পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ অপরাজেয় বিধায়ক সাধন পান্ডে। যিনি কখনও বিধানসভার ভোটে পরাজিত হননি। তদাতীন্তন বড়তলা থেকে শুরু করে আজকের মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র। অপারাজেয় থেকেই বিদায় নিলেন সাধন পাণ্ডে।
১৯৮৫-র উপনির্বাচন, ১৯৮৭, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বড়তলা কেন্দ্র থেকে জেতেন সাধন। ১৯৮৫ থেকে ২০০১ কংগ্রেসের বিধায়ক। ২০০১ থেকে আমৃত্যু তৃণমূল বিধায়ক। আসন পুনর্বিন্যাসের কারণে ২০০৯ সালে লুপ্ত হয়ে যায় বড়তলা কেন্দ্র। নতুন বিধানসভা কেন্দ্র মানিকতলা থেকে জেতেন ২০১১, ২০১৬, ২০২১-এ।
টানা ৯ বার বিধায়ক ছিলেন। তার থেকে একমাত্র বেশিবার বিধায়ক হয়েছেন রাজ্যের আরও একমন্ত্রী প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
উত্তর কলকাতা কেন্দ্রিক ছিল তাঁর রাজনৈতিক জীবন। সত্তরের দশকের শেষের দিক থেকে মানিকতলা-বড়তলা এলাকায় রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন তি্নিও। প্র্য়াত অজিত পাঁজা ছিলেন সদ্য প্রয়াত সাধন পান্ডের রাজনৈতিক জীবনের পথ প্রদর্শক।
উল্লেখ্য ১৯৮৪ সালের ডিসেম্বরে লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা উত্তর-পূর্ব আসন থেকে জিতে প্রথমবারের জন্য সাংসদ হন অজিত পাঁজা । তার পরেই বড়তলার বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৮৫ সালের মার্চে বড়তলা বিধানসভার উপনির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনেই সাংসদ অজিত ও রাজেন্দ্রকুমারীর সমর্থনে প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন সাধন পান্ডে। প্রথম বার বিধায়ক হন তিনি।
অনেক দিন ধরেই শরীর সঙ্গ দিচ্ছিল না, বারবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই ছিলেন অসুস্থ, রবিবার মুম্বইয়ের হাসপাতালে প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা তৃণমূল বিধায়ক, রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পান্ডে (Sadhan pande)
সকালে দুঃসংবাদ পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) টুইটে শোকপ্রকাশ করেন। সম্প্রতি বেশ কয়েকদিন ধরেই সাধন পাণ্ডের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন চিকিৎসকরাও।
শনিবারেই মেয়ে শ্রেয়া পান্ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেছিলেন। রবিবার সকালে এল দুঃসংবাদ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১।