পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ নিয়ে আগাম সতর্কতা জারি করল কলকাতা পুরসভা। প্রতিটা বরো আলাদাভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝড়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাতে সমস্ত টিম যাতে ‘অ্যাকটিভ’ থাকে তার জন্য অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন পুরকমিশনার বিনোদ কুমার। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে– ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতাসহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টি এবং উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনি ও রবিবার ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কাটবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের এক আধিকারিক জানান– ভারী বৃষ্টি হলেও যাতে সঙ্গে সঙ্গে জল বের করে দেওয়া যায় তার জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শহরজুড়ে অতিরিক্ত ৩৫০টি অতিরিক্ত পাম্প তৈরি রাখা হয়েছে। এজন্য বরো একজিকিউটিভদের সঙ্গে নিকাশি বিভাগের সমন্বয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। একাধিক এলাকাযü ম্যানহোল খুলে জল নামানোর চেষ্টা চলবে। চারটি স্থায়ী পাম্পিং স্টেশন এবং সমস্ত পকেট লগ খোলা থাকবে ২৪ ঘন্টা। অন্যদিকে– জল নিকাশির সঙ্গেও বিকল্প ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। সেক্ষত্রে প্রয়োজন পড়লে বোটও নামানো হবে বলে জানা গিয়েছে কলকাতা পুরসভা সূত্রে।
এবিষয়ে ইতিমধ্যেই এনডিআরএফ বা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান এক বিভাগীয় আধিকারিক।
তবে ওই আধিকারিকের মতে– এনডিআরএফকে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে ঠিকই– তবে বোর্ড নামানোর মতো হয়তো পরিস্থিতি হবে না। জল জমলে অতিরিক্ত পাম্পের মাধ্যমেই জল নামিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।
এছাড়াও জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা এড়াতে বাড়তি নজরদারি থাকছে। জলমগ্ন এলাকাগুলিতে পরিস্থিতি অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খোলা বিদ্যুতের তার থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের এব্যাপারে সিইএসসির সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে।
একাধিক বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। ৪ ডিসেম্বর থেকে পুরোদমে চালু থাকবে কলকাতা পুরসভার এই কন্ট্রোলরুম। আলাদা করে আধিকারিকদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে আমফান– ইয়াস– গুলাবের পর এবার জাওয়াদ মোকাবিলাতেও পুরোদমে তৈরি কলকাতা পুরসভা।