১২ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কচি কাঁচাদের মুখে হাসি ফোটাতে ‘অনুভব’-এর শারদ উপহার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৮ অক্টোবর ২০২১, শুক্রবার
  • / 31

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ প্রতি বছরের মতো এবারেও কচি কাঁচাদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে ওদের কাছে টেনে নিল ‘অনুভব চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’। দীর্ঘ বছর ধরে অনুভব সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিঃস্বার্থভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে আসছে। এবার ‘পঞ্চম শারদ উপহার’ অনুষ্ঠিত হল। সম্প্রতি রাসবিহারীর দেশবন্ধু বালিকা বিদ্যালয়ে এই শারদ উপহার অনুষ্ঠিত হয়।

কচি কাঁচাদের মুখে হাসি ফোটাতে 'অনুভব'-এর শারদ উপহার

সংস্থার অন্যতম কর্ণধার শমীক বসু বলেন, করোনা বিধিনিষেধের কথা মাথায় রেখেই এবছর তারা এই অনুষ্ঠান করেছেন। ১৪১ জন শিশুকে নতুন জামা-কাপড় দেওয়া হয়েছে। তবে করোনার ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে উপস্থিত ৫০ জন শিশুর হাতে নতুন জামা তুলে দেওয়া হয়। বাকিদের জন্য কূপন করে দেওয়া হয়েছে। পরে কূপন দেখালেই এই নতুন জামা কাপড়গুলি তারা সংগ্রহ করতে পারবে। বস্ত্র বিতরণের পর এবারেও সকলের মনে একটু আনন্দের ছোঁয়া দিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নৃত্য, গান, আবৃত্তিতে ভাগ নেয় শিশুরা। বড়রাও অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: ‘The Legend of Bengal Award 2021’ পেল অনুভব চ্যারিটেবল ট্রাস্ট

শমীকবাবু জানান, নানা ধরনের সামাজিক কাজ করে আসছে আমাদের সংস্থা। এই সময়ে উৎসবের আনন্দটুকু সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়াই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। এবারে করোনার চোখ রাঙানি আমাদের জীবন কিছুটা স্তব্ধ করে দিলেও সামাজিক দায়িত্ব একটা থেকেই যায়। সেখান থেকে দাঁড়িয়ে সংস্থার সদস্যরা যে যার মতো করে কর্মসূচিতে অংশ নেন। সকলের সাহায্যেই আমাদের কর্মসূচি সম্পূর্ণ হয়।

কচি কাঁচাদের মুখে হাসি ফোটাতে 'অনুভব'-এর শারদ উপহার

শমীকবাবুর কথায়,  করোনার বাড়বাড়ন্তের সময়েও আমরা পিছিয়ে থাকিনি। যতটা পেরেছি মানুষের পাশে দাঁড়াবার প্রয়াস চালিয়ে গেছি। অক্সিজেন সিলিণ্ডার দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজ করে গিয়েছি। এছাড়া আমফান, ফণী, ইয়াস ও করোনার সময়েও সংস্থার তরফ থেকে দৈনন্দিন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার কাজ চলেছে। এছাড়া প্রত্যেক বছর আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে অনুভবের বার্ষিকী অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। যেখানে বৃহৎ আকার কর্মসূচি করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে রক্তদান শিবির কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে সহযোগিতার পাশাপাশি দুঃস্থদের মধ্যে শিক্ষার সামগ্রী প্রদান করা হয়।

শমীকবাবু বলেন, পুজো আমাদের জীবনে একটি ঐতিহ্যের অঙ্গ। বছরে একবারই পালিত হয় এই দুর্গা উৎসব। আনন্দ নিশ্চই থাকবে, কিন্তু সেই সঙ্গে সকলকেই সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রাখতে হবে। মাস্ক, স্যানিটাইজার কথা ভুলে গেলে চলবে না। নিজে ভালো থাকব, সকলকে ভালো রাখব, পরিবারকে সুস্থ রাখব এই কথাটা মাথায় রেখেই একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমরা পুজোর আনন্দ করব।   

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কচি কাঁচাদের মুখে হাসি ফোটাতে ‘অনুভব’-এর শারদ উপহার

আপডেট : ৮ অক্টোবর ২০২১, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ প্রতি বছরের মতো এবারেও কচি কাঁচাদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে ওদের কাছে টেনে নিল ‘অনুভব চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’। দীর্ঘ বছর ধরে অনুভব সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিঃস্বার্থভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে আসছে। এবার ‘পঞ্চম শারদ উপহার’ অনুষ্ঠিত হল। সম্প্রতি রাসবিহারীর দেশবন্ধু বালিকা বিদ্যালয়ে এই শারদ উপহার অনুষ্ঠিত হয়।

কচি কাঁচাদের মুখে হাসি ফোটাতে 'অনুভব'-এর শারদ উপহার

সংস্থার অন্যতম কর্ণধার শমীক বসু বলেন, করোনা বিধিনিষেধের কথা মাথায় রেখেই এবছর তারা এই অনুষ্ঠান করেছেন। ১৪১ জন শিশুকে নতুন জামা-কাপড় দেওয়া হয়েছে। তবে করোনার ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে উপস্থিত ৫০ জন শিশুর হাতে নতুন জামা তুলে দেওয়া হয়। বাকিদের জন্য কূপন করে দেওয়া হয়েছে। পরে কূপন দেখালেই এই নতুন জামা কাপড়গুলি তারা সংগ্রহ করতে পারবে। বস্ত্র বিতরণের পর এবারেও সকলের মনে একটু আনন্দের ছোঁয়া দিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নৃত্য, গান, আবৃত্তিতে ভাগ নেয় শিশুরা। বড়রাও অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: ‘The Legend of Bengal Award 2021’ পেল অনুভব চ্যারিটেবল ট্রাস্ট

শমীকবাবু জানান, নানা ধরনের সামাজিক কাজ করে আসছে আমাদের সংস্থা। এই সময়ে উৎসবের আনন্দটুকু সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়াই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। এবারে করোনার চোখ রাঙানি আমাদের জীবন কিছুটা স্তব্ধ করে দিলেও সামাজিক দায়িত্ব একটা থেকেই যায়। সেখান থেকে দাঁড়িয়ে সংস্থার সদস্যরা যে যার মতো করে কর্মসূচিতে অংশ নেন। সকলের সাহায্যেই আমাদের কর্মসূচি সম্পূর্ণ হয়।

কচি কাঁচাদের মুখে হাসি ফোটাতে 'অনুভব'-এর শারদ উপহার

শমীকবাবুর কথায়,  করোনার বাড়বাড়ন্তের সময়েও আমরা পিছিয়ে থাকিনি। যতটা পেরেছি মানুষের পাশে দাঁড়াবার প্রয়াস চালিয়ে গেছি। অক্সিজেন সিলিণ্ডার দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজ করে গিয়েছি। এছাড়া আমফান, ফণী, ইয়াস ও করোনার সময়েও সংস্থার তরফ থেকে দৈনন্দিন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার কাজ চলেছে। এছাড়া প্রত্যেক বছর আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে অনুভবের বার্ষিকী অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। যেখানে বৃহৎ আকার কর্মসূচি করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে রক্তদান শিবির কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে সহযোগিতার পাশাপাশি দুঃস্থদের মধ্যে শিক্ষার সামগ্রী প্রদান করা হয়।

শমীকবাবু বলেন, পুজো আমাদের জীবনে একটি ঐতিহ্যের অঙ্গ। বছরে একবারই পালিত হয় এই দুর্গা উৎসব। আনন্দ নিশ্চই থাকবে, কিন্তু সেই সঙ্গে সকলকেই সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রাখতে হবে। মাস্ক, স্যানিটাইজার কথা ভুলে গেলে চলবে না। নিজে ভালো থাকব, সকলকে ভালো রাখব, পরিবারকে সুস্থ রাখব এই কথাটা মাথায় রেখেই একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমরা পুজোর আনন্দ করব।