পারিজাত মোল্লা: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিহত পড়ুয়া বিষয়ক মামলার শুনানি চলে। এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীকে মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে করা সেই জনস্বার্থ মামলা খারিজ করার কথাও বলেন ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুতে শুভেন্দু অধিকারীর জনস্বার্থ মামলায় ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মামলা প্রত্যাহার না করলে, আদালতই তা খারিজ করে দেবে বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

সোমবার এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, “সংবাদপত্রের রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলা করেছেন? ঘটনাস্থলের কোনও খবর সেখানে গিয়ে আপনারা নিয়েছেন? পুলিশ ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করেছে এই ঘটনায়। তাছাড়া একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে একই বিষয়ে। এই মামলা আপনারা প্রত্যাহার করবেন? নাহলে আমরাই তা খারিজ করে দেব”।

এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং এবং ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে। এগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলার শুনানি আগামী ৫ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে হবে। এর বাইরে যাদবপুর ইস্যুতে এদিন মোট চারটি মামলার শুনানি ছিল। তার মধ্যে আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলা ছাড়া, সবক’টি মামলাই খারিজ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি এদিন এজলাসে জানান, “একই বিষয়ে একাধিক মামলা শুনতে হলে, মূল বিষয়টাই অস্পষ্ট হয়ে যাবে। আদালত শুধুমাত্র প্রধান কয়েকটি মামলাই শুনবে”। আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলাটি ছিল সুপ্রিম কোর্টের সামগ্রিক র‍্যাগিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত গাইডলাইন নিয়ে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট গাইডলাইনগুলি যাতে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে লাগু করা হয়, সেই দাবিতে তিনি মামলা করেছেন।

এই মামলায় ইউজিসি-র আইনজীবীর উদ্দেশ্যে একটি নির্দেশ জারি করেছে আদালত। সেখানে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের ব়্যাগিং সংক্রান্ত নির্দেশিকা লাগু করতে ইউজিসি কী ভাবছে? তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থেকে জেনে আদালতকে রিপোর্ট করতে হবে। ওই আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই ইউজিসি কর্তৃপক্ষ বিশেষ দল পাঠিয়েছিল। সেই দল জানিয়েছে, ব়্যাগিংয়ের কারণেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে’। এর পাশাপাশি, এই ঘটনায় একাধিক সিনিয়র এবং প্রাক্তনীদের যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে কথাও আদালতে জানান ইউজিসি-র আইনজীবী।