পুবের কলম প্রতিবেদকঃ বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য, এটাই ভারতের শাশ্বত ঐতিহ্য। কিন্তু উগ্র জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী ‘এক ভাষা এক ভোট এক সংস্কৃতি এক দেশ’-এর ঢক্কানিনাদের মাধ্যমে দেশকে বিভাজিত করতে চাইছে। এর কোপ পড়ছে সংখ্যালঘু অধিকারের উপর। বিদ্বেষ ভাষণ, মসজিদের নিচে মন্দির আছে বলে দাবি, তথাকথিত নিচু জাত ও মুসলিমদের পিটিয়ে হত্যা—এভাবে দিনকেদিন দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত হচ্ছেন দেশের সংখ্যালঘুরা।
কিন্তু দেশের সংবিধানে তাদের অধিকারের সুরক্ষাকবচ রয়েছে। সাংবিধানিক অধিকার বাস্তবায়িত হলে দেশের মাইনোরিটিদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সংখ্যালঘু অধিকার দিবসে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে উঠে এলো সংখ্যালঘুদের সমস্যা ও সম্ভাবনার নানা কথা।
বৈচিত্র্য ও ঐক্যের ভারসাম্য বজায় রেখে এই আধুনিক ভারতে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির সামনে যে চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ রয়েছে সেগুলি উঠে আসলো বিদ্বজ্জনদের আলোচনায়। পশ্চিমবঙ্গ মাইনোরিটি কমিশনের পরিচালনায় এদিন আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে সংখ্যালঘু অধিকার দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সুগত বসু, রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান, গবেষক সাবির আহমেদ, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, বিধায়ক মোশারফ হোসেন এবং পশ্চিমবঙ্গ মাইনোরিটি কমিশনের চেয়ারম্যান আহমদ হাসান ইমরান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট লেখক, অধ্যাপক, সাংবাদিক এবং পড়ুয়ারা। বিদ্বজন ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি এক অন্য মাত্রা এনে দেয় এই অনুষ্ঠানে।
মুসলিম, খ্রিস্টান, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, পারসি ধর্মাবলম্বীরা এ রাজ্যে সংখ্যালঘু তালিকায় রয়েছেন। এদিনের আলোচনাসভার প্রেক্ষাগৃহটিতে ভিড় উপচে পড়েছিল এই সব ধর্মের মানুষের সমাবেশে। কারও মাথায় ফেজ টুপি তো কেউ পরে আছেন শিখদের পাগড়ি, কেউ আওড়াচ্ছেন আহুর মাজদার নাম তো কেউ ‘শরণ’ নিচ্ছেন গৌতম বুদ্ধের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা বাইবেল, ত্রিপিটক, কুরআন থেকে নিজ নিজ ধর্মের বাণী তুলে ধরেন। এভাবেই মাইনোরিটি কমিশনের অনুষ্ঠানটি ‘বিবিধের মাঝে মিলন মহান’-এর এক অপূর্ব নজির পেশ করে এদিন। মূল উদ্যোক্তা অর্থাৎ সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমদ হাসান ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি শুরু হয় রাজ্য সংগীত ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গাওয়ার মধ্য দিয়ে। ‘ছায়ানট’-এর সোমঋতা মল্লিক ও তার দল এই গান পরিবেশন করে। পাশাপাশি, তাওহীদ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কচিকাঁচাদের ‘সারে জাহা সে আচ্ছা’ গানের পারফরম্যান্স উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে।
প্রারম্ভিক বক্তব্যে মাইনোরিটি কমিশনের চেয়ারম্যান আহমদ হাসান ইমরান এদিনের অনুষ্ঠানটির সুর বেঁধে দেন। তিনি বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুর পাশাপাশি ভাষাগত সংখ্যালঘুও রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। যারা উর্দু, নেপালি, গুরুমুখী, ওড়িয়া, সাওতালি ভাষায় কথা বলেন তারা ভাষাগত সংখ্যালঘুর তালিকায় আছেন।
যদি এদের কোনও রকম ধর্মীয় বা ভাষাগত সমস্যা হয়, তবে তারা অভিযোগ জানাতে পারেন কমিশনে। ইমরান এদিনের অনুষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের উপস্থিতি নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে জানান, সমস্ত ধর্মের প্রতিনিধিরা এখানে রয়েছেন। এই রাজ্যে সবাই নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীন ভাবে পালন করে থাকেন। ভূমিপুত্র আদিবাসীরা সারি-সারনা ধর্ম পালন করেন। তবে দেশে যেভাবে দলিতদের উপর অত্যাচার হচ্ছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
মাইনোরিটি কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, আজ মণিপুর, রাজস্থানে কী হচ্ছে দেখুন। একের পর এক ঘৃণাভাষণ দিচ্ছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, যোগীরা। চলছে বুলডোজার। আদিবাসীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের টার্গেট করেই তারা নির্বাচনে জিততে চাচ্ছে। ধর্মীয় উপাসনাস্থল আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মসজিদের নিচে মন্দির খোঁজা হচ্ছে। কিন্তু বৌদ্ধরাও তাদের ধর্মীয় স্থানে পূর্ণ অধিকার ফিরে পেতে চাচ্ছেন, তার উপায় কী হবে? সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার কী হবে? দেশের এই প্রেক্ষিতে বাংলার পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জক বলে অভিহিত করেন তিনি।
আহমদ হাসান ইমরান বলেন, এখানে রবীন্দ্রনাথ, স্বামী বিবেকাননন্দ, বেগম রোকেয়ার আদর্শ অনুসরণ করা হয়। এখানে ইউপি-অসমের মতো বুলডোজার চলে না। সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার ব্যাপারে তিনি সংবিধানের সুরক্ষা কবচের কথা জোরের সঙ্গে উল্লেখ করেন।
চেয়ারম্যান ইমরান জানান, আলাদা অধিকার প্রয়োজন নেই সংখ্যালঘুদের জন্য। সংবিধান-প্রদত্ত অধিকারগুলি দিলেই সংখ্যালঘুরা এগিয়ে যেতে পারবে। সংবিধানে সমতা, বাক স্বাধীনতা, সংখ্যালঘুদের ভাষা, তাহজিব-তামাদ্দুন রক্ষার কথা রয়েছে। এমনকি সংখ্যালঘুরা নিজস্ব পরিচালনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলতে পারে বলে জানান তিনি।
সংবিধানের ৩০ নং ধারায় এই অধিকার দেওয়া হয়েছে। ইমরান আরও বলেন, কোনও দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার আছে কি না তা বোঝা যায় সংখ্যালঘুদের অবস্থা দেখে। ভারতের সংবিধানই জাতীয়তা ও সুরক্ষার ভিত্তি। ভারতের সংবিধানকে প্রাণের বিনিময়ে আমরা রক্ষা করব। ফ্যাসিবাদী শক্তি আমাদের ঐক্য ও সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়।
‘ভারততীর্থ’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘এসো হে আর্য, এসো অনার্য, হিন্দু মুসলমান/এসো এসো আজ তুমি ইংরাজ, এসো এসো খৃস্টান।/এসো ব্রাহ্মণ, শুচি করি মন ধরো হাত সবাকার/এসো হে পতিত, করো অপনীত সব অপমানভার।’ আমরা সবাইকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথের এই মহাভারত গড়তে চাই।
নেতাজি সুভাষ পরিবারের সদস্য খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ ড. সুগত বসু এদিনের অনুষ্ঠানে মূল ভাষণ প্রদান করেন। সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘু বিষয়টি যে রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহৃত এক ধরনের শধবন্ধ তা উল্লেখ করে তিনি এ নিয়ে ভারতের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। সুগত বসুর মতে, সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু এই ধারণা ঠিক নয়। আমাদের সমান নাগরিক অধিকারে বিশ্বাসী হতে হবে।
এই সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু ভেদাভেদ শুরু করেছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীরা। তারা ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ পদ্ধতি অনুসরণ করেছিল। বিভাজনের মধ্যেও অবশ্য সেই আমলেই এমন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরম্পরা তৈরি হয় যা সম্প্রীতির কথা শুনিয়েছিল। তিনি বলেন, এই রাজনৈতিক পরম্পরার পুরোধা ছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সাংস্কৃতিক ট্রাডিশনের পুরোধা ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম। ব্রিটিশরা যখন দেশকে রাজনৈতিক ভাবে ভাগ করার চেষ্টা করছিল তখন দেশবন্ধু আজ থেকে ১০০ বছর আগে বেঙ্গল প্যাক্ট করেছিলেন। আজ হয়তো পশ্চিমবাংলায় মুসলমানরা সংখ্যালঘু। ১৯৪৭ সালের আগে কিন্তু অবিভক্ত বাংলায় তারা ছিল সংখ্যাগুরু।
পঞ্চাশ শতাংশের বেশি। তবুও তারা পিছিয়ে ছিল। দেশবন্ধু বুঝেছিলেন ক্ষমতা ভাগ করতে হবে। তাই তিনি বেঙ্গল প্যাক্ট করেছিলেন। একশো বছর আগে তিনি যখন কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র হয়েছিলেন, তিনি ডেপুটি মেয়র করেন হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দীকে। সিইও করেন নেতাজিকে। দেশবন্ধু জানতেন ক্ষমতা ভাগ করে নিতে। সেই শিক্ষা লাভ করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসুও।
হিন্দু-মুসলিমের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চেয়েছিলেন নেতাজি। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধেকলকাতায় হলওয়েল মনুমেন্ট অপসারণের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন নেতাজি। হিন্দু-মুসলিম সবাই এগিয়ে এসেছিল এতে। নেতাজির জীবনে মুসলিমরা কীভাবে জড়িয়েছিল তা নিয়ে সংক্ষেপে আলোকপাত করেন এশিয়ার অন্যতম খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ সুগত বসু। কর্নেল হাবিবুর রহমান থেকে আসফাক কিয়ানি, মৈরাংয়ে তেরঙ্গা উত্তোলনকারী শওকত মালিকের অকথিত কাহিনি তিনি তুলে ধরেন। আজাদ হিন্দ ফৌজের ‘ইত্তেফাক, ইতমাদ, কুরবানি’র প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি জানান, নেতাজি এক ইনক্লুসিভ ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখেছিলেন।
তিনি নাগরিকদের সমান অধিকারে বিশ্বাস করতেন। তাই তার বাহিনীতে যেমন ছিল আজাদ ব্রিগেড, তেমনই ছিল ঝাঁসির রানি ব্রিগেড। মুসলিমদের তিনি নেতৃত্বের পদ দিয়েছিলেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুগত বসুর মতে, সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরুর মধ্যে ক্ষমতার ভাগাভাগি করা হয়নি বলেই দেশভাগ হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পূর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ব বাংলায় ২২ শতাংশ হিন্দু ছিল। এখন সেটা প্রায় ৮ শতাংশ।কিন্তু তার আগে অবিভক্ত বাংলায় হিন্দুরা ছিল প্রায় ৪২ শতাংশ। কিন্তু তখন তাদেরকে কারা ঠেলে দিয়েছিলেন বিপদের মুখে? দেশভাগের সময় হিন্দু রাজনীতিকরা কিন্তু পূর্ব বাংলার এই ৪২ শতাংশ হিন্দুর কথা ভাবেননি।
এদিনের অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, মমতা দিদির দেখানো পথেই আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছি।
বিধায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, ধর্ম যার যার নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। দেশে মুসলিমদেরকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে, লাশের রাজনীতি হচ্ছে। অসহিষ্ণুতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জাতিগত বিদ্বেষকে দূরে সরিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।
মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, মানুষ হচ্ছে অমৃতের পুত্র। যত মত তত পথ। যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ তাদেরকে সব সময় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে হবে। যারা এটা পারে না তারা আমাদের ধর্মের অন্তর্ভুক্ত নয়। অন্য ধর্মকে সম্মান দিতে না পারলে সেটা বড় বিচ্যুতি।
রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান বলেন, দেশে সবার অধিকার সমান। আজ আমাদের বলা হচ্ছে ‘বাবরের আওলাদ, আকবরের আওলাদ’। দেশে মুসলমানদের কি কোনও অবদান নেই? আজ নতুন করে ইতিহাস লেখা হচ্ছে। বলা হচ্ছে হিজাব পরতে পারবেন না। খাবারের ব্যাপারে রেস্ট্রিকশন! সংখ্যাগুরুরা সবাই প্রতিবাদ করছে না কেন?
ছোটখাটো ঘটনাতেই জঙ্গি ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে। তাদেরকে জেলে পুরে রাখা হচ্ছে ২০-২৫ বছর। পরে বলা হচ্ছে নির্দোষ। জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটা কেন হবে? সংখ্যাগুরুদের প্রতি আমার এই প্রশ্নের জবাব চাই। আমরা হিংসায় বিশ্বাস করি না। সৌভ্রাতৃত্বে বিশ্বাস করি। পরের জায়গা দখল করে মসজিদ করলে সেই জায়গায় নামায হয় না। এই দেশের ভূমিকে পবিত্র মনে করি আমরা। আমরা এদেশ ছেড়ে যাব না। রক্তের প্রয়োজন হলে আরও প্রাণ দেব। স্বাধীনতা সংগ্রামে বহু মুসলিম প্রাণ দিয়েছেন।
‘প্রতীচী’র গবেষক সাবির আহমেদ বলেন, বহুত্ববাদ আমাদের দেশের গর্ব। কিন্তু ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের শিকার হচ্ছে সংখ্যালঘুরা। মাইনোরিটি সুরক্ষার দিক থেকে ভারত অত্যন্ত পিছনের দিকে। এক দেশ এক ভাষা এক ভোট এক সংস্কৃতি—এমনটা ভারতের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। কেন্দ্রে কোনও মুসলিম মন্ত্রী বা বিজেপিতে কোনও মুসলিম সাংসদ নেই। সেন্সাস নেই ১৪ বছর থেকে। যারা মুসলিম পশ্চাদপদতা বা মব লিঞ্চিং নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছিল, তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সাবির আরও বলেন, ওয়াকফ বিলের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের অধিকারে আক্রমণ করতে চাইছে কেন্দ্র। এটা আসলে জমির লড়াই। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেটা বলছে, মুসলমানদের লোন দেওয়া কমেছে দেশে। তারা আর উদ্যোগপতি হতে পারবে না।
দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষ হিসেবে বাঁচছেন তারা। এদিন বিশিষ্টদের মধ্যে বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা ছাড়াও সংখ্যালঘু কমিশনের বোর্ড মেম্বার ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এঁদের মধ্যে সতনম সিং আহলুওয়ালিয়া, কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান মাইকেল শ্যেন কালভার্ট (অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন তিনি), মমতাজ সংঘমিতা, অরুণজ্যোতি ভিক্ষু, জ্ঞানী বলবিন্দর সিং, শেহনাজ কাদরি, বিকাশ বড়ুয়া, নুজহাত জয়নাব, অ্যাঞ্জেলিনা ম্যান্টোস প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।