পুবের কলম প্রতিবেদক : আট মাসের শিশু গিলে ফেলেছিল কাজলের কৌটো। তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল ও শিয়ালদার কাছে এনআরএস হাসপাতালে। সেখানে এক প্রকার বিনা চিকিৎসাতেই ফিরতে হয়েছিল। তবে মিরাক্কেল ঘটাল এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে খেলতে খেলতে ছোট্ট কাজলের কৌটো গিলে ফেলেছিল নিউ টাউন এলাকার আট মাসের একটি শিশু। স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয় তার শ্বাসকষ্ট। ধীরে ধীরে নামতে থাকে অক্সিজেনের মাত্রা। কোনওভাবে শ্বাসটুকু নিতে থাকে শিশুটি। এমন ছবি দেখে আঁতকে ওঠে তার মা বাবা ও পরিজনরা। শিশুটিকে বুকে চেপে হাসপাতালের পথে দৌড়ন তাঁরা। প্রথমেই শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে। তার পরিবারের অভিযোগ ওই হাসপাতাল তাদের ফিরিয়ে দেয়। এরপর এনআরএস হাসপাতালেও অনেক ছোটাছুটি করে কিছুই হয়নি। এই সরকারি হাসপাতালে জরুরি বিভাগ ইএনটি শিশুশল্য বিভাগে ঘুরতে ঘুরতেই অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। পরে বলা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
জানা গিয়েছে দেরি না করেই এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানে গিয়ে শুরু হয় চিকিৎসা। চিকিৎসকরা ল্যারিঙ্গোস্কোপি করে শিশুটির গলা থেকে কাজলের কৌটো বের করেন। জানা গিয়েছে শিশুটি এখন পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা পিকুতে চিকিৎসাধীন। অনেকটাই ভালো আছে শিশুটির শারীরিক অবস্থা।
জানা গিয়েছে শিশুটির নাম রীতেশ বাগদি। বাড়ি নিউ টাউনে। সে এ দিন খেলতে খেলতেই গোলাকৃতি একটি কাজলের কৌটো গিলে ফেলেছিল। তাতে সকাল সাড়ে ন’টার সময় রীতেশকে এসএসকেএম হাসপাতালে রেফার করা হয়। ১০টা নাগাদ এসএসকেএমের এমার্জেন্সিতে রীতেশকে নিয়ে যাওয়া হয়। এসএসকেএম সূত্রের খবর শিশুকে যখন এনআরএসে নিয়ে যাওয়া হয় তখনই রীতেশের দেহে অক্সিজেনের মাত্রা ৫০ শতাংশে নেমে গিয়েছে। এসএসকেএমে যখন রীতেশ পৌঁছয় তখন তার দেহে অক্সিজেনের মাত্রা মাপা যাচ্ছে না। ল্যারিঙ্গোস্কোপি করে কাজলের কৌটো বার করা মাত্রই শিশুটি শ্বাস নিতে শুরু করে। চিকিৎকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে শিশুটির পরিবার। বিধাননগর মহকুমা ও এনআরএস হাসপাতালেরর চিকিৎসকদের গাফিলতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শিশুটির বাড়ির লোকজন।