৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
BRAKING :

যাদবপুর কান্ডে মাওবাদী যোগ? হাইকোর্টে মামলা শুভেন্দুর
পারিজাত মোল্লা: অল ইন্ডিয়া লিগ্যাল এইড ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ মুখার্জি এক প্রেস রিলিজে যাদবপুর কান্ডে অতি বামপ্রন্থা এবং মাদক

কাঁথির মাজারে শিশির অধিকারী! রাজনৈতিক তরজা
পুবের কলম প্রতিবেদক, কাঁথিঃ কাঁথি শহরের দারুয়া আস্তানা মাজারে চাদর চড়ালেন শুভেন্দু অধিকারীর বাবা সাংসদ শিশির অধিকারী। এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও। বলাবাহুল্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শেষ বিধানসভা নির্বাচনের আগে-পরে রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের উপর বিশেষকরে মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে একাধিক জনসভা থেকে কখনো বেগম, বাংলাদেশের ফুফু একাধিক ভাষায় আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। গত বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে জনসভা থেকে ’সংখ্যালঘু জেহাদি’ বলেও আক্রমণ করতে ছাড়েন নি শুভেন্দুবাবু। কিন্তু একেবারে উলটো পথে হাঁটলেন শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী। শুক্রবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি শহরে দারুয়া আস্তানা মাজারে আসেন শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী। সেখানে তিনি চাদর চড়িয়ে ও সিন্নি দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। কাঁথি শহরে দারুয়া আস্তানা মাজারের সেবক উমর ফারুক বলেন, “জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই এখানে আসতে পারেন। সাংসদ আসায় আমরা খুশি। কিন্তু একটা দুঃখ রয়েছে ভোটের সময় কাঁথির সাংসদের ছেলে আমাদের উদ্দেশ্যে কটুক্তিকর মন্তব্য করেছেন”।

ত্রিপুরায় সরকারের মদতে সন্ত্রাসবাদ চলছে: ফিরহাদ
সুরাজ মিশ্র, হলদিয়া: গণতন্ত্র ও দেশের সংবিধানকে অবমাননা করা হয়েছে ত্রিপুরাতে। অবমাননা করা হয়েছে দেশের সুপ্রিম কোর্টকেও। ত্রিপুরায় চলছে সরকারের মদতে সন্ত্রাসবাদ। দ্রুত কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নিলে দেশের একতা নষ্ট হতে পারে। ত্রিপুরাতে সায়নী ঘোষের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে হলদিয়ায় জল প্রকল্পের পাইপলাইনের উদ্বোধনে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। প্রসঙ্গত এই প্রকল্পের জন্য হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ ৩৪ কোটি টাকা খরচ করেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্প শহর হলদিয়ায় উন্নততর পরিষেবার লক্ষ্যে জেলার শিল্প এলাকার চৈতন্যপুর থেকে ব্রজলালচক পাম্পিং স্টেশন পর্যন্ত এবং ব্রজলাল চক থেকে হাতিবেড়িয়া পাম্পিং স্টেশন পর্যন্ত রাস্তায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়ার এদিন আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। এদিন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি, জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজি, পুলিশ সুপার অমরনাথ কে ছাড়াও সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, রাজ্যে এখন মাতৃশক্তিই চালিকা শক্তি হয়ে এগিয়ে চলেছে। তাই এতো উন্নয়ন চারিদিকে হচ্ছে। আগামী ২০২৪ সালে সেই মাতৃশক্তিই দেশ চালাবে।

দল ছাড়লেন বিজেপি নেতা
পুবের কলম প্রতিবেদক, হাওড়া: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন হাওড়া সদরের বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা। এর সপ্তাহখানেকের মধ্যেই এবার সুরজিতের প্রতি সমর্থন জানিয়ে দলের হাওড়া জেলা সদরের সম্পাদকের দায়িত্ব ছাড়লেন বিজেপি কার্যকর্তা সুরজিৎ ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত বিমল প্রসাদ। মঙ্গলবার রাতে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় বিমল প্রসাদ বলেন, “আমি দলের হাওড়া সদরের সম্পাদক ছিলাম এবং দলের আইটি সেলের সোস্যাল মিডিয়ার ইনচার্জ ছিলাম। আমি দলের এই দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করছি। গত ২-৩ দিন ধরে আমাদের জেলায় যে রাজনৈতিক চাপান উতর শুরু হয়েছে।

শুভেন্দুর আপত্তি টিকল না, দেড়শো আসনের মেডিক্যাল কলেজ মঞ্জুর বোলপুরে
দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আপত্তি টিকল না, দেড়শো আসনের মেডিক্যাল কলেজ মঞ্জুর হল বোলপুরে। আর তাতেই স্বস্তিতে বোলপুরবাসী। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেও শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন দিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ বোলপুর শহর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে ২০০ বিঘা জায়গাজুড়ে এই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজটি ক্লাস চালু করার জন্য একরকম প্রস্তুত৷ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে আরেকটি মেডিক্যাল কলেজ। জেলায় আরেকটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ রামপুরহাটে। তাছাড়াও পিপি মডেলে তৈরি এই মেডিক্যাল কলেজে যুক্ত আছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অর্থ সাদা করার জন্য টাকা খাটানো হচ্ছে এরকম একাধিক কারন দেখিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, বোলপুর শহর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে তৈরি হচ্ছে বেসরকারি ‘শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ’। রাজ্য সরকার অনুমোদ দিলেও আপত্তি জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত ১৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে চিঠি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে এই মেডিক্যাল কলেজ হচ্ছে৷ অনুব্রত যুক্ত এই কলেজের সঙ্গে৷ এছাড়া, ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে দুটি মেডিক্যাল কলেজ হয় না৷ কিন্তু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে এই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ। এইরকম ৯ টি অভিযোগ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আপত্তির জেরে অনুমোদন স্থগিত করে ছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যা নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ শুভেন্দু অধিকারী আপত্তি দিয়ে চিঠির জন্য অনুমোদন স্থগিত হওয়ার পরও এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ছাড়পত্র মিলল। অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক অনুব্রতর গড়ে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন দিল।

ওখানে একটা চোর ছড়ি ঘোরাচ্ছে, শুভেন্দুকে নিশানা অনুব্রতর
দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: বিজেপিকে আস্তাকুঁড় বলে কটাক্ষ করলেন অনুব্রত মন্ডল। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাসভবনে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপি ছাড়া নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এদিন অনুব্রত বলেন, রাস্তার কুকুরও নোংরা জায়গায় শোয় না, একজন মানুষ কিভাবে জঞ্জালে থাকবে? তিনি বলেন, আসলে দলটা (বিজেপি) জঞ্জালে ভর্তি তো। পরিষ্কার জঞ্জাল। ওই জঞ্জালে ভদ্রলোক থাকা মুশকিল আছে। তারপর, ও মহিলা। ওর পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। শ্রাবন্তী কেন, সবাই এক এক করে বিজেপি ছাড়বে। সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হবেন। একই প্রসঙ্গে তিনি হাওড়ার বিজেপি সভাপতি সুরজিত সাহার ‘শুভেন্দু নিন্দা’ নিয়ে বলেন, ২৮ বছর দল করার পর হাওড়াতে দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হল। ওখানে একটা চোর ছড়ি ঘোরাচ্ছে। তাই বিজেপি পার্টি এখন জঞ্জালে ভরে গেছে। কেউ আর থাকতে রাজি নয়। সম্প্রতি তথাগত রায়ের বক্তব্য ‘নারীসঙ্গ আর অর্থ’ বিজেপিকে শেষ করে দিল নিয়ে কোন কথা বলতে চান নি অনুব্রত। তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। আমি তো ওদের দলের মধ্যে ছিলাম না। সেটা ওদের দলের লোক বলতে পারবে।

শুভেন্দু অধিকারীকে ‘নারদ খোঁচা’, পুরভোটের আগে দল থেকে বহিষ্কৃত হাওড়া সদরের বিজেপি সভাপতি
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : এ যে সেম সাইড গোল ! ফুটবলে কখনও কখনও ভুলবশত এটা হয়ে যায়। চাপে পরে যায়

শুভেন্দু কোনও দিন গুলি খেতে যান নি, তবে কেউ মরে গেলেই উনি মালা চড়াতে যান: আবু তাহের
পুবের কলম প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম: ‘‘অন্য লোকের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা ঠিক নয়। কে বা কারা নিশিকান্তকে খুন করেছেন, তা জানেন শুভেন্দু!’’ দাবি করলেন একদা শুভেন্দু অধিকারীর ছায়া সঙ্গী নন্দীগ্রাম জমি রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্ব আবু তাহের। শনিবার নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় একটি স্মরণসভায় আবু তাহেরের এমন দাবিকে ঘিরে ইতিমধ্যেই আলোড়ন পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরজুড়ে। শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য এই নিয়ে মুখ খোলেননি।তবে বিজেপি একে তৃনমূলের রাজনীতি বলে অভিযোগ করেছে। নন্দীগ্রামের জমি রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্ব ছিলেন নিশিকান্ত মন্ডল। তিনি খুন হয়েছিলেন গত ২০০৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁকে বাড়ি থেকে ফোন করে ডেকে এনে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করা হয়। সে ঘটনার এত বছর বাদে আচমকাই এই খুনে শুভেন্দুকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন নন্দীগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আবু তাহের। এদিনের স্মরন সভায় আবু তাহেরের অভিযোগ, ‘‘নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময়কার শুভেন্দু অধিকারী আজ কোথায়? এত দিন তিনি মানুষ খুনের রাজনীতি করেছেন। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে যত মানুষ খুন হয়েছেন তার জন্য শুভেন্দু অধিকারীই দায়ী!’’ একই সাথে একদা শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ তথা নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনের অন্যতম নেতা আবু তাহের প্রশ্ন করেছেন ‘‘নিশিকান্ত মণ্ডল যখন খুন হন, সে সময় নন্দীগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু নিশিকান্ত খুনের পর তাঁর ফোন কেন পরীক্ষা করা হয়নি?’’

সমবায় সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারল না শুভেন্দু
পুবের কলম প্রতিবেদক, রামনগর: রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রথম সমবায় সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারল না বিজেপি তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । ৫১টি আসনের সব কটি আসনেই বিনা নির্বাচনে জয়ী হল তৃণমূল প্রার্থীরা। বিজেপি একে তৃণমূলের সন্ত্রাসের জন্য বলে দাবি করছে। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল অবশ্য দাবি করেছে মানুষ বিজেপির সাথে নেই, সেটা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেছে। তাই সমবায় সমিতির নির্বাচনেও ওদের হয়ে কেউ প্রার্থী হতে চায় না। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর ২ ব্লকের দেপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের দেপাল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এই সমবায় সমিতির মোট ৫১ টি আসন। আগামী ১২ নভেম্বর এই আসনগুলিতে নির্বাচন হওয়ার দিন স্থির ছিল। কিন্তু ৫১ টি আসনের একটিতেও সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস কিংবা অন্য কোনো বিরোধী দল প্রার্থী দিতে না পারায় আর নির্বাচন হবে না। ফলে সব কটি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল তৃণমূল প্রার্থীরা বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা নানাভাবে ধমক চমক দেওয়ায় প্রার্থী হতে চায়নি কেউ। সেই অভিযোগ উড়িয়েছে তৃণমূল।

‘রোহিঙ্গাদের চুলের মুঠি ধরে ওপারে পাঠাতে হবে’, আবারও বেফাঁস শুভেন্দু
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক : ঠিক একদিন আগে সাংবাদিকদের চটি চাটা বলে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন নান্দিগ্রামের বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী