পুবের কলম প্রতিবেদক: সম্প্রতি হাওড়ার আমতা থানার বাসিন্দা প্রতিবাদী ছাত্র আনিস খান খুন হয়েছেন। অভিযোগ তাঁকে পরিকল্পিতভাবে দুষ্কৃতীরা ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে হত্যা করেছে। এ নিয়ে নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন রাজ্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা সিদ্দীকুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আনিস খানকে পরিকল্পিতভাবেই দুষ্কৃতীরা ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে খুন করা হয়েছে, যার মাথা থেঁতলে চেহারা বিকৃত করেছে। তার পিতাকে ভয় দেখিয়ে আটকে রেখেছিল, তারপর ওই যুবকরা চম্পট দেয়।
আনিসের আব্বা প্রকাশ করেছেন, পুলিশের উর্দি পরে আততায়ীরা এসেছিল। খুন যে ধরনের হোক না কেন তা নি¨নীয়। আমি বিশ্বাস করি, পুলিশ এ কাজ করতে পারে না। পুলিশের পোশাক বহুভাবে সংগ্রহ করা যায়। সেই পোশাক পরে আততায়ীরা আনিসের আব্বাকে ধন্দে ফেলে দিয়েছে। পুলিশ যাতে বদনাম হয় এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলা যায়, সম্ভবত এই কারণে দুষ্কৃতীরা পুলিশের ছদ্মবেশ নিয়েছিল। সাম্প্রদায়িক শক্তি অথবা অন্য কোনও অশুভ শক্তি এই খুন করতে পারে অনুমান করা হচ্ছে।
এই খুনের বিষয়ে আমরা দুঃখিত এবং মর্মাহত। এসএফআই তথা বামপন্থীদের সঙ্গে নীতিগতভাবে আমাদের মিল নেই কিন্তু কোথাও নিরীহ মানুষ খুন হলে তা মেনে নেওয়া যায় না। এই খুনকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি এবং এই খুনে রাজনৈতিক ফায়দা তুলবে তা কাম্য নয়। আমি আমতা থানার ওসি ও হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের পুলিশ সুপারকে অনুরোধ জানাব যে, দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি সুনিশ্চিত করা হোক। জনগণের নিকট আবেদন, প্রশাসনের উপর আস্থা রাখা প্রয়োজন। আমি আশা রাখি অতি সত্বর পুলিশ এই রহস্যের কিনারা করতে সক্ষম হবে।
প্রসঙ্গত মৃত আনিস খানের শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে তাঁর বাড়িতে যান হাওড়া জেলা জমিয়তে উলামার প্রতিনিধিদল। এরপর দোষীদের শাস্তির দাবিতে আমতা থানার ওসি দেবব্রত চক্রবর্তীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন হাওড়া জেলা জমিয়তের সভাপতি হাফেজ খালেক সহ-সভাপতি মুফতি জুবায়ের আহমেদ খান বনি আমিন মল্লিক প্রমুখ।