৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মণিপুরে ৩৫৫ ধারা জারি, সহযোগিতার হাত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৫ মে ২০২৩, শুক্রবার
  • / 8

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা মোতায়েন সহ ৩৫৫ ধারা জারি করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় হিংসার পরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ৯ হাজার মানুষকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই আতঙ্কে মণিপুর ছেড়ে পালাতে চাইছে। ৫০০ মানুষকে অসমে সরানো হয়েছে। এই অবস্থায় মণিপুরের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মণিপুরের বহু মানুষ প্রাণভয়ে অসমে আশ্রয়ে নিতে চাইছে। ৫০০ মানুষকে অসমের কাছাড় জেলায় নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।

পুলিশ সুপার (কাছাড় জেলা) নুমাল মাহাত্ত্ব, জেলা প্রশাসনের তরফে সমস্ত সহযোগিতা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন মণিপুর থেকে আসা এবং জেলায় প্রবেশকারীদের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করেছে। জেলার স্কুল সহ বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় শিবির তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, আমি কাছাড় জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি, আতঙ্কিত পরিবারগুলির পাশে থাকতে। আমি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গেও অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগে আছি এবং এই সংকটের সময়ে অসম সরকারকে পূর্ণ সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। গত বৃহস্পতিনবার মণিপুর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মণিপুর এবং নাগাল্যান্ড, মিজোরাম এবং অসম সহ প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে কথা বলেছেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী সহ নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, অসম প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মণিপুরে হিংসাত্মক পরিস্থিতিতে জারি হয়েছে ৩৫৫ ধারা। এদিকে এক বিজেপি বিধায়কের উপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

মণিপুরের উপজাতি ছাত্র সংগঠনের ডাকা মিছিলকে কেন্দ্র করে বুধবার হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোটা রাজ্যে ৫ দিনের জন্য বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। উপজাতি এবং উপজাতিভুক্ত সম্প্রদায় নয় এমন জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত ৮ জেলায় জারি করা হল কার্ফু। তফশিলি মর্যাদা আদায়ে দীর্ঘ এক দশক আন্দোলন করছে মেইতি জনগোষ্ঠী, যাঁরা মণিপুরের উপজাতিভুক্ত সম্প্রদায়ের নন। ৩ মে তার প্রতিবাদে মিছিলের ডাক দিয়েছিল উপজাতিদের ছাত্র সংগঠন এটিএসইউএম। এই মিছিলকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। পুলিশ সূত্রে খবর, মিছিল চুড়াচাঁদপুর জেলার টুরবং অঞ্চলে পৌঁছতেই শুরু হয় সংঘর্ষ

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মণিপুরে ৩৫৫ ধারা জারি, সহযোগিতার হাত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

আপডেট : ৫ মে ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা মোতায়েন সহ ৩৫৫ ধারা জারি করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় হিংসার পরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ৯ হাজার মানুষকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই আতঙ্কে মণিপুর ছেড়ে পালাতে চাইছে। ৫০০ মানুষকে অসমে সরানো হয়েছে। এই অবস্থায় মণিপুরের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মণিপুরের বহু মানুষ প্রাণভয়ে অসমে আশ্রয়ে নিতে চাইছে। ৫০০ মানুষকে অসমের কাছাড় জেলায় নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।

পুলিশ সুপার (কাছাড় জেলা) নুমাল মাহাত্ত্ব, জেলা প্রশাসনের তরফে সমস্ত সহযোগিতা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন মণিপুর থেকে আসা এবং জেলায় প্রবেশকারীদের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করেছে। জেলার স্কুল সহ বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় শিবির তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, আমি কাছাড় জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি, আতঙ্কিত পরিবারগুলির পাশে থাকতে। আমি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গেও অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগে আছি এবং এই সংকটের সময়ে অসম সরকারকে পূর্ণ সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। গত বৃহস্পতিনবার মণিপুর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মণিপুর এবং নাগাল্যান্ড, মিজোরাম এবং অসম সহ প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে কথা বলেছেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী সহ নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, অসম প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মণিপুরে হিংসাত্মক পরিস্থিতিতে জারি হয়েছে ৩৫৫ ধারা। এদিকে এক বিজেপি বিধায়কের উপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

মণিপুরের উপজাতি ছাত্র সংগঠনের ডাকা মিছিলকে কেন্দ্র করে বুধবার হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোটা রাজ্যে ৫ দিনের জন্য বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। উপজাতি এবং উপজাতিভুক্ত সম্প্রদায় নয় এমন জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত ৮ জেলায় জারি করা হল কার্ফু। তফশিলি মর্যাদা আদায়ে দীর্ঘ এক দশক আন্দোলন করছে মেইতি জনগোষ্ঠী, যাঁরা মণিপুরের উপজাতিভুক্ত সম্প্রদায়ের নন। ৩ মে তার প্রতিবাদে মিছিলের ডাক দিয়েছিল উপজাতিদের ছাত্র সংগঠন এটিএসইউএম। এই মিছিলকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। পুলিশ সূত্রে খবর, মিছিল চুড়াচাঁদপুর জেলার টুরবং অঞ্চলে পৌঁছতেই শুরু হয় সংঘর্ষ