৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভ্যালেন্টাইন ডে’তে গরুকে জড়িয়ে ধরার অনুরোধ, টুইটারে বিদ্রূপাত্মক পোস্ট

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার
  • / 13

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘গরু আলিঙ্গন দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য সম্প্রতি দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছে ভারতের পশুকল্যাণ বিভাগ। গত বুধবার এক বিবৃতিতে গরুপ্রেমীদের প্রতি অনুরোধ করা হয়, তাঁরা যেন এদিন ভালোবেসে গরুকে জড়িয়ে ধরেন। সরকারিভাবে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে সমালোচনা ও বিদ্রূপ চলছে।

১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে ভালোবাসা দিবস পালন করা হয়ে থাকে। তবে বুধবার পশুকল্যাণ বোর্ডের বিবৃতিতে এই দিনে গরুকে জড়িয়ে ধরার অনুরোধ করা হয়েছে। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে গরুর উপকারিতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতীয় সংস্কৃতি ও গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ড হলো গরু। আমাদের জীবনধারণে গরুর ভূমিকা অপরিসীম। তারা গবাদিপশু ও জীববৈচিত্র্যের প্রতিনিধিত্ব করে।’ মায়ের মতো করেই লালনপালনের স্বভাব আর পরোপকারিতার কারণে গরুকে কামধেনু এবং গোমাতা হিসেবেও ডাকা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পশ্চিমা সংস্কৃতির আগ্রাসনে বৈদিক সভ্যতা দিন দিন বিলুপ্তির পথে এগিয়ে চলেছে। গরু অনেক উপকারী প্রাণী। গরুকে জড়িয়ে ধরলে শুধু ব্যক্তি নয়, গোটা সমাজই সুখী হবে। মানুষের মনোজগৎ সমৃদ্ধ হবে। বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অনেকে এ নিয়ে বিদ্রূপাত্মক পোস্টও দিচ্ছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভ্যালেন্টাইন ডে’তে গরুকে জড়িয়ে ধরার অনুরোধ, টুইটারে বিদ্রূপাত্মক পোস্ট

আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘গরু আলিঙ্গন দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য সম্প্রতি দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছে ভারতের পশুকল্যাণ বিভাগ। গত বুধবার এক বিবৃতিতে গরুপ্রেমীদের প্রতি অনুরোধ করা হয়, তাঁরা যেন এদিন ভালোবেসে গরুকে জড়িয়ে ধরেন। সরকারিভাবে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে সমালোচনা ও বিদ্রূপ চলছে।

১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে ভালোবাসা দিবস পালন করা হয়ে থাকে। তবে বুধবার পশুকল্যাণ বোর্ডের বিবৃতিতে এই দিনে গরুকে জড়িয়ে ধরার অনুরোধ করা হয়েছে। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে গরুর উপকারিতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতীয় সংস্কৃতি ও গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ড হলো গরু। আমাদের জীবনধারণে গরুর ভূমিকা অপরিসীম। তারা গবাদিপশু ও জীববৈচিত্র্যের প্রতিনিধিত্ব করে।’ মায়ের মতো করেই লালনপালনের স্বভাব আর পরোপকারিতার কারণে গরুকে কামধেনু এবং গোমাতা হিসেবেও ডাকা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পশ্চিমা সংস্কৃতির আগ্রাসনে বৈদিক সভ্যতা দিন দিন বিলুপ্তির পথে এগিয়ে চলেছে। গরু অনেক উপকারী প্রাণী। গরুকে জড়িয়ে ধরলে শুধু ব্যক্তি নয়, গোটা সমাজই সুখী হবে। মানুষের মনোজগৎ সমৃদ্ধ হবে। বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অনেকে এ নিয়ে বিদ্রূপাত্মক পোস্টও দিচ্ছেন।