বিপাশা চক্রবর্তী: জীবন শুরু হয়েছিল সোনালী ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে। আর পাঁচজনের মতো খ্যাতির শীর্ষে থাকার হাতছানি ডাক দিয়েছিল ওদের। কিন্তু মাঝপথে হঠাৎ থেমে গেল সেই স্বপ্ন। রঙিন জগতের আলোর ঝলকানি, ক্যামেরা, লাইট, অ্যাকশনের আড়ালে এক লহমায় অন্ধকারে হারিয়ে গেল ওরা। পড়ে থাকল কিছু অজানা কথা।
রাজ্য-রাজ্যনীতির উত্তপ্ত বাতাবরণের মধ্যেই বর্তমানে সব থেকে চর্চিত বিষয় টলিপাড়ার টেলি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃত্যুরহস্য। ইতিমধ্যে তার বন্ধু, লিভিং পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু তার মৃত্যু ঘিরে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। খুব অল্পদিনে টলিপাড়ায় সিরিয়ালের জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছিলেন পল্লবী। খুব ছটফটে, মিশুকে, প্রাণবন্ত মেয়েটি তার জীবন যে এভাবে শেষ করে দিতে পারে, তা ঘুণাক্ষরে ভাবতে পারেননি কেউই। তাই পল্লবীর মৃত্যু সকলের কাছে হঠাৎ করে জীবনে নেমে আসা দুর্যোগের মতোই ভয়ঙ্কর। পল্লবীর বন্ধুরা নানাভাবেই মিডিয়াকে জানিয়েছেন, পল্লবী আর সাগ্নিককে তারা খুব সুন্দর একটি ‘কাপল’ বলেই জানতেন।
ঝগড়া-অশান্তি হলেও সাগ্নিকের মিষ্টি কথায় পরক্ষণেই পল্লবী রাগ ভুলে গিয়ে সব সহজ করে নিত। ফলে কোন ঘটনার আড়ালে পল্লবী নিজের জীবন শেষ করার পরিকল্পনা করল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। দুটি মানুষের ভালোবাসার মধ্যে অর্থনৈতিক প্রসঙ্গ থেকে শুরু করে সাগ্নিকের পল্লবীর সঙ্গে লিভ-ইন করা কালীন অন্য মেয়েদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার সম্পর্কের তথ্য সামনে এসেছে। মৃত্যুর আগে বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে পল্লবীর সাগ্নিকের প্রতি তীব্র ভালোবাসার কথা। দুজন যে দুজনকে কত ভালোবাসেন সেটাই জানিয়ে গেছেন অভিনেত্রী। কিন্তু তাহলে কেন আত্মহত্যা করলেন পল্লবী! মৃত্যুর প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে আত্মহত্যার তত্ত্ব। তবে সত্যিই কি আত্মহত্যা করেছেন পল্লবী! না এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও ঘটনা, যা হয়তো জানা যাবে না কোনদিন। আর পাঁচজনের মতোই হারিয়ে যাবে পল্লবী দে’র মৃত্যুর কারব। যা শুধু রহস্যের তালিকায় নাম লেখাবে।
রুপোলী জগতে রহস্যমৃত্যুর ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রতিটি মৃত্যুর ‘তদন্ত’ হয়েছে, উঠে এসেছে নানান তথ্য। কিন্তু আসলঘটনা কি তা আজও যায়নি।
১৯৮৫ সালের ২২ জুলাই চলে যান বাংলা ছবির অন্যতম ব্যস্ত নায়িকা মহুয়া রায়চৌধুরী। আশির দশকে বাংলা ছবির জগতে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। অতি অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁয়ে ছিল। খুব অল্পদিনেই শিপ্রা রায় চৌধুরী হয়ে উঠলেন মহুয়া রায়চৌধুরী। অভিনয়ের পাশাপাশি সব রকম নৃত্যে পারদর্শী ছিলেন তিনি। দর্শক খুব অল্পদিনেই আপন করে নেয় আটপৌঢ়ে শাড়িতে পাশের বাড়ির মেয়েটাকে। সেটাই ছিল মহুয়া রায়চৌধুরীর ইউএসপি। সত্তরের দশকে মাত্র তেরো বছর বয়সে তরুণ মজুমদারের পরিচালনায় ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’ । এর পর দাদার কীর্তির ‘বধূ কোন আলো লাগলো চোখে’ মেয়েটাকে আজও ভোলেনি মানুষ। না এই নায়িকাকে বেশিদিন পেল না তার ভক্তরা।
খ্যাতি শীর্ষে এক সময় পাল্টে যেতে থাকে মহুয়ার জীবন। বেহিসেবি জীবনে অভ্যস্থ হতে থাকলেন মহুয়া। সালটা ছিল ১৯৮৫। জানা যায় জুলাই মাসের এক রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন তিনি। এর পরেই ঘটে সেই দুর্ঘটনা। স্টোভ ফেটে অগ্নিদগ্ধ হন মহুয়া। দক্ষিণ কলকাতার এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। টানা ১০ দিন যুদ্ধ করার পর মাত্র ২৭ বছর বয়সে জীবন দ্বীপ নিভে যায় মহুয়া রায় চৌধুরীর।
স্বামী তিলক চক্রবর্তী পুলিশকে জানিয়েছিলেন, স্টোভ ফেটে এই ঘটনা ঘটেছে। এটি শুধুমাত্র একটি দুর্ঘটনা। কিন্তু তদন্তে জানা যায় সেই স্টোভে কোনও কেরোসিন ছিল না। তাহলে স্টোভ ফেটে এই দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটল কিভাবে? অথচ চিকিৎসকের দাবি ছিল হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় মহুয়ার শরীরে ছিল কেরোসিনের গন্ধ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট জানায়, মহুয়ার চোখের কোণে ছিল কালশিটে। পুলিশ জানায় তিলকের পায়ের গোড়ালিতে ছিল মচকানোর দাগ। তিলক অবশ্য তার বয়ানে জানান, দুর্ঘটনাগ্রস্ত স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়েই পায়ে চোট লেগেছিল। মহুয়া রায়চৌধুরীর মৃত্যু কি শুধুই দুর্ঘটনা? আজও মেলেনি তার উত্তর।
বলিউডে সব থেকে নাড়িয়ে দিয়েছিল সুশান্ত রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনা। এত সুন্দর প্রাণবন্ত, সুঠামদেহী একটি ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তার নিজ বাসভবন থেকে। ‘পবিত্র রিস্তা’ বলে একটি সিরিয়ালে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন সুশান্ত। পরে বড় পর্দায় পা রাখা ‘কাই পো ছে’-হাত ধরে। সুশান্তের সব থেকে উল্লেখযোগ্য অভিনয় মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিক। সকলের মনে হয়েছিল সুশান্তের ভবিষ্যত উজ্জ্বল। রুপোলী জগতের শিখরে পৌঁছবে তাঁর সাফল্য। না সেই রকম কিছু হয়নি। ২০২০ সালের ১৪ জুন তার নিজের ফ্ল্যাট থেকে সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর পরে রিলিজ করে সুশান্তের অভিনীত ‘দিল বেচারা’ ছবি। সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। ড্রাগ পাচার, মাদক সেবন থেকে শুরু করে একাধিক সেলেব জড়িয়েছেন এই ঘটনায়। রিয়া চক্রবর্তী নামে এক মডেল, কাম নায়িকার নাম উঠে এসেছে। সামনে এসেছে বলিউড ইন্ড্রাস্ট্রিতে স্বজনপোষণের ঘটনা। কিন্তু আজও জানা যায়নি সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর কারণ। যা আজও রহস্য।
খুব কমদিনে জনপ্রিয় ছিপছিপে চেহারার তন্বী নায়িকা জিয়া খান। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ‘নিঃশব্দ’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল তাকে। আমির খানের ‘গজনী’ সিনেমায় জিয়ার অভিনয় দর্শকদের মনে দাগ কাটে।
কিন্তু মাত্র ২৫ বছর বয়সেই নিজের জীবন শেষ করে দিলেন জিয়া! একজন প্রতিভাময়ী অভিনেত্রীর মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি ইন্ড্রাস্ট্রি। কিন্ত কোথায় কি, আজও জিয়া খানের অকালে চলে যাওয়া রহস্যমৃত্যু হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট থেকে অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছিলেন তার মা ও বোন। জিয়ার মৃত্যুর পিছনে উঠে আসে অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সরোজ পাঞ্চোলির নাম। সামনে আসে দুজনের প্রণয়ের সম্পর্কের কথা। জানা যায় সম্পর্কে থাকাকালীন অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়েছিলেন জিয়া। পরে তিনি অ্যাবরশন করাতে বাধ্য হন। সব কিছুর পিছনেই উঠে এসেছিল সরোজ পাঞ্চোলির নাম। কিন্তু আজও জানা যায়নি জিয়া খানের মৃত্যুর আসল কারণ। তাই একজন প্রতিভাময়ী অভিনেত্রীর হঠাৎ চলে যাওয়াকে ‘আত্মহত্যার’ নাম দেয় ইন্ড্রাস্ট্রি।
৯০ দশকে বলিউডে রাজত্ব করা মেয়েটির নাম ছিল দিব্যা ভারতী। বড় বড় চোখে, সুন্দর হাসি, ঢেউ খেলানো চুল, আর স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয় মন কেড়েছিল দর্শকদের। খুব অল্পদিনেই খ্যাতির শীর্ষে। সেই সময়কার অভিনেত্রীদের মধ্যে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক ছিল তাঁর। তেলেগু সিনেমায় প্রথম আত্মপ্রকাশ করলেও পরে বলিউডে প্রবেশ। একটির পর একটি হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। কম সময়ের জীবনে দর্শকদের দিব্যা উপহার দিয়েছিলেন ২১টি সিনেমা। দিব্যাকে ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়। যে দ্বীপশিখা হঠাৎ প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠেছিল নিভে গেল ঝপ করেই। মাত্র ১৯ বছর বয়সে মৃত্যু হয় দিব্যা ভারতীর। মুম্বইয়ে তার নিজের ফ্ল্যাটের পাঁচ তলা থেকে নিচে পড়ে যান তিনি। কিভাবে পড়লেন, কেউ তাকে ফেলে দিয়েছিল কিনা, মৃত্যুর পিছনে কোনও অদৃশ্য শক্তির হাত ছিল কিনা তা জানা যায়নি। বিল্ডিং থেকে নিচে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শেষ হয় ১৯ বছরের দিব্যার জীবন। যে দর্শক তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল, যার সুন্দর মুখ অগণিত মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল সে চলে যায় চিরঘুমের দেশে। একাধিক প্রশ্ন উঠেছে দিব্যা ভারতীর মৃত্যু নিয়ে। নাম জড়িয়েছে আন্ডার ওয়াল্ডের। কিন্তু দিব্যা ভারতীর মৃত্যু রহস্যের জট উন্মোচন হয়নি।
লাস্যময়ী, সেক্স সিম্বল, বোল্ড অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে নিজেকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন সিল্ক স্মিতা। যার জীবনকাহিনি নিয়ে বলিউড তৈরি করেছে ‘ডার্টি পিকচার’। সিল্ক স্মিতার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বিদ্যা বালান। দক্ষ্ণিণী এই অভিনেত্রী সিল্ক স্মিতার আসল নাম ছিল বিজয়লক্ষ্ণী ভাদালপাট। এক সামান্য হেয়ার ড্রেসার রূপে রূপোলী জগতে কাজ শুরু করেন বিজয়লক্ষ্ণী। ‘বোল্ড চরিত্রে’র মধ্য দিয়ে অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন তিনি। কম দিনের ক্যারিয়ারে ৪৫০টি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। মাত্র ৩৬ বছর বয়সেই শেষ অভিনেত্রীর জীবন। একাকীত্ব, আর্থিক সমস্যা থেকে এক সময় অবসাদে ভুগে মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়েন। আত্মহত্যায় নিজেকে শেষ করেন সিল্ক স্মিতা।
এমনিতে চুপচাপ, খুব মৃদুভাষী এই মেয়েটি ক্যামেরা আলোর সামনে দাঁড়ালেই একদম পালটে যেতেন। নাম শ্রী আম্মা ইয়াঙ্গের আয়্যাপান। পরে হয়ে উঠলেন শ্রীদেবী।
রূপোলী জগতে অন্যতম বড় দুঃসংবাদ ছিল শ্রীদেবীর চলে যাওয়া। ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলের বাথরুমের বাথটব থেকে উদ্ধার হয় শ্রীদেবীর নিথর দেহ। জানা যায়, স্বামী বনি কাপুরের সঙ্গে সেই রাতে ডিনারের প্রোগ্রাম ছিল। তার আগে স্নানে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার পর এই ঘটনা। তার আগে দুবাইতে পরিবারের এক নিকট আত্মীয়ের বিয়েতে শেষ দেখা গিয়েছিল তাকে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী শ্রীদেবীর শরীরে অ্যালকোহল পাওয়া গিয়েছিল। আজও শ্রীদেবীর মৃত্যু বলিউড ইন্ড্রাস্ট্রির অন্যতম রহস্য। ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার একজন অভিনেত্রী ৫ ফুট ১ ইঞ্চির বাথটবে কিভাবে ডুবে মারা গেলেন সেটা আজও প্রশ্ন! শ্রীদেবীর মৃত্যু আজও অস্বাভাবিক মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে। যে রহস্যের আজও সমাধান হয়নি।
লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের আলোর ঝলকানিতে সাদা গাউন, আর লক্স কাটা একপিঠ ছাপানো চুল নিয়ে গাইছেন ‘প্যার করণেবালে প্যায়ার করতে হ্যায় জান সে’। নাম পরভীন বাবি। ৭০ থেকে ৮০ দশকের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা। স্টারডম ছিল আকাশছোঁয়া। ড্যানি ডেনজনপা, কবীর বেদি থেকে মহেশ ভাট একাধিক মানুষের সঙ্গে নাম জড়ায় তার। একটার পর একটা সম্পর্কের ভাঙন, অসুস্থতা ইন্ড্রাস্ট্রি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। ২০০৫ সালে ২২ জানুয়ারি তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। অভিনেত্রীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় তার দেহ। তাও মৃত্যুর ৭২ ঘন্টা পার হয়ে যাওয়ার পর। তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয় তার পায়ে গ্যাংরিন ও ডায়াবেটিক রোগী ছিলেন তিনি।
পুলিশ জানায় সম্পূর্ণ অনাহারে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এক সময় এও জানা যায় স্কিৎজোফেনিয়া নামক মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন পরভীন বাবি। তার কাছের লোকের জানিয়েছিলেন, সব আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করে সম্পূর্ণ একা থাকতেন। আর সব সময় মনে করতেন তাকে কেউ প্রাণে মেরে ফেলতে চাইছে। একাকীত্ব, অসুস্থতা, অবসাদ কি এনে দিয়েছিল এই মৃত্যু!
স্টারডম, লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের আলোর ঝলকানি, কান ফাটানো হাততালি, পুরস্কার, জনপ্রিয়তার, সাফল্যের আড়ালেই থেকে যাবে ওঁদের না জানা কথা। আমরা জানব শুধু তাঁদের সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প।