৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সবরমতী আশ্রম পুনর্নির্মাণের বিরুদ্ধে তুষার গান্ধির আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
  • / 41

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গুজরাত সরকারের সাবরমতী আশ্রম পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তুষার গান্ধির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে প্রকল্পটি রূপায়নের পথ পরিষ্কার হয়ে গেল। সুপ্রিম কোর্ট মহাত্মা গান্ধির প্রপৌত্র তুষার গান্ধির সবরমতী আশ্রম পুনর্নির্মাণ প্রকল্পকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তাঁর সেই আবেদন এদিন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং রাজেশ বিন্দালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে মামলাটির শুনানি চলছিল। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে মামলাটি চলায় তাতে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি শীর্ষ আদালত।

গুজরাত হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গান্ধি। কারণ হিসাবে যুক্তি দিয়েছিলেন, এই প্রকল্পের কারণে আশ্রমের ঐতিহাসিক ভূ-প্রাকৃতিক পরিবর্তন হবে। তার আবেদনে বলা হয়েছিল, ৪০টিরও বেশি কাঠামো সংরক্ষণ করা হবে। এই প্রকল্পের ফলে প্রায় ২০০টি ভবন ভেঙে ফেলা হবে অথবা পুনর্নির্মাণ করা হবে। তবে শীর্ষ আদালত উল্লেখ করেছে, গুজরাত সরকার আশ্বাস দিয়েছে  আশ্রমের মূল পাঁচ একর প্রাঙ্গণ অক্ষত থাকবে। কেবল আশঙ্কা হস্তক্ষেপের কারণ হতে পারে না।

আরও পড়ুন: গুরুতর অসুস্থ লালু প্রসাদ যাদব! দিল্লির এইমস হাসপাতালে চিকিৎসা

গুজরাত হাইকোর্ট ২০২২ সালে আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। রাজ্য সরকারের আশ্বাসের পর ২০২২ সালে গুজরাত হাইকোর্ট গান্ধির আবেদন খারিজ করে দেয়। গুজরাত সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাডভোকেট জেনারেল কমল ত্রিবেদী বলেন, পুনর্নির্মাণ কেবল স্থানটির ঐতিহাসিক দিকটি সংরক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে স্থানটির উন্নতি করবে।

আশ্রমের পুনর্নির্মাণ জাতীয় গান্ধি স্মারক নিধি (এনজিএসএন) দিয়ে করা দাবি তুলেছিলেন তুষার গান্ধি। মহাত্মা গান্ধির মূল দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে যাতে সঙ্গতিপূর্ণ থাকে সেটি বলা হয়। ১৯১৭ সালে মহাত্মা গান্ধি আহমেদাবাদে সবরমতী আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। যা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনার লক্ষ্য হল আশ্রমকে একটি বিশ্বমানের স্মৃতিস্তম্ভে রূপান্তরিত করা। আশ্রমের ঐতিহাসিক তাৎপর্য বজায় রাখা বলেও দাবি করা হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সবরমতী আশ্রম পুনর্নির্মাণের বিরুদ্ধে তুষার গান্ধির আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট

আপডেট : ২ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গুজরাত সরকারের সাবরমতী আশ্রম পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তুষার গান্ধির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে প্রকল্পটি রূপায়নের পথ পরিষ্কার হয়ে গেল। সুপ্রিম কোর্ট মহাত্মা গান্ধির প্রপৌত্র তুষার গান্ধির সবরমতী আশ্রম পুনর্নির্মাণ প্রকল্পকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তাঁর সেই আবেদন এদিন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং রাজেশ বিন্দালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে মামলাটির শুনানি চলছিল। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে মামলাটি চলায় তাতে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি শীর্ষ আদালত।

গুজরাত হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গান্ধি। কারণ হিসাবে যুক্তি দিয়েছিলেন, এই প্রকল্পের কারণে আশ্রমের ঐতিহাসিক ভূ-প্রাকৃতিক পরিবর্তন হবে। তার আবেদনে বলা হয়েছিল, ৪০টিরও বেশি কাঠামো সংরক্ষণ করা হবে। এই প্রকল্পের ফলে প্রায় ২০০টি ভবন ভেঙে ফেলা হবে অথবা পুনর্নির্মাণ করা হবে। তবে শীর্ষ আদালত উল্লেখ করেছে, গুজরাত সরকার আশ্বাস দিয়েছে  আশ্রমের মূল পাঁচ একর প্রাঙ্গণ অক্ষত থাকবে। কেবল আশঙ্কা হস্তক্ষেপের কারণ হতে পারে না।

আরও পড়ুন: গুরুতর অসুস্থ লালু প্রসাদ যাদব! দিল্লির এইমস হাসপাতালে চিকিৎসা

গুজরাত হাইকোর্ট ২০২২ সালে আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। রাজ্য সরকারের আশ্বাসের পর ২০২২ সালে গুজরাত হাইকোর্ট গান্ধির আবেদন খারিজ করে দেয়। গুজরাত সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাডভোকেট জেনারেল কমল ত্রিবেদী বলেন, পুনর্নির্মাণ কেবল স্থানটির ঐতিহাসিক দিকটি সংরক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে স্থানটির উন্নতি করবে।

আশ্রমের পুনর্নির্মাণ জাতীয় গান্ধি স্মারক নিধি (এনজিএসএন) দিয়ে করা দাবি তুলেছিলেন তুষার গান্ধি। মহাত্মা গান্ধির মূল দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে যাতে সঙ্গতিপূর্ণ থাকে সেটি বলা হয়। ১৯১৭ সালে মহাত্মা গান্ধি আহমেদাবাদে সবরমতী আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। যা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনার লক্ষ্য হল আশ্রমকে একটি বিশ্বমানের স্মৃতিস্তম্ভে রূপান্তরিত করা। আশ্রমের ঐতিহাসিক তাৎপর্য বজায় রাখা বলেও দাবি করা হয়েছে।