হাইকোর্টের নির্দেশে রাজারহাটে জিয়াউর মৃত্যু মামলায় তদন্তভারে সিবিআই

- আপডেট : ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার
- / 7
পারিজাত মোল্লা: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে এক অস্বাভাবিক মৃত্যু সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ জারি করা হল। রাজারহাটে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় সিবিআইকে তদন্তভার দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। আদালত সূত্রে প্রকাশ, গত ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল রাজারহাট থানা এলাকায় রাস্তার ধার থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই মৃত্যু মামলায় এদিন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
মৃত যুবকের নাম জিয়াউর রহমান। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ওই যুবকের জেসিবি মেশিন ছিল। তিনি মাটি কাটার ঠিকাদারি করতেন। এক উপপ্রধান তাঁর থেকে তোলা চেয়েছিলেন। তিনি দিতে অস্বীকার করায় তাঁর উপর হামলা হয়েছিল মৃত্যুর সাত দিন আগে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ৭ এপ্রিল জিয়াউরের উপর কিছু যুবক এসে হামলা করে। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বলা হয় টাকা দিতে হবে। এরপর পুলিশে অভিযোগ জানালেও ব্যবস্থাগ্রহণ হয়নি বলে অভিযোগ।
পুলিশ ওই মৃত্যুর ব্যাপারে রিপোর্ট দেয়, এটি পথদুর্ঘটনা’। ময়নাতদন্তেও তাই উঠে আসে বলে রিপোর্ট জমা দেয় পুলিশ। কিন্তু এক চিকিত্সক সেই রিপোর্ট দেখে কোর্টে বলেন, ভারী কিছুর আঘাত ছিল জিয়াউরের মাথায়। এদিন আদালত বলেছে, এই মৃত্যুর তদন্ত সঠিকভাবে হওয়া উচিত। শুধু মৃত্যুর তদন্ত নয়। হাইকোর্ট বলেছে, এই সময়ে পুলিশের ভূমিকা কী তাও খতিয়ে দেখতে হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে। ওইদিনই এই মামলার শুনানি হবে। অভিযোগ, মৃত্যুর তিন দিন আগে স্থানীয় উপপ্রধানের লোকজন কাটমানি চেয়ে হুমকি দেয়। পুলিশকে এই বিষয়ে অভিযোগও করেন তিনি। তারপরেই মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনা বলে পুলিশ উল্লেখ করলেও সেই মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলেই দাবি করে পরিবার। ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল ওই দুর্ঘটনা ঘটে। অভিযোগ ছিল, ওই বছরের ৭ এপ্রিল জিয়াউর রহমানকে মাটি ফেলার জন্য নিয়োগ করেন। সেই সময় বাইক নিয়ে কয়েকজন এসে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। উপপ্রধান টাকা চেয়েছিলেন বলেও দাবি করা হয় ওই যুবকের পরিবারের তরফে। আত্মীয়দের দাবি, উপপ্রধানকে টাকা না দেওয়াতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। যে চিকিত্সক ময়নাতদন্ত করেছিলেন, তিনি আদালতে জানান, তাঁকে সব নথি দেওয়া হয়নি। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানানো হয়, রাস্তায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি ওই যুবকের, ভারী কিছুর আঘাতে মৃত্যু হয়। কেস ডায়েরি সহ ছবিও খতিয়ে দেখা দরকার বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। তাই সিবিআই-কে তদন্তভার নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।