পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ রামপুরহাটে তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় আজ সাংবাদিক বৈঠক করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের ডিজি বলেন, রামপুরহাটের ঘটনায় তিন সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন জ্ঞানবং সিং। এই ঘটনায় ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সম্ভবত সঞ্জু শেখের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই পরিবারের সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। পরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। খুনের এক ঘন্টার মধ্যেই বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ না অন্য উদ্দেশে খুন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসডিপিও রামপুরহাটকে সরানো হয়েছে।
এদিকে ঘটনা খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পৌঁছেছেন ফিরহাদ হাকিম। রওনা দিয়েছেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই পরিস্থিতিতে মুখ্য সচিবের কাছে তথ্য চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
উল্লেখ্য, বীরভূমের রামপুরহাট-১ ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন ভাদু শেখ। সোমবার রাতে রামপুরহাটে জাতীয় সড়কের পাশ থেকে উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা ছুঁড়ে দুষ্কৃতীরা খুন করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালায়। বেশ কিছু বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর গতকাল তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের বদলা নিতে ১২ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৩৭ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ৪০টি বাড়ি আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত।
রামপুরহাট কাণ্ডে দমকলের দাবি ১০ জনের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার রাতেই তিনটি দেহ উদ্ধার হয়েছে, আজ মঙ্গলবার বাকি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।