ইনামুল হক, বসিরহাট: জনপ্রিয়তা, কর্মদক্ষতা ও সমাজসেবায় এগিয়ে মরহুম হাজী নুরুল ইসলাম এর পুত্র সেখ রবিউল ইসলাম। পিতার ছেড়ে যাওয়া বিধানসভা কেন্দ্র হাড়োয়ার উপনির্বাচনে এবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হলেন তরুণ তুর্কি রবিউল ইসলাম। বারাসাত সান্ধ্য কলেজের স্নাতক ২০০৯ সালে ওই কলেজেরই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জিএস ছিলেন। পরে বাবার হাত ধরে পুরোপুরি রাজনীতিতে চলে আসেন।
২০২৩ এ দেগঙ্গা এলাকার একটি আসন থেকে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হন।
২০০৯ সালে বসিরহাটের সাংসদ হিসেবে হাজী নুরুল ইসলামের জনপ্রিয়তা এবং পরবর্তীকালে ২০২১ এর হাড়োয়া বিধানসভায় বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর হাজী নুরুল ইসলামের পরিবারের প্রতি দল তথা সাধারণ মানুষের একটা আস্থা তৈরি হয়। ২০২৪ এ বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে পুনরায় সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন হাজী নুরুল ইসলাম।
READ MORE:রাজ্যে ৬ বিধানসভা উপ-নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল
ফলে বিধায়ক শূন্য হয় হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের আসনটি। কিন্তু বসিরহাটের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হলেও দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন তিনি। তার মৃত্যুতে দলীয় কর্মী সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে শোকের আবহ তৈরি হয়। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে তার প্রতি যে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ছিল তা নজরে আসে মরহুম সাংসদের শেষ কৃত্য অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে। সেখ রবিউল ইসলামের মতে হাড়োয়া তথা বসিরহাটের মানুষ তার মরহুম আব্বাকে হাজী নুরুল বা ‘হাজী সাহেব’ বানিয়েছিলেন। এই শ্রদ্ধা ও ভালবাসাকে সম্মান জানিয়ে দল তাকে প্রার্থী করায় স্বাভাবিকভাবেই তিনি খুশি।
খুশির হাওয়া দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দলের জয়লাভ নিশ্চিত বলে তিনি মনে করেন। পাশাপাশি মানুষের জন্য কাজ করতে হাড়োয়ার জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত মানুষকে নিয়ে তিনি পিতার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন বলে আশাবাদী। হাড়োয়ায় ভূমিপুত্রকে প্রার্থী চাই এই দাবি তুলে এলাকায় পোস্টার লাগানোর প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা উঠে এসেছে। তবে এ প্রসঙ্গে আমল দিতে রাজি নন বসিরহাট মহকুমা আইএনটিটিইউসি সভাপতি কৌশিক দত্ত। তিনি বলেন, “বিরোধীরা এগুলো নিজেরাই তৈরি করছে।
READ MORE:স্বাস্থ্য বিমায় এবার থেকে দিতে হবে না জিএসটি
হাড়োয়া থেকে বিরোধীদের এক শতাংশও জেতার সম্ভাবনা নেই।
হাড়োয়ার সিটে প্রার্থী যিনি হোন না কেন মমতা ব্যানার্জির উন্নয়নের সুফল ও হাজী নুরুল ইসলামের নামেই ভোট হবে। তার জন্যই আমরা হাড়োয়া থেকে সুফল তুলতে পারবো। এদিকে প্রার্থী হিসেবে শেখ নুরুল ইসলামের নাম ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথে দেয়াল লেখনের কাজ শুরু করে দিয়েছে দলীয় কর্মী সমর্থকরা।