ঢাকা: ৫ আগস্ট বাংলাদেশে হাসিনার পতন হয়। তার আগে থেকেই আলোচনায় ছিল বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গুম ও গণহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত করে শেখ হাসিনাকে। এবার গুম সংক্রান্ত কমিশনও সেই তথ্যপ্রমাণ খুঁজে পেল। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গোপন বন্দিশালা বা আয়না ঘরে মানুষকে আটকে রাখা ও গুমের ঘটনায় হাসিনার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন। এ ছাড়া শেখ হাসিনা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। শনিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিকেল ৫টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্যরা অন্তর্র্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে গুমের শিকার ব্যক্তিদের বিচার প্রক্রিয়া শুরুসহ র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে কমিশন।
Read More: দামেস্কে সেনা দফতরে হামলা ইসরাইলের
‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শিরোনামে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিশন সদস্যরা এ পর্যন্ত পাওয়া ১ হাজার ৬৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে কমিশন। এ ছাড়া হাসিনা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। কমিশন প্রধান আরও জানান, গুমের শিকার অনেকে এখনো শঙ্কামুক্ত হতে পারছেন না। তাদের ওপর এতটাই ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়েছিল যে তারা এখনো ট্রমায় ভুগছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল যা আয়নাঘর নামে পরিচিতি পেয়েছে সেগুলো দেখতে যাবেন। তিনি কমিশন সদস্যদের তাদের অন্তর্র্বর্তী প্রতিবেদনের জন্য ধন্যবাদ জানান। কাজটি এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন।