পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পশ্চিমা বিশ্ব ও আমেরিকার সঙ্গে দহরম-মহরম নিয়ে ইসলামপন্থীদের সমালোচনার বাণে বারংবার বিদ্ধ হয়ে চলেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। ইসলাম বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমিরশাহীর সরকার নির্যাতিত মুসলিমদের স্বাধীনতা আদায়ের যুদ্ধকে অস্বীকার করেছে। মার্কিন মিত্র ইসরাইলের সঙ্গেও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে দেশটি। আর এবার তারা বিনোদন জগতে আমেরিকাকে সঙ্গত দিয়ে মুসলিম বিশ্বকে অপমান করেছে।
আবু ধাবির অর্থে তৈরি ’দ্য মিসফিটস’ নামে একটি হলিউডি সিনেমা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। চলতি মাসের প্রথমে সারা বিশ্বে প্রকাশিত এই সিনমাটিতে কাতারকে একটি সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি হিসাবে দেখানো হয়েছে যাকে আপত্তিজনক বলে মনে করছেন অনেকেই।
তবে শুধু কাতারই নয়, এই সিনেমার মাধ্যমে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যেকে এমন ভাবে তুলে ধরা হয়েছে যা মুসলিমদের প্রতি বিরূপ ধারণার জন্ম দিয়েছে। ’দ্য মিসফিটস’ সিনেমায় একটি চোরের দলকে দেখানো হয়েছে যে দলটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইরিস অভিনেতা পিয়ার্সে ব্রসনান। তাকে ’জাজেরিস্তান’ নামক একটি দেশ থেকে কোটি কোটি ডলার লুট করতে দেখা গিয়েছে। কোনও দেশের নাম ’জাজেরিস্তান’ রাখা নিয়েও সমালোচিত হচ্ছে সিনেমাটি। কারণ, এই দেশটির নামের মধ্যে কোথাও একটা
কাতার ও সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতি বিদ্বেষ ও বিরূপ মনোভাব পোষণ করার চেষ্টা চলেছে। প্রখ্যাত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক জামাল রায়য়ান আমিরশাহীর অর্থে নির্মিত সিনেমাটিকে ’নীতিহীন’ বলে উল্লেখ করে বলেন, এখানে নিজেদের প্রচারের মামলায় ইসরাইলকেও টপকানোর চেষ্টা করেছে আবু ধাবি। হলিউডি সিনেমাটির পরিচালক হলেন আমিরশাহীর মনসুর আল ধাহেরি। সিনেমার শ্যুটিং মূলত আবু ধাবি ও ’জাজেরিস্তান’ নামক একটি পরিকল্পিত দেশে হয়েছে। পরিচালক ধাহেরির মতে, ’দ্য মিসফিটস’-এর মাধ্যমে আবু ধাবিকে বিশ্বের বিনোদন মঞ্চে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং দেখানো হয়েছে আমরা কী করতে পারি।’
সিনেমাটিতে কাতারকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক দেশ হিসাবে তুলে ধরাটাকে ইসলামোফোবিয়া প্রচারের অপচেষ্টা বলে মনে করছে ওয়াকিফহাল মহলের একাংশ। দেখানো হয়েছে, মুসলিম ব্রাদারহুড ও আল কায়দা সদস্যরা দেশটিতে ঘাঁটি স্থাপন করেছেন।