিখ দেখে সেটাও জানা যাবে।’ কালোবাজারি ঠেকাতে এবং ক্রেতাদের অভিমত জানতে একটি টোল,ফ্রি ফোন নম্বরও (১৮০০-১২০-৮২৪৩) চালু করা হয়েছে।
এতদিন অভিযোগ আসছিল, বেশ কয়েকটি সরকারি দোকান এই ডিম একটু বেশি দামে বেসরকারি দোকানদারদের বিক্রি করে মুনাফা করছে এক শ্রেনীর মানুষ। আর এই বেসরকারি দোকানদাররা তার উপর বাড়তি টাকা চাপিয়ে মানুষকে বিক্রি করছে। আর এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য সঠিকভাবে পালন হচ্ছিল না। হরিণঘাটায় ইতিমধ্যেই ডিমের উপর নির্দিষ্ট তথ্য লেখার নয়া মেশিন আমদানি করা হয়েছে। এগুলি ‘লেসার প্রিন্টিংয়ের’ মাধ্যমে গোলাপি রঙে লেখা হবে। রাজ্যে হরিণঘাটার ৬৩০টি কাউন্টার রয়েছে। সেই সমস্ত কাউন্টারের দিকেও কড়া নজর রাখছে প্রাণী সম্পদ নিগম বলে জানা গেছে।