পুবের কলম প্রতিবেদকঃ শুধু রোগীদের সেবা করে সুস্থ করে তোলার চেষ্টাই নয়– তাদের বিভিন্ন কর্মে লিপ্ত করার জন্য সহায়তার উদ্যোগ নিচ্ছে এসএসকেএম হাসপাতালের স্কুল অব ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলেশন বিভাগ।
শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বরে ‘ওয়ার্ল্ড ডিসাবিলিটি ডে- ২০২১’ উপলক্ষ্যে এক সচেতনতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষরা উপস্থিত হন।
এদিনের অনুষ্ঠানে এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন– যাঁরা নানা ভাবে প্রতিবন্ধকতার মধ্যে রয়েছেন– তাঁদের নিয়ে একটি হোয়াটস অ্যাপ পিআর গ্রুপ তৈরি করা হচ্ছে। তাতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের যুক্ত করে মানসিক ও আর্থিক ভাবে সহায়তা করে বিভিন্ন কর্মে নিযুক্ত করার প্রচেষ্টা চালানো হবে। রাজ্যের মধ্যে এসএসকেএম হাসপাতাল এই উদ্যোগ প্রথম নিয়েছে। সল্টলেকে রাজ্য সরকারের একটি রোজগার মেলা হচ্ছে– ক্যারিয়ার গাইডেন্সের জন্য তাঁদের ওই মেলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
স্কুল অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. রাজেশ প্রামানিক বলেন– গ্রুপের মধ্যে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিযুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে তাঁরাই ওই গ্রুপে লিডারশিপ দেবে। কে কী করছে তা জানতে পারবে। একে অপরের মনোবল বাড়াতে পারবেন। তাঁদের প্রতিবন্ধকতা জয় করার জন্য এই গ্রুপ করা হয়েছে। সারা বছর ধরে একে অপরের সাথে থাকবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের কাজের মাধ্যমে মানসিক শক্তি বাড়বে। একটি দিন বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের এনে উদযাপন করলাম সেটা হয় না। তাদের একটি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে এনে সারা বছর ধরে তাদের পাশে থেকে স্বনির্ভর করে তোলাই লক্ষ্য উদ্দেশ্য।
এদিন সল্টলেকের রোজগার মেলায় ৩০ থেকে ৩৫ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেূানে তাঁরা কাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র ঘুরে দেখেন। সাধ্যমতো তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবে এসএসকেএম হাসপাতাল।
এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের এমএসভিপি ডা. পীযুষ কুমার রায়– নিউরোলজি বিভাগের ডা. বিমানকান্তি রায়– অর্নব সেনগুপ্ত প্রমুখ।
এদিন ডা. বিমানকান্তি রায় স্কুল অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন– মানুষ বিভিন্ন ভাবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হয়। একদিকে চিকিৎসা পরিষেবা– অন্যদিকে মানুষকে মানসিক ভাবে মজবুত করার প্রচেষ্টা খুব জরুরি। সেই উদ্যোগ নিয়েছে এসএসকেএম হাসপাতাল।
এদিনের অনুষ্ঠানে হাসপাতালের এই বিভাগের উদ্যোগে খুশি। তাঁদের অনেকেই এই অনুষ্ঠানে কবিতা– আবৃতি পাঠ করেন। একই সঙ্গে তাঁদের জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরেন। প্রতি বছর তিন ডিসেম্বর পালিত হয় ‘ওয়ার্ল্ড ডিসাবিলিটি ডে’।