১৩ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আদানির বন্দর থেকে উদ্ধার হওয়া ৩০০০ কেজি হেরোইন থেকে মুখ ঘোরাতেই কি শাহরুখ পুত্রকে নিশানা ?

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৭ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • / 61

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: প্রমোদতরীতে মাদক কাণ্ডে বড় ছেলে আরিয়ানের গ্রেফতারির ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন শাহরুখ ও গৌরী খান। নার্কোটিক্স কন্ট্রোল বুরোর (এনসিবি) হেফাজতে থাকা ছেলের প্রতি মুহূর্তের খুঁটিনাটি খবর রাখছেন অভিনেতা নিজেই। এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি তিনি।
সম্প্রতি আদানি গোষ্ঠী পরিচালিত গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরে প্রায় ৩০০০ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধারের মামলার তদন্তভার হাতে নিয়েছে এনআইএ। কংগ্রেস আগেই দাবি করেছিল, মুন্দ্রা বন্দরে মাদক উদ্ধারের ঘটনা থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতেই এনসিবি-র প্রমোদতরী অভিযান। এই অভিযোগের প্রচ্ছন্ন তির ছিল বিজেপির দিকেই।
এনসিপি-র মুখপাত্র তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক বলেছেন, ‘‘পুরো ঘটনাটা সাজানো।’’ বলিউডকে কালিমালিপ্ত করতে এবং মহারাষ্ট্রের বিরোধী সরকারকে প্যাঁচে ফেলতে বিজেপি এনসিবি-কে দিয়ে এ সব করাচ্ছে। তিনি বলেন, শাহরুখ খানকে পরবর্তী নিশানা করা হবে বলে অন্তত এক মাস আগে সাংবাদিকদের কাছে খবর ছিল। পাশাপাশি সমাজমাধ্যমে আরিয়ানের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া এক ব্যক্তির পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মন্ত্রী।
গ্রেফতারির দিন প্রমোদতরীতে এনসিবি-র যে দলটি হানা দিয়েছিল, তার সঙ্গেই ছিলেন মণীশ ভানুশালী নামে ওই ব্যক্তি। অথচ এনসিবি জানিয়েছে, তিনি তাদের দফতরের কোনও আধিকারিক নন। তা হলে ওই ব্যক্তি কে? নবাবের দাবি, তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর ছবি রয়েছে।মণীশ জানিয়েছেন, নবাবের অভিযোগ ঠিক নয়। বিজেপির সঙ্গে ওই ঘটনার কোনও যোগ নেই।
মণীশ জানিয়েছেন, নবাবের অভিযোগ ঠিক নয়। বিজেপির সঙ্গে ওই ঘটনার কোনও যোগ নেই।প্রশ্ন উঠেছে আর এক ব্যক্তির পরিচয় নিয়েও। গ্রেফতারির পরে আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন ওই ব্যক্তি। টুইটারে জনৈক আইনজীবী ওই ব্যক্তির ছবি পোস্ট করে দাবি করেছেন, তাঁর নাম এসকে গোভাসাই। পেশায় ‘প্রাইভেট ডিটেকটিভ’। প্রশ্ন উঠছে, এনসিবির সঙ্গে যুক্ত নন এমন ব্যক্তিরা কী ভাবে ওই অভিযানে অংশ নিতে পারেন।
এনসিবি-র হেফাজতে থাকাকালীন বিজ্ঞানের কিছু বই চেয়েছিলেন শাহরুখ পুত্র। তাঁকে তা দেওয়া হয়েছে। এনসিবি হেফাজতে বন্দিদের বাড়ি থেকে আনা খাবার দেওয়ার অনুমতি নেই। তাই আরিয়ানের দু’বেলার খাবার আসছে এনসিবি দফতরের কাছে ‘ন্যাশনাল হিন্দু রেস্তরাঁ’ থেকে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আদানির বন্দর থেকে উদ্ধার হওয়া ৩০০০ কেজি হেরোইন থেকে মুখ ঘোরাতেই কি শাহরুখ পুত্রকে নিশানা ?

আপডেট : ৭ অক্টোবর ২০২১, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: প্রমোদতরীতে মাদক কাণ্ডে বড় ছেলে আরিয়ানের গ্রেফতারির ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন শাহরুখ ও গৌরী খান। নার্কোটিক্স কন্ট্রোল বুরোর (এনসিবি) হেফাজতে থাকা ছেলের প্রতি মুহূর্তের খুঁটিনাটি খবর রাখছেন অভিনেতা নিজেই। এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি তিনি।
সম্প্রতি আদানি গোষ্ঠী পরিচালিত গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরে প্রায় ৩০০০ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধারের মামলার তদন্তভার হাতে নিয়েছে এনআইএ। কংগ্রেস আগেই দাবি করেছিল, মুন্দ্রা বন্দরে মাদক উদ্ধারের ঘটনা থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতেই এনসিবি-র প্রমোদতরী অভিযান। এই অভিযোগের প্রচ্ছন্ন তির ছিল বিজেপির দিকেই।
এনসিপি-র মুখপাত্র তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক বলেছেন, ‘‘পুরো ঘটনাটা সাজানো।’’ বলিউডকে কালিমালিপ্ত করতে এবং মহারাষ্ট্রের বিরোধী সরকারকে প্যাঁচে ফেলতে বিজেপি এনসিবি-কে দিয়ে এ সব করাচ্ছে। তিনি বলেন, শাহরুখ খানকে পরবর্তী নিশানা করা হবে বলে অন্তত এক মাস আগে সাংবাদিকদের কাছে খবর ছিল। পাশাপাশি সমাজমাধ্যমে আরিয়ানের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া এক ব্যক্তির পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মন্ত্রী।
গ্রেফতারির দিন প্রমোদতরীতে এনসিবি-র যে দলটি হানা দিয়েছিল, তার সঙ্গেই ছিলেন মণীশ ভানুশালী নামে ওই ব্যক্তি। অথচ এনসিবি জানিয়েছে, তিনি তাদের দফতরের কোনও আধিকারিক নন। তা হলে ওই ব্যক্তি কে? নবাবের দাবি, তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর ছবি রয়েছে।মণীশ জানিয়েছেন, নবাবের অভিযোগ ঠিক নয়। বিজেপির সঙ্গে ওই ঘটনার কোনও যোগ নেই।
মণীশ জানিয়েছেন, নবাবের অভিযোগ ঠিক নয়। বিজেপির সঙ্গে ওই ঘটনার কোনও যোগ নেই।প্রশ্ন উঠেছে আর এক ব্যক্তির পরিচয় নিয়েও। গ্রেফতারির পরে আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন ওই ব্যক্তি। টুইটারে জনৈক আইনজীবী ওই ব্যক্তির ছবি পোস্ট করে দাবি করেছেন, তাঁর নাম এসকে গোভাসাই। পেশায় ‘প্রাইভেট ডিটেকটিভ’। প্রশ্ন উঠছে, এনসিবির সঙ্গে যুক্ত নন এমন ব্যক্তিরা কী ভাবে ওই অভিযানে অংশ নিতে পারেন।
এনসিবি-র হেফাজতে থাকাকালীন বিজ্ঞানের কিছু বই চেয়েছিলেন শাহরুখ পুত্র। তাঁকে তা দেওয়া হয়েছে। এনসিবি হেফাজতে বন্দিদের বাড়ি থেকে আনা খাবার দেওয়ার অনুমতি নেই। তাই আরিয়ানের দু’বেলার খাবার আসছে এনসিবি দফতরের কাছে ‘ন্যাশনাল হিন্দু রেস্তরাঁ’ থেকে।