২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দুটি যুদ্ধজাহাজ সংযুক্ত হল ভারতীয় নৌবাহিনীতে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৭ মে ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 9

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারত। ফের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার’ আইএনএস সুরত এবং ‘স্টেলথ ফ্রিগেট’ আইএনএস উদয়গিরি অন্তর্ভুক্ত হল ভারতীয় নৌবাহিনীতে।
ভারতের সঙ্গে চিন ও পাকিস্তানের সম্পর্ক ক্রমশ জটিল হয়েছে। গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনা সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা শহিদ হওয়ার পর থেকেই দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বিশেষ গুরুত্ব দেয় ভারত। সমরাস্ত্র পরীক্ষার দিকে জোর দেওয়া হয়।

এবার সেই উদ্যোগকে সামনে রেখে ভারতীয় নৌসেনায় সংযুক্ত হল ‘গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার’ আইএনএস সুরত এবং ‘স্টেলথ ফ্রিগেট’ আইএনএস উদয়গিরি। মুম্বই নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হল এই দুই যুদ্ধজাহাজকে। সেই সঙ্গে জলে ভাসানো হল ভারতীয় নৌসেনার দুই আধুনিক যুদ্ধজাহাজকে।

লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দুটি যুদ্ধজাহাজ সংযুক্ত হল ভারতীয় নৌবাহিনীতে

মঙ্গলবার এক ট্যুইট করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘আজ মুম্বইতে দুটি দেশীয় ফ্রন্টলাইন যুদ্ধজাহাজ – সুরত (গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার) এবং উদয়গিরি (স্টিলথ ফ্রিগেট)-এর লঞ্চ আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছে৷ এই যুদ্ধজাহাজগুলি বিশ্বের কাছে ভারতের কৌশলগত শক্তি এবং স্বনির্ভরতার দক্ষতাকে তুলে ধরবে।’

গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার (DDG) হল, এমন একটি ডেস্ট্রয়ার, যার প্রাথমিক অস্ত্র হল গাইডেড মিসাইল। যা বিমান বিধ্বংসী যুদ্ধের স্ক্রিনিং প্রদান করতে পারে। আইএনএস সুরতের সৌজন্যে ভারতীয় নৌসেনার অস্ত্রাগারে এল চতুর্থ পি-১৫বি শ্রেণির ‘গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার’। কিছু গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ারে শক্তিশালী রাডার সিস্টেম থাকে, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এজিস কমব্যাট সিস্টেম, এবং এটি ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী বা ব্যালিস্টিক-মিসাইল প্রতিরক্ষা ভূমিকায় ব্যবহারের জন্য গৃহীত হতে পারে। অন্যদিকে পি-১৭এ (শিবালিক) শ্রেণির ‘স্টেলথ ফ্রিগেট’ আইএনএস উদয়গিরি ভারতীয় নৌবাহিনীর নতুন অস্ত্র। দু’টি যুদ্ধজাহাজেরই নকশা তৈরি করেছে ভারতীয় নৌবাহিনীর ‘ডিরেক্টরেট অফ ন্যাভাল ডিজাইন’ (ডিএনডি)। ‘মাঝগাঁও ডক ইয়ার্ড’ কর্তৃপক্ষই যুদ্ধজাহাজ দু’টি নির্মাণ করেছেন।
ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে নৌবাহিনীর বিকাশ ও উন্নয়নের পরিকাঠামো নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার। সরকারের লক্ষ্য ২০২৭ এর মধ্যেই ভারতীয় নৌবাহিনীতে আরও যুদ্ধ জাহাজের সংযুক্তিকরণ। সেই লক্ষ্যে

২০০টি যুদ্ধ জাহাজের অন্তর্ভুক্তিকরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, ভারত খুবই দ্রুত চাহিদা অনুযায়ী প্রতিরক্ষা সামগ্রীর ৯০ শতাংশ দেশেই উৎপাদন করবে। এবার দুটি যুদ্ধজাহাজ সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে সেই লক্ষ্যেই আরও একধাপ এগোল ভারত।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দুটি যুদ্ধজাহাজ সংযুক্ত হল ভারতীয় নৌবাহিনীতে

আপডেট : ১৭ মে ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারত। ফের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার’ আইএনএস সুরত এবং ‘স্টেলথ ফ্রিগেট’ আইএনএস উদয়গিরি অন্তর্ভুক্ত হল ভারতীয় নৌবাহিনীতে।
ভারতের সঙ্গে চিন ও পাকিস্তানের সম্পর্ক ক্রমশ জটিল হয়েছে। গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনা সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা শহিদ হওয়ার পর থেকেই দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বিশেষ গুরুত্ব দেয় ভারত। সমরাস্ত্র পরীক্ষার দিকে জোর দেওয়া হয়।

এবার সেই উদ্যোগকে সামনে রেখে ভারতীয় নৌসেনায় সংযুক্ত হল ‘গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার’ আইএনএস সুরত এবং ‘স্টেলথ ফ্রিগেট’ আইএনএস উদয়গিরি। মুম্বই নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হল এই দুই যুদ্ধজাহাজকে। সেই সঙ্গে জলে ভাসানো হল ভারতীয় নৌসেনার দুই আধুনিক যুদ্ধজাহাজকে।

লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দুটি যুদ্ধজাহাজ সংযুক্ত হল ভারতীয় নৌবাহিনীতে

মঙ্গলবার এক ট্যুইট করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘আজ মুম্বইতে দুটি দেশীয় ফ্রন্টলাইন যুদ্ধজাহাজ – সুরত (গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার) এবং উদয়গিরি (স্টিলথ ফ্রিগেট)-এর লঞ্চ আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছে৷ এই যুদ্ধজাহাজগুলি বিশ্বের কাছে ভারতের কৌশলগত শক্তি এবং স্বনির্ভরতার দক্ষতাকে তুলে ধরবে।’

গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার (DDG) হল, এমন একটি ডেস্ট্রয়ার, যার প্রাথমিক অস্ত্র হল গাইডেড মিসাইল। যা বিমান বিধ্বংসী যুদ্ধের স্ক্রিনিং প্রদান করতে পারে। আইএনএস সুরতের সৌজন্যে ভারতীয় নৌসেনার অস্ত্রাগারে এল চতুর্থ পি-১৫বি শ্রেণির ‘গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার’। কিছু গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ারে শক্তিশালী রাডার সিস্টেম থাকে, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এজিস কমব্যাট সিস্টেম, এবং এটি ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী বা ব্যালিস্টিক-মিসাইল প্রতিরক্ষা ভূমিকায় ব্যবহারের জন্য গৃহীত হতে পারে। অন্যদিকে পি-১৭এ (শিবালিক) শ্রেণির ‘স্টেলথ ফ্রিগেট’ আইএনএস উদয়গিরি ভারতীয় নৌবাহিনীর নতুন অস্ত্র। দু’টি যুদ্ধজাহাজেরই নকশা তৈরি করেছে ভারতীয় নৌবাহিনীর ‘ডিরেক্টরেট অফ ন্যাভাল ডিজাইন’ (ডিএনডি)। ‘মাঝগাঁও ডক ইয়ার্ড’ কর্তৃপক্ষই যুদ্ধজাহাজ দু’টি নির্মাণ করেছেন।
ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে নৌবাহিনীর বিকাশ ও উন্নয়নের পরিকাঠামো নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার। সরকারের লক্ষ্য ২০২৭ এর মধ্যেই ভারতীয় নৌবাহিনীতে আরও যুদ্ধ জাহাজের সংযুক্তিকরণ। সেই লক্ষ্যে

২০০টি যুদ্ধ জাহাজের অন্তর্ভুক্তিকরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, ভারত খুবই দ্রুত চাহিদা অনুযায়ী প্রতিরক্ষা সামগ্রীর ৯০ শতাংশ দেশেই উৎপাদন করবে। এবার দুটি যুদ্ধজাহাজ সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে সেই লক্ষ্যেই আরও একধাপ এগোল ভারত।