০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাইসেন্সবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এবার আইনি ব্যবস্থা পুরসভার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২০ মার্চ ২০২২, রবিবার
  • / 36

পুবের কলম প্রতিবেদক: লাইসেন্স বিহীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে এবার কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। লিখিত আবেদন যাওয়ার পরেও লাইসেন্স না করালে নির্দিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই সমস্ত শিক্ষা প্রশিক্ষণগুলির তালিকা তৈরি করতে শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা।

অন্যদিকে, বিগত কয়েক বছরে কোষাগারের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়ে চলেছে। নতুন এই উদ্যোগের ফলে পুরসভার ভাঁড়ার কিছুটা পূর্ণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যে সব বিভাগ থেকে পুরসভার আয় হয়,  সেই জায়গাগুলির বৃত্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা করতে নির্দেশ এসেছে উপরমহল থেকে।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গু রোধে কড়া পদক্ষেপ পুরসভার, তিন কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা

কলকাতা পুর আইনের ১৯৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী,  শহরে যে কোনও ব্যবসা কিংবা প্রতিষ্ঠান বা অফিস চালাতে গেলে পুরসভাকে লাইসেন্স ফি দিতে হয়। যার পোশাকি নাম ‘সার্টিফিকেট অফ এনলিস্টমেন্ট’। এক্ষেত্রে বার্ষিক লাইসেন্স ফি ছোট স্কুল হলে এলাকা ভিত্তিতে ফি ধার্য হয়। তিন হাজার বর্গফুটের বেশি হলে বার্ষিক ফি মাত্র ৫ হাজার ৫০ টাকা। সেই টাকাও দিতে যারা নারাজ অনেকগুলি স্কুল। জানা গিয়েছে,  কিছু স্কুল এনওসি নিয়ে থাকলেও বড় সংখ্যক স্কুল এতদিন লাইসেন্স নেয়নি। ফলে পুরসভা ফি বাবদ মোটা টাকার আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এর জন্য লাইসেন্স বিভাগ সহ বিভিন্ন বিভাগের নজদারিতে খামতি থাকায় কোষাগারে টান পড়েছে। যার ফল স্বরূপ ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১৭৭ কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই অবস্থা থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে যারা নিয়মের বাইরে, তাদের নিয়মের আওতায় আনার মধ্য দিয়েই আর্থিক উপার্জন অল্প হলেও বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: ফের হকার রাজত্বের মাথাচাড়া, পুরসভাকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ নবান্নের

লাইসেন্স বিভাগের এক আধিকারিক জানান, নথিভুক্ত না-হওয়া স্কুলগুলিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, আবেদন যাওয়ার পরেও লাইসেন্স না করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে পুর আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

আরও পড়ুন: বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা, ৪৩ টি পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা ডেঙ্গু রোধে কড়া পুরসভা

সূত্রের খবর,  ইতিমধ্যে সেন্ট জেভিয়ার্স, ডন বস্কো, সাউথ পয়েন্ট, ডিপিএস (রুবি), সেন্ট পলস, এপিজে, এমপি বিড়লার মতো বেসরকারি স্কুল লাইসেন্স গ্রহণের আবেদনে সাড়া দিয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লাইসেন্সবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এবার আইনি ব্যবস্থা পুরসভার

আপডেট : ২০ মার্চ ২০২২, রবিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: লাইসেন্স বিহীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে এবার কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। লিখিত আবেদন যাওয়ার পরেও লাইসেন্স না করালে নির্দিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই সমস্ত শিক্ষা প্রশিক্ষণগুলির তালিকা তৈরি করতে শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা।

অন্যদিকে, বিগত কয়েক বছরে কোষাগারের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়ে চলেছে। নতুন এই উদ্যোগের ফলে পুরসভার ভাঁড়ার কিছুটা পূর্ণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যে সব বিভাগ থেকে পুরসভার আয় হয়,  সেই জায়গাগুলির বৃত্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা করতে নির্দেশ এসেছে উপরমহল থেকে।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গু রোধে কড়া পদক্ষেপ পুরসভার, তিন কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা

কলকাতা পুর আইনের ১৯৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী,  শহরে যে কোনও ব্যবসা কিংবা প্রতিষ্ঠান বা অফিস চালাতে গেলে পুরসভাকে লাইসেন্স ফি দিতে হয়। যার পোশাকি নাম ‘সার্টিফিকেট অফ এনলিস্টমেন্ট’। এক্ষেত্রে বার্ষিক লাইসেন্স ফি ছোট স্কুল হলে এলাকা ভিত্তিতে ফি ধার্য হয়। তিন হাজার বর্গফুটের বেশি হলে বার্ষিক ফি মাত্র ৫ হাজার ৫০ টাকা। সেই টাকাও দিতে যারা নারাজ অনেকগুলি স্কুল। জানা গিয়েছে,  কিছু স্কুল এনওসি নিয়ে থাকলেও বড় সংখ্যক স্কুল এতদিন লাইসেন্স নেয়নি। ফলে পুরসভা ফি বাবদ মোটা টাকার আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এর জন্য লাইসেন্স বিভাগ সহ বিভিন্ন বিভাগের নজদারিতে খামতি থাকায় কোষাগারে টান পড়েছে। যার ফল স্বরূপ ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১৭৭ কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই অবস্থা থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে যারা নিয়মের বাইরে, তাদের নিয়মের আওতায় আনার মধ্য দিয়েই আর্থিক উপার্জন অল্প হলেও বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: ফের হকার রাজত্বের মাথাচাড়া, পুরসভাকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ নবান্নের

লাইসেন্স বিভাগের এক আধিকারিক জানান, নথিভুক্ত না-হওয়া স্কুলগুলিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, আবেদন যাওয়ার পরেও লাইসেন্স না করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে পুর আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

আরও পড়ুন: বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা, ৪৩ টি পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা ডেঙ্গু রোধে কড়া পুরসভা

সূত্রের খবর,  ইতিমধ্যে সেন্ট জেভিয়ার্স, ডন বস্কো, সাউথ পয়েন্ট, ডিপিএস (রুবি), সেন্ট পলস, এপিজে, এমপি বিড়লার মতো বেসরকারি স্কুল লাইসেন্স গ্রহণের আবেদনে সাড়া দিয়েছে।