পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এক গৌরবময় যুগের অবসান। প্রয়াত কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদার। আজ সোমবার, ৪ জুলাই বেলা ১১.১৫ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত কষ্টে ভুগছিলেন। এছাড়াও তিনি ফুসফুস, কিডনির সমস্যা, ডায়াবেটিস সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছিল। মাঝখানে শরীরের অবস্থা একটু ভালো হয়েছিলে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছিল, সংকটজনক হলেও স্থিতিশীল। কিন্তু চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন তরুণ মজুমদার।
রবিবার রাত থেকেই অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। ডায়ালিসিসের প্রয়োজন পড়লেও তা নেওয়ার মত শারীরিক ক্ষমতা ছিল না তাঁর। ১০০ শতাংশ ভেন্টিলেটরি সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাঁকে।
দর্শকদের একাধিক সিনেমা উপহার দিয়েছিলেন তরুণ মজুমদার। সিনেমার মধ্যে ‘একটুকু ভালবাসা’, ‘বালিকা বধূ’, ‘রাহগির’, ‘নিমন্ত্রণ’, ‘কুহেলি’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘গণদেবতা’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘আপন আমার আপন’, ‘আলো’, ‘চাঁদের বাড়ি’, ‘দাদার কীর্তি’। জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
এক ট্যুইট করে শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে আমি গভীর শোকহত। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। ভিন্নধারার রুচিসম্মত সামাজিক চলচ্চিত্র নির্মাণে তরুণ মজুমদার উজ্জ্বল নিদর্শন রেখে গিয়েছেন। তাঁর ছবিতে রবীন্দ্রসংগীতের প্রয়োগ দর্শককে আবিষ্ট করে রাখে।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও একটি ট্যুইটে লিখেছেন, ‘তরুণ মজুমদার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র বালিকা বধূ, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, ফুলেশ্বরী, দাদার কীর্তি, ভালবাসা ভালবাসা, সংসার সীমান্তে, গণদেবতা, শহর থেকে দূরে, পথভোলা, চাঁদের বাড়ি, আলো ইত্যাদি উল্লেখের দাবি রাখে। তিনি পদ্মশ্রী, জাতীয় পুরস্কার, বিএফজেএ পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। তাঁর প্রয়াণ চলচ্চিত্র জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তরুণ মজুমদারের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’