পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ছটপুজোর সময় পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে বন্ধ করা হল রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবর ঘাট। ১৬টি গেট ঘিরে রাখা হয়েছে। ২টি সরোবরের চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
যাতে কোনও ভাবে কেউ এখানে ঢুকতে না পারে তার জন্য করে দেওয়া হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড। বাইরে একটি নোটিশ বোর্ড দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফ থেকে। সেই নোটিশে লেখা হয়েছে ৯- ১১ নভেম্বর এই সরোবর বন্ধ থাকবে। সরোবরের সামনে কড়া নজরদারি চলবে।
আশা করি দূষণমুক্ত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন, বিশিষ্ট পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। রাজ্যসরকারের এই উদ্যোগে খুশি পরিবেশবিদরা।
প্রাতঃভ্রমণকারীদেরও প্রবেশের অনুমতি নেই এই দুদিন। রবীন্দ্রসরোবরে ছট পুজো করলে পরিবেশের ক্ষতি হবে– এই কারণ দেখিয়ে গ্রিন ট্রাইবুনাল– কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত দুবছর থেকেই ছটপুজো বন্ধ হয় সরোবরে।
এদিকে ২০১৯ সালে আদালত পুজো করার অনুমতি না দিলে পুজোর দিন বিশৃঙ্খলতা শুরু হয় গোটা রবীন্দ্রসরোবর চত্বরজুড়ে। পূণ্যার্থীরা ভেঙে ফেলেন রবীন্দ্রসরোবরের গেট। যদিও গত বছর করোনার প্রকোপে কিছুটা মানুষের উৎসাহ কিছুটা থমকে গিয়েছিল। এবার পরিস্থিতি সেই তুলনায় কিছুটা স্বাভাবিক। তাই ২০১৯-এর কথা মাথায় রেখে ঝুঁকি নিয়ে চায়নি কেএমডিএ।
এবছর কেএমডিএ-এর তরফে ছটপুজোর পুণ্যার্থীরা থাকেন এমন ওয়ার্ডের কাছে হোর্ডিং ও পোস্টার দিয়ে বিকল্প জলাশয়ের কথা জানানো হয় আগেই। যাতে কেউ দীর্ঘদিনের প্রথা মেনে রবীন্দ্র সরোবরে ব্রত পালনে না যান। এর বিকল্প হিসেবে গঙ্গার ৩৭টি ঘাট এবং যোধপুর পার্ক– পোদ্দারনগর– আনন্দপুর ও পাটুলি মিলিয়ে মোট ১৭০টি ঘাট প্রস্তুত করা হয়েছে ছটপুজোর জন্য।
ছটপুজোর দু’দিনই গঙ্গার ঘাটগুলিতে অতিরিক্ত আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। প্রত্যেকটি জলাশয়ে স্নান এবং পুজোর পর ব্রতপালনকারীদের পোশাক পরিবর্তনের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা রেখেছে কলকাতা পুরসভা ও কেএমডিএ। এই জায়গাগুলোয় যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য পুরসভার কর্মীরা মজুত থাকছেন। এছাড়া শহরের গঙ্গার ঘাটগুলোতে কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান নেভির রেসকিউ টিম রাখা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে প্রত্যেক ঘাট চত্বর।
অন্যদিকে– রাজ্যের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে– ছটপুজোতে কেবলমাত্র পরিবেশবান্ধব আতশবাজিই বিক্রি করা যাবে। রাত ৮-১০টা পর্যন্ত এই বাজি ফাটানো যাবে। ছটপুজোতেও কেবল ২ ঘণ্টাই এই বাজি ফাটানো যাবে। এদিন ছটপুজোর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শহরের কয়েকটি ঘাট পরিদর্শন করেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম– পুরনগরউন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং মন্ত্রী জাভেদ খান।