ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ৫ হাজার হিন্দু মেয়েকে আত্মরক্ষার জন্য তরবারি চালনা শেখানো হচ্ছে। আয়োজকরা বলছেন, আত্মরক্ষার্থে ও লাভ জিহাদ এড়াতে এটা খুবই জরুরি। আত্মরক্ষা শেখা গুরুত্বপূর্ণ যাতে ভবিষ্যতে কোন বিশ্বাস ভেঙে না যায়। ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব নিজেও অংশ নেবেন। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস বলছে, মুসলিম ধর্মের মহিলারাও নিরাপদ নয়। তারা যদি এই ধরণের কোন অনুষ্ঠান করে তাহলে মুখ্যমন্ত্রী যাবেন তো?
ইন্দোরের স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হবে ফেন্সিং ইভেন্টও। প্রধান অতিথি থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। অনুষ্ঠানের প্রধান মুসকান ভারতী বলেন, দেশে ও বিশ্বে যেভাবে লাভ জিহাদ এবং নারীর প্রতি নৃশংসতা বাড়ছে, তাতে মহিলা ও মেয়েদের সাহসী ও স্বাবলম্বী করতে এমন এক অভিনব অভিযান শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, হিন্দু মেয়েরা এতে বিপুল উৎসাহে অংশ নিচ্ছেন। প্রোগ্রামে অ-হিন্দু মহিলাদের অংশগ্রহণের প্রশ্নে, মুসকান ভারতী বলেন যে তিনি যখন এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টার লাগান, তখন অনেক মুসলিম যুবক ও মহিলা আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন।তাই তাদের নেওয়া হচ্ছেনা।
Read More: হায়দরাবাদে ৬ বাংলাদেশি পাচারকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সম্প্রতি দিওয়ালি মিলন অনুষ্ঠানে ইন্দোরে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, একজন হিন্দু কখনো কাউকে জ্বালাতন করবে না, কেউ হিন্দুকে জ্বালাতন করলে হিন্দু তাকে ছাড়বে না। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে কংগ্রেস সভাপতি জিতু পাটোয়ারী বলেছেন যে সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত একজন ব্যক্তির এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করা শোভন নয়।
তরবারি চালনা শিক্ষা দেওয়ার কর্মসূচি নিয়ে কংগ্রেস তাদের আপত্তি জানিয়েছে। কংগ্রেস নেতা আব্বাস হাফিজ বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী শুধু একটি ধর্ম রক্ষা করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এমন চিন্তাধারার সংগঠনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া উচিত নয়। রাজ্যে সব ধর্মের মেয়েরা নিরাপদ নয়। প্রতিদিন নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আমি যদি ৫ হাজার মুসলিম মেয়েকে এমন ট্রেনিং দেই এবং বলি যে এই ট্রেনিং হিন্দু ছেলেদের থেকে বাঁচানোর জন্য যারা মুসলিম মেয়েদের ফাঁদে ফেলে, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী কি আমাদের প্রোগ্রামে আসবেন?
কংগ্রেসের এই অভিযোগে বিজেপি মুখপাত্র পঙ্কজ চতুর্বেদী বলেন, হিন্দুদের নিয়ে কংগ্রেসের এত সমস্যা কেন? কেন তারা সব কিছুতেই মুসলমান দেখতে শুরু করে? কংগ্রেস সবসময় তুষ্টির রাজনীতি করে। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলে এই অনুষ্ঠান নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে।