বিচারপতি মান্থারের এজলাস ও বাড়ির সামনে পোস্টারের ঘটনায় পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট তলব বৃহত্তর বেঞ্চের

- আপডেট : ১৭ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
- / 6
পারিজাত মোল্লাঃ বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসের সামনে অশান্তির ঘটনায় হালকা ভাবে নিচ্ছেনা কলকাতা হাইকোর্টের নব নিযুক্ত বৃহত্তর বেঞ্চ।মঙ্গলবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের স্বতঃস্ফূর্ত আদালত অবমাননা মামলায় শুনানি চলে।এদিন বিচারব্যবস্থা কে মজবুত করতে হাইকোর্টে বিক্ষোভ অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ।কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাস বয়কট এবং তাঁর বাড়ির সামনে পোস্টারিংয়ের ঘটনায় কড়া আদালত। কারা এভাবে পোস্টার দিল? কীভাবে এই পোস্টার ছাপা হল?কোথা থেকেই বা ছাপানো হল? তা সবই জানতে চান হাইকোর্টের তিনজন বিচারপতি।কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে? তাও জানতে চায় বৃহত্তর বেঞ্চ । এই ঘটনায় কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট তলব করা হল। পুলিশ কমিশনার রিপোর্ট দিয়ে জানাবেন কীভাবে এই পোস্টার ছাপা হল? আগামী ২ ফেব্রুয়ারিতে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে ।
এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্ট-সহ এই বিষয়ে কোথাও কোনও বিক্ষোভ অবস্থান করা যাবে না, স্লোগান, ব্যানার দেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিল তিন বিচারপতির বেঞ্চ। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাস বয়কটের ঘটনায় তিন বিচারপতিকে নিয়ে বিশেষ বেঞ্চ তৈরি করে দেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
সেই বেঞ্চে আছেন বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস। তাঁরাই এদিন এই নির্দেশ দেন। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে লেক থানার কাছ থেকেও।এভাবে এজলাস বয়কট করে বিক্ষোভ দেখানো, বিচারপতির বাড়ির সামনে পোস্টার দেওয়া কার্যত নজিরবিহীন বলেই মনে করছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের তিনজন বিচারপতির বেঞ্চ এদিন জানায়, -‘ কারা সেদিন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁদের শনাক্ত করতে হবে’। এর পাশাপাশি শাসকদলের নেতাদের নামও অভিযোগের খাতায় উঠে এসেছে, যাঁরা বিচারপতির বিরুদ্ধে ‘অবমাননাকর মন্তব্য’ করেছিলেন। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই কড়া পথে হাঁটতে পারে আদালত।
মঙ্গলবারের শুনানিতে অন্তত তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।প্রথমে এটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হিসাবে গ্রহণ করা হয়।প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশেই গঠিত হয় তিন বিচারপতিকে নিয়ে বেঞ্চ। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল। শুরুতেই রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ডেকে পাঠানো হয়। জানতে চাওয়া হয়, কী কী ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ৯ জানুয়ারি থেকে যে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে, তা ১০ জানুয়ারি, ১১ জানুয়ারিও চলে। এমনকী গত সোমবার ‘বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া’র সদস্যদের সামনেও পোস্টার নজরে আসে। কলকাতা হাইকোর্টে সেই পোস্টার, ব্যানার মঙ্গলবারও রাখা ছিল । সেগুলিকে হঠিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয় আদালত। এই ঘটনায় কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট তলব করা হল। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি তারিখে তা জানাতে হবে আদালতকে।