শুভেন্দুকে ধাক্কা হাইকোর্টের, দত্তপুকুর নিয়ে মামলা খারিজ করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ

- আপডেট : ২৯ অগাস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার
- / 11
পারিজাত মোল্লা: সোমবারের পর মঙ্গলবারও কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আইনী ধাক্কা খেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দত্তপুকুরে বিস্ফোরণকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিল বিজেপি। তবে, মঙ্গলবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি নেতা রাজর্ষি লাহিড়ির দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন স্পষ্ট জানায়, ‘এই ঘটনার তদন্তভার রাজ্য সরকারের হাতেই থাকবে’।দত্তপুকুর বিস্ফোরণের ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলা খারিজ করলেন প্রধান বিচারপতি। গত সোমবার যাদবপুর ছাত্র মৃত্যুর মামলাও খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে তোলপাড় রাজ্য। গত রবিবার দত্তপুকুরে এই ঘটনায় এনআইএ ও সিবিআই তদন্তের দাবিতে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জনস্বার্থ মামলার আবেদন করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলা খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। ইতিমধ্যে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই ধরনের মামলা অপ্রাসঙ্গিক বলে মত কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির। তবে মামলাকারী চাইলে যথাযথ ফোরামে গিয়ে আবেদন জানাতে পারেন, সেই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিন মামলার শুনানিতে এনআইএ-র তরফে আইনজীবী বলেন, “আমাদের টিম ঘটনাস্থলে কাজ করছে। এক্সপ্লোসিভ সাবস্টেন্স অ্যাক্ট যুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে”। তিনি বলেন, “এমন নয় যে ঘটনাটি বহুদিন আগে ঘটেছে, কিন্তু তদন্ত শুরু হয়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে যখন, তারা তাদের কাজ করুক”। এরপরই মামলা খারিজ করেন প্রধান বিচারপতি।
এর আগে গত সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা একটি মামলায় বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি জানান, ‘ঘটনাস্থলের সত্যতা না-জেনে সংবাদপত্রের রিপোর্টের ভিত্তিতেই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে’। এরপর দত্তপুকুর বিস্ফোরণের ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলাও অপরিণত বলে খারিজ করলেন তিনি। দত্তপুকুরের বেআইনি বাজি কারখানা বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, মানুষের দেহ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি সেখানে একাধিক ল্যাবরেটরিতে কী হত, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।