পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বলিউডের অন্যতম প্রতিশ্রুতিসম্পন্ম অভিনেত্রী ছিলেন অরুণা ইরানি। লড়াই করে নিজের জায়গা ইন্ডাস্ট্রিতে পাকা করেছিলেন তিনি।
অরুণা ইরানি এবং মেহমুদ আলী ১৯৭০ এর দশকে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি তৈরি করেছিলেন।তাঁদের অভিনয়ের রসায়ন এতটাই বাস্তব ছিল যে অনেকে এটাও বিশ্বাস করেছিল যে তারা বিবাহিত ছিলেন। যা প্রায় দুই থেকে আড়াই বছরের অরুণার কর্মজীবনকে প্রভাবিত করেছিল।
গুজব ছড়িয়ে পড়ে এমনভাবেই যে প্রযোজকরাও আর কাজ দিতে চাইছিলেন অরুণা ইরানি কে। এমতাবস্থায় প্রযোজক দাদা কোন্ডে এগিয়ে আসেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
১৯৬১ সালে গঙ্গা-যমুনা ছবিতে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন অরুণা ইরানি
তিনি বেশ কয়েকটি হিট ফিল্ম এবং টিভি শোতেও অভিনয় করেছিলেন যেমন সফর, আন্দাজ, ক্যারাভান, ববি, দিল তো পাগল হ্যায়, গোপী কিষাণ, বেটা, কাহানি ঘর ঘর কি, ডোলি সাজা কে . এবং দেশ মে নিকল্লা হোগা চাঁদ। তিনি মেহমুদের সঙ্গে আওলাদ, হামজোলি, দেবী, বোম্বে টু গোয়া এবং নয়া জামানা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। যাইহোক, ক্যারাভান এবং বোম্বে টু গোয়ার সাফল্য সত্ত্বেও, তার বিয়ের গুজব ছড়িয়ে পড়ার পরে কাজ পাচ্ছিলেন না অরুণা ইরানি। কাজ পেতে রীতিমতো লড়াই করতে হয়েছিল।
অরুণা সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি জানি না কীভাবে গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল যে মেহমুদ সাহেব আমাকে বিয়ে করেছেন। কোনো প্রযোজক আমার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ছিলেন না। দাদা কোন্ডকে আমাকে তাঁর মারাঠি ছবি আন্ধালা মারাতো দোলা-তে একটি গানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এভাবেই আবার কাজ শুরু করলাম। আমি গানটির জন্য আশা স্টুডিওতে শুটিং করছিলাম যখন আমি রাজকুমার কোহলির সাথে দেখা করি যিনি সেখানে শুটিং করছিলেন। তিনি আমাকে দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আরে অরুণা তু কাম কর রহি হ্যায়?’ আমি বললাম হ্যা কাজ করছি। তিনি বলেছিলেন, ‘মুঝে লাগা তুনে শাদি কার লি তো আব কাম না কারতি (ভেবেছিলেন বিয়ে করে নিয়েছেন তাই আর কাজ করবেন না)’।
১৯৮৪ সালে মুক্তি পাওয়া “পেট পেয়ার ওর পাপ”-এর মত সিনেমার জন্য তিনি “ফিল্মফেয়ার বেস্ট সাপোটিং রোল”-এর অ্যাওয়ার্ড পান।
১৯৯০ সালে ডাইরেক্টর কুক্কু কোহলির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন অরুণা ইরানী। বিয়ের পর মা হওয়ার অনুভূতি প্রতিটি মেয়ের কাছে এক অন্যরকমের অনুভূতি। তবে এই অভিনেত্রী বিয়ের পর মা না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ কাক্কু কোহলির এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। প্রথম পক্ষের সন্তানও ছিল তার। তাদেরকে মাতৃস্নেহে বড় করে তোলার জন্যই অভিনেত্রী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন